Story...
আজ আমার বিয়ে হয়েছে।
একটু পরই আমার বাসর।
শুনেছি মেয়ে ডাক্তার।
💆 একবার মনে মনে বলি, ভালইতো বেকার ছেলের ডাক্তার বউ।
আবার মনে মনে ভাবতেছি আরে ডাক্তার মাইয়ারাতো শেষ বয়সে বিয়ে করে, মাইয়া যদি বুড়ি হয়।
😑 মনকে নিজেই প্রশ্ন করি, আরে মাইয়াকি কালো, যে আমাকে বিয়ে করেছে।
আসলে আমি মেয়েকে দেখিনি।
আমার মামাই পছন্দ করছেন, বুঝি না।
আমার জীবনের সব ডিসিশন মামাই নেন কেন?
অবশ্য মামার ডিসিশন এর ফলে কখনো সমস্যা হয় নায়, আশা করি এটাও হবে না।।
🤥 বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দিতে দিতে রাত হয়ে গেল ১০ টা।
[শীতের দিনের ১০টা বাজা মানে গরমের দিনের রাত ১২ টা।] আমি আমার বন্ধুদেরকে ছেড়ে উঠে গেলাম বাসর ঘরের দিকে, কিঞ্চিৎ ভয় নিয়ে যাচ্ছিলাম।
ছোট খালা সামনে দাঁড়াল। বলল, ®ছোট খালা°° কি রে কী হইছে? ©আমিঃ কি আর হবে!
®ছোট খালাঃ তুই আমাকে শর্ত দিছিলিনা। ©আমিঃ কোন শর্ত. কিসের শর্ত? ®ছোট খালাঃ আরে ভুলে গেলি।
তুই বলছিলিনা আমার বিয়ের পর যেন আমি নিজে তোর জন্য একটা gf খুঁজে দিয়। নে এবার gf না ডাইরেক্ট বউ খুঁজে দিলাম। ©আমিঃ কিহ! তারমানে এটা তোমার কাজ।
আর মেয়ে মামা দেখে নায়৷ ®ছোট খালাঃ আরে আমিই তো ভাইয়াকে সন্ধান দিলাম।
©আমিঃ কাম সারছে। আচ্ছা মাইয়া কী জানে আমি বেকার।
®ছোট খালাঃ হুম! জানবে না কেন।
©আমিঃ আচ্ছা মেয়েকি কালো? ®ছোট খালাঃ তুই নিজেই গিয়ে দেখে নে।
©আমিঃ আরে আমার ভয় করে!
®ছোট খালা কিঞ্চিৎ হেসে বললেন, কেন ভয় কিসের?
©আমিঃ আরে মেয়েতো যুদ্ধ করার জন্য আগেই পজিশন নিয়া বসে আছে।
এখন ডুকলেই শুধু ফায়ার।
ছোট খালা এবার দাঁত কেলিয়ে হাসা শুরু করলেন।
এ হাসি তামাসার না। জানি এখন বলবা"এত ভয় পাইলে পুরুষ হয়ে জন্মাইছস কেন?" ছোট খালা হাঁসি থামিয়ে বললেন, কিরে এত ভয় পাস।
আরে তুই তো পুরুষ জাতিকেই ডুবাই দিবি।
©আমিঃ ডুবাই দিই না ভাসাই তা পড়ে দেখা যাবে। আচ্ছা খালামনি তুমি আমাকে কিছু কথা শিখাইয়া দাও
৷ ®ছোট খালাঃ তুই না অনেক রোমান্টিক কথাবার্তা লিখালিখি করিস।
ওইগুলা থেকেই ঝাঁর।
©আমিঃ আরে তুমিতো জানোই অপরিচিত মাইয়াদের সাথে আমি একেবারেই কথা বলতে পারি না।
®ছোট খালাঃ হুম! তা তো জানি।
©আমিঃ তাইলে কিছু & টিপস শিখাই দাও না। ®ছোট খালাঃ আমি পারব না।
আর আমাকে সালাম করে যা আমি তোর গুরুজন৷ ©আমিঃ এহ! আইছে গুরুজন, আমার থাইকা মাত্র ৩ বছর এর বড় তুমি। অতএব কোন সালাম না।
আচ্ছা আমাকে কি কোন কিছু নিয়ে যেতে হবে।
®ছোট খালাঃ কোন কিছু কী? ©আমিঃ আরে আছে না সরবত এর গ্লাস, পান ইত্যাদি।
ছোট খালা আবার দাঁত খেলিয়ে হাঁসা শুরু করলেন।
তারপর বললেন, আরে গাধা ওই গুলা মেয়েরা নেয়।
তুই এসব জানিস না। ©আমিঃ ওহ হো! আমি তো ভুলেই গেছিলাম।
প্রচন্ড ভয় হইতেছে। ®ছোট খালাঃ আরে যা তো যা৷। ছোট খালা আমাকে ঠেলে রুমে ডুকিয়ে দিলেন।
রুমে ডুকতেই গোলাপ ফুলের সুভাষ এবং রজনীগন্ধার সুভাষ একত্র হয়ে একটা মিশ্র ঘ্রান তৈরী করছে। আমার এক বন্ধুর বিয়ের পরের দিন এসে বলেছিল, 'আরে বন্ধু বাসর রাতের সময় বউয়ের কাছ থেকে সুভাষ ছড়ায়।
' আজ বুঝলাম শালা মনেহয় ওইদিন ফুল চোখে দেখছিল না। আমার রুমের বেলকনি উত্তর-দক্ষিনে থাকায়!
