জানোয়ারগুলো এই বাচ্চা মেয়েটির মাঝে যৌনতা খোঁজে।
সেদিন সোহরাওয়ার্দীতে দেখলাম প্রায় আট বছর বয়সের একটা মেয়ে ফুল বিক্রি করছে। একটা জিনিস খেয়াল করলাম বাচ্চা মেয়েটি শুধু মেয়েদের কাছে যাচ্ছে অথচ দুই-চারটা ছেলে ডাকছে তাদের ফুল দিবে কি তাদের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না।
কিছু সময় পর মেয়েটা নিজেই আমার কাছে এসে বললো, আপা, একটা ফুল নেন। আজকে মাত্র পাঁচটা ফুল বিক্রি হইছে। দেখেন, আমার হাতের সব কয়ডা ফুল ই রইয়া গেছে।
আমি তখন মেয়েটাকে বললাম, আমি বেশ কিছু সময় ধরে তোমায় খেয়াল করেছি। তুমি শুধু মেয়েদের কাছে ফুল বিক্রি করছো। ছেলেদের কাছে যাচ্ছো না। এমন করলে তোমার তো ফুল বিক্রি হবে না।
আমার এমন কথায় মেয়েটা কিছুটা মন খারাপ করে বললো, আমি আগে সবার কাছেই ফুল বিক্রি করতাম। কিন্তুু কিছু দিন আগে একটা ব্যাটার কাছে ফুল বিক্রি করতে গেছিলাম। তখন সে আমার হাত থেকে ফুল না লইয়া, আমার বুকে হাত দিছে। আমার খুব ব্যাথা লেগেছিলো। এই কথা আমার মারে কওনের পর থেইক্যা মা নিষেধ করছে ব্যাটাগো কাছে ফুল বিক্রি না করতে। আগে তো রাইত আট টা পর্যন্ত ফুল বেচতাম। এহন মাগরিবের আযান পড়লেই চইলা যাই এখান থেইক্যা।
মেয়েটার কথা গুলো শুনে আমি একদম চুপ হয়ে গেলাম। শুধু মনে হলো, কোন দেশে বাস করছি আমরা। আমাদের
মানসিকতা কতটা নিচে নেমে গেছে। যে একটা আট বছর বয়সের মেয়েকে ও পুরুষের লালসার স্বীকার হতে হচ্ছে। খেটে খাওয়া পথ শিশু ও ইজ্জতের ভয়ে কঠিন জীবন পার করছে।
©Djboy