দীর্ঘদিন বেঁচে থেকেও অনেকেই পৃথিবীতে স্মরণীয় হতে পারেনা। বরং সংক্ষিপ্ত জীবন যাপন করেও অনেকে ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে আছেন তাঁদের স্মরণীয় কীর্তির জন্য।
কোনো মানুষই চিরদিন বেচে থাকবে না। আমরা কেউই চিরদিন বেচে থাকবোনা। একদিন না একদিন আমাদেরকে এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে।
এটাই বাস্তবতা, চিরন্তন সত্য যা আমাদের সকলকে মেনে নিতে হবে। কিন্তু এসব কথা জেনেও কিছু কিছু অসৎ মানুষ, দুষ্টু লোক খারাপ কাজ করেই চলেছে।
সাধারণ মানুষ মারা গেলে কেউ তাকে বেশিদিন মনে রাখেনা। সবাই ভুলে যায় তাকে। কিন্তু যারা সর্বদা দুনিয়াতে ভালো কাজ করে গেছে, অপরের উপকারে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলো তাদের মৃত্যুর হাজার হাজার বছর পরেও মানুষ তাদেরকে শ্রদ্ধা সহকারে আজও স্মরণ করে।
তাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে, তারা তাদের মহৎ কর্মের কারণে আজও এই পৃথিবীর বুকে অমর হয়ে আছেন।
এই পৃথিবীতে যারা জীবনে উন্নতি করে গেছে, যারা শ্রেষ্ঠ ছিলেন তারা প্রত্যেকে সারাজীবন অন্যের সেবায় নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছিলেন। তারা অন্যের বিপদে আপদে সবসময় এগিয়ে গিয়েছেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন, অন্যের জন্য লড়াই করেছেন, কখনো পিছু হাটেননি।
আর তাই আজও তারা অমর হয়ে আছেন তাদের ভালো কাজের জন্য। এবং সারাজীবন তারা এভাবেই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন এই পৃথিবীর বুকে।
মানুষ নস্বর কিন্তু মানুষের কর্ম অবিনশ্বর। আমাদের সকলের উচিত অন্যের উপকারে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করা, সর্বদা অপরের বিপদে আপদে তাদের পাশে দাড়ানো। অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেওয়া, সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করা।
আমরা কেউই বাচবোনা চিরদিন৷ কিন্তু স্মরণীয় হয়ে থাকার জন্য সর্বদা ভালো কাজ করে যেতে হবে। পরোপকারী হতে হবে, অন্যের পাশে দাড়াতে হবে। শুধুমাত্র নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকলে চলবে না।
এখন তো সমাজের নিয়ম হয়ে উঠেছে অর্থ দিয়ে সবকিছু বিচার করা। নয়তো অর্থ নয়তো শক্তিসামর্থ। এই দুটির জোর খাটিয়ে দেশ চলছে।