Story of newly couple 😷😷

খাওয়া দাওয়া শেষে গেস্টরা সব চলে গেছে, নিজে সামান্য কিছু খেয়ে দ্রুত রুমের দরজা বন্ধ করে দিল রাশেদ।

আজ তার বাসর রাত।😷😷😷

দেরী করা চলবেনা। দরজা বন্ধ করে ঘুরতেই দেখে সাবরিনা মাথায় ঘোমটা দিয়ে বসে আছে। লজ্জায় একাকার।

এরেঞ্জ ম্যারেজ, পরিচয় দুই মাসের। সাবরিনা অনিন্দ্য সুন্দরী- এইরকম মেয়ে তার কপালে জুটবে ভাবতেও পারেনি রাশেদ। আস্তে করে পাশে বসে, ঘোমটাটা সরালো। আহা কি নিষ্পাপ মুখাবয়ব, একে দেখে কেউ এইরকম কুতসা রটাতে পারে? নিজের উপরেই রাগ হল-কেন যে মানুষজনের কথা বিশ্বাস করেছিল। সমস্যা কিছুই না- বিয়ের আগে নিজে থেকে একটু খোজ নিতে গিয়েছিল রাশেদ। লোকমুখে শুনেছিল সাবরিনার নাকি আগে একবার বয়ফ্রেন্ডের সাথে পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস আছে।

বন্ধু বান্ধবদের জানালে সবাই উড়িয়ে দিয়ে বলেছিল-'সুন্দরী মেয়েদের নামে ঐরকম রটে দু-চারটা'। কেউ কেউ উপযাচিত হয়ে উপদেশ ও দিয়েছিল কিভাবে পরীক্ষা করা যাবে। যেমনঃ ফোনের পাসওয়ার্ড দিবেনা, ফোন লক করে রাখবে, বাথরুমে গেলেও ফোন নিয়ে যাবে, সবচেয়ে ইমপোর্টেন্ট এবং ডেঞ্জারাস কথা হল বাসর রাতে নাকি বোঝা যাবে ভার্জিন কি না। যদি ভার্জিন হয় লজ্জায় লাল হয়ে যাবে, অনেকসময় নাকি ঘনিষ্ঠ হতেই অনেক টাইম লাগবে। অলরেডি রাশেদ সবগুলোই টেস্ট করেছে। সাবরিনার ফোনে কোন লকই নাই। কেবলই ফ্রেশ হতে বাথরুমে গেছে। ফোন রাশেদের হাতে, ফ্রেণ্ডলিস্ট ঘুরে কাজিন বাদে কোন ছেলেবন্ধুই পায়নি। খালি খালি সন্দেহ করেছে,ভাবতেই খারাপ লাগছে। সাবরিনা ফেশ হয়ে এসেই সাফ জানিয়ে দিল, সে এখনো আপনি থেকে তুমি তে আসতে পারেনি সুতরাং তাকে সময় দিতে হবে এবং এরমধ্যে তাকে স্পর্শও করা যাবেনা। রাশেদ মনে মনে বলল আলহামদুলিল্লাহ।

এইরকম কিছুদিন গেল। একদিন বউয়ের মন পেতে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড থেকে দামী ব্রেসলেট কিনে নিয়ে গেল।আজও পর্যন্ত তার বাসর হয়নি। গিফট পেয়ে সাবরিনা সেই খুশি। খুশিতে জড়িয়ে ধরল রাশেদকে। রাশেদ তো মহাখুশি। যাক গিফটের উছিলায় প্রায় সাতদিন পর তার বাসর হল সেদিন রাতে। পরদিন সকালে উঠে বউয়ের জন্য চা বানাতে গেল, সাবরিনা তখনো ঘুম। এরমধ্যে কল দিল বন্ধু আরিফ। আরিফকে বলল " আর বলিস না, বিয়ে করার সময় কোন মানুষের কথা শুনবি না। সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে অনেকে বানিয়ে কথা বলে। আমি আসলে অনেক লাকি রে...." হঠাত সাবরিনা ঘুম মেশানো কন্ঠে বলে উঠল "সাহেদ, তোমার সাত সকালে ফোনে কথা বলার অভ্যাসটা এখনো গেলোনা!!" রাশেদের কান থেকে ফোনটা পড়ে গেল, এসির মধ্যেও তার ঘামে সারা শরীর ভিজে যাচ্ছে।

I really love u 🥰

আস্তে করে সাবরিনার দিকে তাকাল- কি নিষ্পাপ ভঙ্গিতে ঘুমিয়ে আছে সাবরিনা। অথচ রাশেদের কেন জানি মনে হচ্ছে আজকের পর কোনদিনই তার নিজের ঘুমটা ঠিকমত হবেনা। হঠাত করে তারা মাথায় একটা নামই ঘুরছে 'সাহেদ'। ভাবল একটু টিভি দেখে আসি, মাথা থেকে সাহেদ টা যাক। টিভি অন করতেই ব্রেকিং নিউজ -'অস্ত্রসহ রিজেন্ট সাহেদ গ্রেফতার'। রাগে দুঃখে রিমোট ধরে আছাড়,শব্দ শুনে পাশের রুম থেকে সাবরিনা বলে উঠল "সাহেদ,সাত সকালে কি শুরু করলে তুমি?"