জিবনে সফলতা অর্জন করতে হলে এবং সফলতার স্বর্ণশিখরে পৌছাতে হলে কিছু জিনিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অধ্যবসায়। অধ্যবসায় আমাদের প্রত্যেকের জিবনেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জিবনে সফলতা অর্জন করতে হলে অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
যেকোনো লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ও একনিষ্ঠ প্রচেষ্টার নামই হচ্ছে অধ্যবসায়। কোনো কাজে একবার ব্যর্থ হলে হতাশ না হয়ে, পুর্ণ আস্থা রেখে বারবার চেষ্টা করে যাওয়া এবং বারবার চেষ্টা করে সফলতা অর্জন করার নামই হচ্ছে অধ্যবসায়। উদ্যম, উদ্যোগ, দৃঢ় মনোবল, নিরন্তর কর্মপ্রচেষ্টা এবং আন্তরিক কঠোর পরিশ্রম অধ্যবসায়কে দেয় পূর্ণতা।
অধ্যবসায় ব্যাতীত কোনোরকম সফলতা অর্জন সম্ভব নয়। মানবসভ্যতার বিকাশের অন্যতম চালিকাশক্তি অধ্যবসায়। আদিম মানুষ মাটিতে, পানিতে, আকাশে বৈরীশক্তিকে মোকাবেলা করে নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় সফল হয়েছে অধ্যবসায়ের মাধ্যমে।
অনাবাদি জমি আবাদ করে ফসল ফলানো, জলাভূমি ভরাট করে নগর পত্তন, মরুভূমিকে মরূদ্যানে রূপান্তর এসব কিছুই অধ্যবসায়ের ফলে সম্ভব হয়েছে। অধ্যবসায় ব্যাতীত এসব কোনোভাবেই সম্ভব হতোনা।
জিবনে চলার পথে বিভিন্ন সময় আমাদেরকে নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, সেসব সমস্যা সমাধান এবং মোকাবেলা করার প্রথম ও প্রধান উপায় হচ্ছে অধ্যবসায়। যে ব্যাক্তি অধ্যবসায়ী কেবল তার পক্ষেই সম্ভব জিবন সংগ্রামে জয়ী হওয়া। আর যে বা যারা অধ্যবসায়ী নয় তারা কখনোই জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারেনা। তারা সর্বদা সকল কাজেই ব্যর্থ হয়।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অধ্যবসায় প্রয়োজন। যেসব ক্ষেত্রে অধ্যবসায় সবথেকে বেশি প্রয়োজন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ছাত্রজীবন। ছাত্রজীবনে অধ্যবসায় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেসকল ছাত্র-ছাত্রী ছাত্রজীবনে পরিশ্রম করে, অধ্যবসায়ী তারা সর্বদাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করে এবং জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারে। আর যারা অলস, পরিশ্রম করেনা, একবার অকৃতকার্য হলে মনোবল ভেঙে যায়, হতাশ হয়ে পড়ে, তারা কখনোই ভালো ফলাফল করতে পারেনা, সফল হতে পারেনা।
এ পৃথিবীতে যারা স্মরণীয় হয়ে আছেন, মহৎ ব্যক্তি ছিলেন তারা প্রত্যেকেই অধ্যবসায়ী ছিলেন। আর অধ্যবসায়ের জন্যই তারা জীবনে সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন, আর তাদের মহৎকাজের জন্য তারা আজও স্মরণীয় হয়ে আছেন। তারা কোনো কাজকেই ছোট করে দেখেননি। সকল কাজকেই সমান মর্যাদা দিয়েছেন।
এ পৃথিবীতে যতো উন্নত দেশ আছে, সেসব দেশের মানুষ অনেক বেশি অধ্যবসায়ী। তারা কোনো কাজকেই ছোট মনে করনা, সকল কাজকেই তারা মর্যাদা দেয়। আর এজন্যই তারা আজ এতো উন্নত। তারা আজ সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন।
আমাদের সকলের উচিত অধ্যবসায়ী হওয়া। অধ্যবসায়ী হলেই আমরা জীবনে উন্নত হতে পারবো এবং জিবনে সফলতা অর্জন করতে পারবো।
I don’t understand the language but by basing from what I have seen I know that it’s all about success, correct me If I’m wrong, we should all thank God for every step higher that we achieve even at those times we fall down