মানুষের চাওয়া-পাওয়ার কোনো শেষ নেই৷ প্রাপ্তিতে তার কোনো তৃপ্তি হয়না। যা সে চায় তা সে পায়না, আর যা পায় তা সে চায়না।
পৃথিবীতে চাওয়া-পাওয়া নিয়ে রয়েছে নিরন্তর দ্বন্দ। তার মনের ইচ্ছা পূরণ হয়না। কঠিন-কঠোর পরিশ্রমের বিনিময়ে যা পায়, তা হয়তো মোটেই কাম্য ছিলো না। না পাওয়ার বেদনা তার কষ্টকে আরো তীব্র করে তোলে।
মানুষ আসলে নিজেও জানেনা যে সে কি চায়। কোনো কিছুতেই তার সন্তুষ্টি হয়না। চাই চাই আরো বেশি চাই। অল্পতে কখনোই সে সুখি নয়৷
একটা চাহিদা পূরণ হতে না হতেই জন্ম নেই নতুন আরেক চাহিদার। মানুষের চাহিদার কোনো অন্ত নেই। সে যতো পায় আরো বেশি চায়। এই চাওয়া-পাওয়া নিয়ে রয়েছে অনেক দ্বন্দ।
মানুষ কখনোই নিজের যা আছে তা নিয়ে সুখী থাকতে পারেনা। সবসময় অন্যেরটাকে অনেক বেশি মনে করে। অন্যের কাছে যা আছে সেটাই তার চাই৷ সে ভালো জিনিস হোক কিংবা খারাপ জিনিস।
যেমন করে নদীর এইপার এর মানুষ ভাবে যে ওইপার এর মানুষ বুঝি বেশি সুখি। ঠিক একইভাবে আবার ওইপারের মানুষ ভাবে যে এইপারের মানুষ বুঝি বেশি সুখী৷
সারাক্ষন অন্যের টাকে অনেক বেশি মনে করে৷ নিজের যতোটুকু আছে সেটা নিয়ে মানুষ কখনোই সুখী হতে পারেনা। কিন্তু এটা মোটেও ঠিক নয়৷
আমাদের সকলের উচিত নিজের যা আছে, যতোটুকু আছে ততোটুকু নিয়েই সুখী থাকা। কেননা, এতেই আমাদের সকলের মঙ্গল সাধিত।
নিজের যা আছে, যতোটুকু আছে সেটুকু নিয়ে যদি মানুষ সন্তুষ্ট থাকতে পারতো তাহলে কখনোই কোনো দ্বন্দের সৃষ্টি হতোনা। তাহলে দুনিয়াতে সবাই নিজ নিজ স্থানে সুখী থাকতো।
তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত নিজের যাকিছু আছে, যেটুকু আছে সেটুকু নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা।
মানুষের চাওয়া পাওয়ার শেষ নেই। কাজ যেটা নাই সেটা পাওয়ার জন্য মানুষের চেষ্টার কমতি থাকেনা। কিন্ত যখন তার ইচ্ছাটা পূরণ হয়ে যায় তখন আবার নতুন কিছু পাওয়ার ইচ্ছা তৈরি হয়ে যাই। অনেক সময় আবার আমরা যেটা চাই সেটা কখনো পাওয়া হয়না আবার যেটা চাওয়া হইনা সেটা পাওয়া হয়ে যায়।