আমাদের দেশ হচ্ছে ঋতু বৈচিত্রের দেশ। আমাদের দেশ ছয়টি ঋতুর দেশ। আমাদের দেশের মতো এমন ঋতু বৈচিত্র পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে দেখা যায়না। প্রতিটি ঋতুরই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, রয়েছে নিজস্ব সৌন্দর্য। ছয়টি ঋতুর মধ্যে শীত অন্যতম।
এই ছয়টি ঋতুর মধ্যে শীত ঋতু অর্থাৎ, শীতকাল আমার সবথেকে বেশি ভালো লাগে। শীতকাল আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। যারা শহরে বসবাস করে তারা শীতের সকালের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেনা। কিন্তু যারা গ্রামে বসবাস করে তারা শীতের সকালের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে।
আমাদের দেশে সাধারণত জানুয়ারি মাসে খুব শীত পড়ে। পৌষমাসের শীতে মানুষ ঠকঠক করে কাঁপে। পৌষ আর মাঘ এই দুই মাসে প্রচুর শীত পড়ে। কথায় আছে, পৌষের শীত তুষের গায় আর মাঘের শীতে বাঘ পালায়।
শীতের সকালে মানুষ খুব দেরি করে ঘুম থেকে উঠে। ছোট বাচ্চারা অনেক বেলা করে উঠে ঘুম থেকে। কিন্তু যারা কৃষক, দিনমজুর এরা খুব ভোরেই ঘুম থেকে উঠে যায় কাজেত তাগিদে। শীত তাদেরকে কাবু করতে পারেনা।
শীতের সকালে চারিদিক কুয়াশার চাদরে মুরে থাকে। সবুজ ঘাসে শিশির জমে থাকে। যা দেখে যেকেউ মুগ্ধ হতে বাধ্য। গ্রামের পথ-ঘাট কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে। আলপথে কৃষক লাঙল কাঁধে গরু নিয়ে যায় হাল চাষে। কুয়াশার মধ্যে তাদের আবছা ছায়ামূর্তি দেখা যায়। দেখে মনে হয় এ যেন কোনো শিল্পীর তুলিতে আঁকা এক সুন্দর মনরোম ছবি।
পূর্বদিকে আবির ছড়িয়ে সূর্য উঠে ডিমের কুসুমের মতো। সবুজ ঘাসে ছড়ানো শিশিরগুলো মুক্তোর মতো লাগে। খালিপায়ে শিশিরসিক্ত সবুজ ঘাসে হাটতে ভীষণ ভালো লাগে। শীতের সকালে ছোট বাচ্চারা আর বৃদ্ধরা রোদ পোহায়।
শীতের সকালে গামাঞ্চলে নানারকমের পিঠা বানানো হয়, শীতের সকালে গরম গরম ভাপা পিঠা, পায়েস আর খেজরের রস খাওয়ার মজাই আলাদা। শীতের সকালের এমন সুখকর অনুভূতি সত্যিই মমনোমুগ্ধকর।
অনেক ভালো লাগলো শীতের সকালে এত সুন্দর একটি বর্ণনা দেয়ার জন্য। শীতকাল আমার সবথেকে একটি প্রিয় কাল। আমার শীতকাল খুব পছন্দের কারণ শীতকালে ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া আমার খুবই ভালো লাগে। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন অনেক ধন্যবাদ।