পৃথিবীতে এমন কিছু লোক আছে যারা উপকারীর উপকার কখনো স্বীকার করেনা। বরংং তারা সামান্য উপকার করতে পারলেই, দম্ভভরে তা প্রচার শুরু করে।
দিঘির বিশাল জলরাশির মধ্যে শৈবালের অবস্থান ও অস্তিত্ব। এই শৈবালের উপর জমেছে ভোরের শিশির। শিশিরের ক্ষুদ্র ফোটা গড়িয়ে পড়েছে দিঘির অগাধ জলে। এই সামান্য শিশির ফোটাকে শৈবাল দিঘির প্রতি তার মহৎ দান বলে গণ্য করেছে। দিঘির জলেই যে তার অস্তিত্ব, বিকাশ ও বৃদ্ধি সেটা সে ভুলে যায় যা সত্যি হীনম্মন্যতার পরিচায়ক।
শৈবালের মতো আমাদের সমাজে, আমাদের আশেপাশেও এমন অনেক মানুষ আছে যারা অন্যের থেকে দান দুহাত ভরে গ্রহণ করে, সাহায্য-সহযোগিতা নেয়, আশ্রয় নেয়, টাকা-পয়সা নেয় কিন্তু তারা কখনোই তা স্বীকার করেনা এমনকি বিন্দু পরিমান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনা। কোনো কৃতজ্ঞতাবোধ তার মধ্যে নেই।
অথচ, সে যদি ভুল করেও কখনো কাউকে বিন্দু পরিমান সাহায্য-সহযোগিতা করে তাহলে সে তার সাহায্যের কথা সকলকে বলে বেড়ায়, নিজেকে অনেক মহান মনে করে। এধরনের মানুষকে কেউই পছন্দ করেনা। সকলে তাকে ঘৃণা করে।
যারা প্রকৃতপক্ষে মহান, বড় মনের অধিকারী তারা অন্যেকে সাহায্য-সহযোগিতা করে কখনোই তা সকলের কাছে প্রচার করেনা। সবার কাছে নিজেকে বারবার বড় প্রমাণ করার চেষ্টা করেনা। সকলে এমনিতেই তাকে মাথায় করে রাখে। সম্মান করে, শ্রদ্ধা করে। সারাজীবন সে মানুষের মনে অমর হয়ে থাকে, চির স্মরণীয় হয়ে থাকে।
তাই আমাদের সকলের উচিত নিস্বার্থে অন্যদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা, বিপদে-আপদে অন্যদের পাশে দাড়ানো। নিজের স্বার্থকে বড় করে না দেখে অন্যের স্বার্থকে বড় করে দেখা। অন্যের জন্য মঙ্গল চিন্তা করা।
Nice.