আকাশের চাঁদের আলো স্পস্ট আমার ঘরে এসে পরে। "আজ ফুলের গন্ধে মন মাতালে, চাঁদের আলোয় ঘর।" চাঁদটা খারাপ না।
আমি আমার রুমের বিভিন্ন দিকে হাঁঠাহাটি করলাম। যাতে আমার মনের ভেতরের ভয়টা চলে যায়।
কিন্তু মনে হচ্ছে শালার ভয় আরেকটু বেড়েই চলেছে। আমি বিছানার দিকে যাচ্ছি কিন্তু আমার পা যাচ্ছে উল্টো দিকে।
আমার মন ৯ নাম্বার সতর্ক বার্তা দিচ্ছে।
🥴 গল্প পড়ে কেউ কেটে পরবেন না, গল্প সাজাতে কষ্ট হয় নিযের সময় নষ্ট করে আপনাদের জন্য গল্প লিখি,,, সবার কাছে অনুরোধ! সবাই লাইক কমেন্টস করবেন। আপনাদের লাইক কমেন্টস দেখলে মন চায় সারাদিন গল্প লিখি😊😊 ধন্যবাদ ইতিঃ (Abu Noman)গল্পের মাঝে বিরক্ত করার জন্য দুঃক্ষিত! আমি বিছানার উপর বসতেই বিছানায় বসে থাকা ডাক্তার মেয়েটি নড়ে চড়ে বসল।
আমি ভয় পেয়ে লাফ দিয়ে উঠলাম। আমার মনে হলো মেয়েটা চাকু বের করেছে।
আমার এ রকম কান্ড দেখে মেয়েটা হকচকিয়ে উঠল।
মনে মনে হয়তো বলেছে, এ কেমন ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছে আমার বাবা৷
মেয়ে লম্বা ঘুমটা টেনে বসে আছে।
আমিও আবার শান্ত হয়ে বসলাম।
মনের মধ্যে নানান ধরনের রোমান্টিক গল্প সাজাচ্ছি।
কিন্তু যা মনে আছে তা মুখ দিয়ে বের হচ্ছে না।
হাজারো চেষ্টা করছি। কিন্তু কাজ হচ্ছে না।
এরকম চেষ্টা করতে করতে রাত সম্ভবত আর ১ ঘন্টাচলে গিয়েছে।
আমি চিন্তা করলাম নাহ এবার কথা বলবই।
আমি শুধু বলব, কেমন আছেন? এর মাঝেই ময়ে আমাকে ধমকের শুরে বলল, ওই মিয়া ওই কথা বলেন না কেন? কথা বলতে যখন এতই লজ্জা তাহলে গুমটা ধরেন আমি কথা বলছি। আমি শেষ আরে ভাই এটা মাইয়া নাকি আগুনের গোলা। একটা দজ্জাল মাইয়া জুটলো কপালে। তবে গলার স্বরটা মিষ্টি আছে।🙂 এবং প্রচন্ড রাগ ও আছে৷ ©আমিঃ কেমন আছেন আপনি? ®কনেঃ আর কেমন থাকব