লেখক:-মো.নীল চৌধুরী আয়াশ মিফতার দিকে এগিয়ে ঠোটে ঠোট রেখে কিছুক্ষণের জন্য হাড়িয়ে যায়। মিফতাহ ঘুমের মধ্যে নড়ে উঠার সাথে সাথে আয়াশ তার নিজের বালিশে এসে শুয়ে পরে। আয়াশ মিফতার দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে ইসস কখন এই পরীটার স্পর্শ পাবো? কখন দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে গল্পে মেতে উঠবো? আমরা যখন ঘুমাবো আমি সবসময় ওর কোমরে একটা হাত রেখে আমার বুকের সাথে সবসময় চেপে ধরে রাখবো।এসব ভাবতে আয়াশ তার নিজের অজান্তেই ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যায়। ভোর ৫টার দিকে মিফতার ঘুম ভাঙ্গে, ঘুম থেকে উঠে খেয়াল করে দেখে আয়াশ একটা হাত মিফতার তলপেটের উপরে রেখে ঘুমোচ্ছে। মিফতাহ আয়াশের দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হেসে হাতটা সরিয়ে দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে ওয়াশরুমে যায় ফ্রেশ হতে। ফ্রেশ হয়ে এসে নামাজ শেষ করে আবার শুয়ে পরে। এভাবে কয়েকদিন চলার পরে একদিন সকাল ১১টার দিকে -এই রেডি হইছিস?(মা) -হ্যা মা আমি রেডি(আয়াশ) -বৌমা কোথায়? -ওয়াশরুমে -ওকে তোরা আয় আমরা সবাই বেড় হলাম বলে আয়াশের মা চলে যায়। মা যাওয়ার পরে মিফতাহ বেড় হয় -মা চলে গেছে? -হ্যা -তো আমাকে শাড়ি পড়িয়ে দিবে কে? -তুমি পড়তে পারো না? -নাহহ -আমি তো ভাবছি তুমি পড়তে পারো -ধূর বা* -আয়াশ মিফতার দিকে তাকায় -এভাবে তাকানোর কি আছে? এটা বকা না এটা আমার মুখের বুলি হুহ -হিহিহি আচ্ছা এখন তারাতারি রেডি হও,সবাই নিচে ওয়েট করছে -লেহেঙ্গা পড়ে ফেলি? -বিয়ের লেহেঙ্গা পরে কখনো বাপের বাড়িতে যাইতে শুনছো? -উহু -তো? -আমি তো শাড়ি পড়তে পাড়ি না -ইউটিউব দেখো -অনেক দেখছি, একজনে কখনোই পাড়ি না -আরে ট্রাই তো করো,আর আমি তো আছি -আপনার সামনে শাড়ি পড়বো? -আমার সামনে পড়লে গোনাহ হবে নাকি? -না তা হবে না কিন্তু -কিন্তু কি? -আচ্ছা একটু ওয়েট করেন বলে মিফতাহ শাড়ি দিয়ে প্যাচ দিচ্ছে আর আয়াশ বিছানা থেকে ক্ষুধার্ত বাঘের মতো তাকিয়ে আছে -এই অমন করে তাকিয়ে আছেন কেন? ওদিকে তাকান - ধূর ধরা খেয়ে গেলাম(মনে মনে) -কি বলছেন বিড়বিড় করে? -কিছু না -এদিকে আসেন -কেনো? -কুচিটা ধরেন একটু আয়াশ তখন কুচি ধরার জন্য মিফতার সামনে বসে কুচি ধরে। -এই কোনদিকে তাকিয়ে আছেন?