⭕ঘুমানোর পূর্বের আমল সমূহঃ
♦১) ঘুমানোর দোয়া!
♦ ২)ঘুমানোর আগে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক্ব ও সুরা নাস একবার করে পড়ে দুই হাতে ফুঁ দিয়ে মাথা থেকে দেহ পর্যন্ত যত দূর যায় বুলাবে। তারপর ডান হাত ও বাম হাত বুলাবে। যেকোন (ক্ষতিকর) জিনিস থেকে নিরাপত্তার জন্য এটা যথেষ্ট হবে।
(মুসলিম ৪/১৭২৩)
♦ ৩। ৩৪ বার ‘আল্লাহু আকবার’ ৩৩ বার ‘আলহামদু লিল্লাহ’ ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ পাঠ করলে মীযানে এক হাজার সওয়াব সংযােজিত হয়।
(সহীহ তারগীব ৬০৩)
♦ ৪) সূরা কাফিরূন পাঠ করতে হয়, এতে শির্ক থেকে সম্পর্কহীনতা বর্তমান।
(সহীহ তারগীব ৬০২ নং)।
♦ ৫। কুরআনের সবচেয়ে বড় মর্যাদাপূর্ণ আয়াত 'আয়াতুল কুরসী' ।
যে ব্যক্তি ঘুমানোর সময় ইহা পাঠ করবে তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রক্ষক নিযুক্ত করা হবে এবং সকাল পর্যন্ত তার কাছে শয়তান আসতে পারবে না। (বুখারী হা/২৩১১)
শয়ন করে ‘আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে আল্লাহর তরফ থেকে এক রক্ষী নিযুক্ত হয়ে যায় এবং শয়তান ঐ পাঠকারীর নিকটবর্তী হতে পারে না। (বুঃ ৪/৪৮৭)।
♦ ৬। যে ব্যক্তি রাতে 'সূরা বাকারা'র শেষ ২ টি আয়াত পাঠ করবে , তার জন্য সে দুটি যথেষ্ট হবে । সে রাতে অপ্রীতিকর জিনিসের মোকাবেলায় যথেষ্ট হবে বা তাহাজ্জুদের ছালাত থেকে যথেষ্ট হবে । (বুখারী হা/৪০০৮)।
সূরা বাক্বারার শেষ দুটি আয়াত পাঠ করলে সকল প্রকার নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট। (বুখারী ৯/৯৪, মুসলিম, ১৫৫৪)।
♦ ৭। 'সূরা মুলক' তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং শেষাবধি পাঠক কে ক্ষমা করে দেওয়া হবে ।(দাউদ
হা/১৪০০ , ইবনু মাজাহ হা/৩৭৮৬) ।
আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দিন, আমীন! 💞