(মিফতাহ) -আয়াশ একমনে তাকিয়ে আছে -আরে কি হলো -তখনে আয়াশ তাকিয়ে আছে,এবার মিফতাহ আয়াশের মাথায় ধাক্কা দিয়ে -কি হয়ছে -অনেক সুন্দর -কি? -নাভি,এমন সুন্দর নাভি মনে হয় কোনো মেয়ের নাই -আপনি সবারটা চেক করে আসছেন তাই না? -এই না না শুধু ১০-১২ জনের দেখছি -কিহহহ? -না মানে হ্যা -কুত্তা যা তুই,আমি কোথাও যাবো নাহ -আরে কি হলো? -১০-১২ জনের নাভি দেখলে চলবে? আরো অনেক বেশি দেখা লাগবে,যান আরো কয়েকটা দেখে আসেন বলে রাগে ফুঁসতে থাকে -আমি হিন্দি সিনেমার কথা বলছিলাম -মানে? -মানে হিন্দি একটু মুভি দেখলে নিম্নে ৩-৪ টা দেখার সুযোগ হয় এটা বলছিলাম আর কি -বাস্তবে দেখেন নাই? -সাহস ও করি নাই -হুম আর করবেন ও না বলে দিলাম হুহ -হুম এখন চলো,মনে হয় সবাই ক্ষেপে আছে -হুম চলেন দুজনে নিচে নামার পরে -এত দেড়ি করছিস কেন?(মা) -তোমার বৌমার শাড়ি পড়তে লেইট হয়ছ -ওহ আচ্ছা চল বলে সবাই গাড়িতে উঠ বসে। গাড়ি মিনিট দশেক চলার পরে মিফতাহ আয়াশের হাত ধরে আয়াশের দিকে তাকিয়ে আছে -কিছু বলবা? -মোবাইল দেন -কেনো? -গেমস খেলবো -গেমস নাই তো -প্লে স্টোরে তো আছে -হু নাও বলে আয়াশ মোবাইল বেড় করে মিফতার হাতে দেয়। মিফতাহ কতক্ষণ টেম্পল রান খেলার পরে আয়াশের চোখে ফাঁকি দিয়ে মেসেঞ্জারে ঢুকবে আর তখনি মোবাইল ফিঙ্গারপ্রিন্ট চাচ্ছে -এটা খুলে দেন -আয়াশ মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখে মেসেঞ্জারে গিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্টের জন্য আটকে আছে -কি হলো দিচ্ছেন না কেনো? -মেসেঞ্জার দিয়ে কি করবা,গেম খেলো -যেটা বলছি সেটা দেন -আয়াশ তখন অনিচ্ছা সত্ত্বেও লক খুলে দেয়। লক খুলে দেওয়ার পরে সবার প্রথমেই দেখে 🥰কিউটি🥰 নামে সেইভ করা একটা মেয়ে -এটা কি? -কোন টা? -এই যে এই মেয়েটা -ওহহ ফ্রেন্ড -জাস্ট ফ্রেন্ড? -ধূর এসব কি বলছো? -কোনো ফ্রেন্ডকে কিউটি নামে সেভ করে এমন বন্ধু আমি আজকেই প্রথম দেখলাম -আরে কি জ্বালায় পড়লাম রে বাবা -কি ধরা খেয়ে গেছেন? -এই এসব কি বলছো? মা-বাবা শুনবে তো -শুনোক তাদের ছেলে বিয়ে করে যে আরেলটা লাইন মারছে সেটা তারা শুনোক -আমি লাইন মারি? -তা নয়তো কি? হাতেনাতে ধরা খেয়েও অস্বীকার করতেছেন? -কনভারসেশনে ঢুকো -আমি কারোর পারসোনাল কোনোকিছুতে ঢুকিনা -এহ পারসোনাল কোনোকিছুতে ঢুকে না, পারসোনাল কোনোকিছুতে না ঢুকলে মেসেঞ্জারে কেন ঢুকলা -ঢুকছি দেখেই তো ধরা খাইছেন -মিফতাহ আমার কিন্তু রাগ উঠতেছে -আমার কি রাগ নাই নাকি? -অবিশ্বাস হলে কনভারসেশন দেখো -এই মেয়ে কি তোমার ক্লাসমেট? -নাহ জুনিয়র -তাহলে ব্লক করে দেই? -এটা কেমন কথা? -যোগাযোগ না রাখলে ঝামেলা হবে? -নাহ -তাহলে এত কথা বলিতেছেন কেন? এই যে নেন ব্লক করে দিলাম আর হ্যা ভুলেও আনব্লক করবেন না বলে দিলাম, যদি আনব্লক করেন তাহলে আপনার ১৪ গুষ্টিরে জানাবো -আল্লাহ রে এটা বউ নাকি শত্রু -হিহিহি আমার জিনিস শুধু আমারি থাকবে আর অন্যকার
Nice