ভয়

0 13
Avatar for Bijoy11
4 years ago

ভার্সিটি লাইফে আমি একবার ভয় পেয়েছিলাম। প্রচণ্ড ভয়। যে রকম ভয়ে হাত, পা, মগজ সব ঠাণ্ডা হয়ে যায়। আমার মনে হয় আপনাকে গল্পটা বলা যায়। বিশ্বাস-অবিশ্বাস আপনার ব্যাপার। এমনিতে এরকম ঝড়-বৃষ্টির রাতে একটা ভয়ের গল্প মনে হয় খারাপ হবে না। ভুতের গল্প না বলে ভয়ের গল্প বলছি কারণ ব্যাপারটা আমি ঠিক প্রচলিত ভূত সংশ্লিষ্ট মনে করি না।

তো যা বলছিলাম। তখন আমি খুলনা ইউনিভার্সিটিতে ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ১ম বর্ষে পড়ি। খটোমটো নাম। সংক্ষেপে ECE বলি। মাস দুয়েক মত ক্লাস হয়েছে। খুলনা ইউনিভার্সিটিতে হলে সিট সমস্যার কারণে থাকার জায়গার খুব সমস্যা। প্রথম দুই বছর হলে সিট পাওয়া যায় না। এ সময়টা বাইরে মেসে বা কোন বাসা ভাড়া নিয়ে কাটিয়ে দিতে হয়। অন্যদের মতো আমিও এ মেস ও মেস করে বেড়াচ্ছি, জুতসই থাকার জায়গা পাচ্ছি না। আমরা চার-পাঁচ জন ক্লাসমেট মিলে ঠিক করলাম 'নিরালা'তে একটা বাসা ভাড়া নিয়ে একসাথে থাকব। 'নিরালা' হলো মোটামুটি ভাল একটা আবাসিক এলাকা, ভার্সিটি থেকে রিকশায় বারো-পনের মিনিটের পথ। তখনো নিরালায় এখনকার মত এত বিল্ডিং তৈরি হয় নি। মাঝে মাঝেই ফাঁকা প্লট, বেশ গাছপালা আছে।

আমরা রুটিন করে প্রতিদিন বিকেলবেলা বাসা খোঁজাখুঁজি শুরু করলাম। কেউই ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া দিতে চায় না। বাড়ি ভাড়া নিতে চাই শুনে প্রথমেই বলে, ব্যাচেলর? বাড়ি ভাড়া হবে না। ক্রমাগত এই কথা শুনতে শুনতে আমরা আমাদের চেহারা নিয়ে হীনমন্যতা বোধ করা শুরু করলাম। হয়ত আমাদের চেহারা দেখেই মনে হয় যে আমরা তার বউ অথবা মেয়েকে নিয়ে ভেগে যাব। তারপর থেকে আমরা শেভ-টেভ করে ভদ্র পোশাক-আশাক পরে বাড়ি ভাড়া খুঁজতাম। নিয়াজ শখ করে 'ডিস্টারবড' ব্যান্ডের ভোকালের মত দাড়ি রাখত। আমরা ধরে-বেঁধে ওকে শেভ করিয়ে দিলাম। আমাদের মধ্যে দেখতে সবচেয়ে ভদ্র, সুইট ছিল অপু। বাড়িওয়ালাদের সাথে কথা বলার সময় ওকে ঠেলে এগিয়ে দিতাম। কিন্তু বিড়ালের ভাগ্যে শিকে আর ছেঁড়ে না। এক একটা বাড়িতে ব্যর্থ হই আর নিজেদের মধ্যে বাড়িওয়ালাকে গালাগালি করি, ওর মেয়ের যেন ব্যাচেলরের সাথে বিয়ে না হয় বলে বদ দোয়া করি আর বাড়িওয়ালাদের কেন এত মেয়েসন্তান হয় তা নিয়ে গবেষণা করি।

এভাবে মাসখানেক চলার পর একদিন আমাদের কপাল খুলে গেল। নিরালার শেষ দিকে একটা বাসা ভাড়া পেয়ে গেলাম। একতলা এক ইউনিটের বাড়ি, তিন বেডরুম- ঠিক যেমনটা আমরা চাচ্ছিলাম। বাড়িওয়ালা থাকেন না। সরি বাড়িওয়ালা না, বাড়িওয়ালী। কেয়ারটেকার রহমত আলীর কাছে শুনলাম যে, বাড়িওয়ালা বছর পাঁচেক হলো মারা গেছেন। তারপর থেকে বাড়িওয়ালীও আর এখানে থাকেন না। তিনি সাতক্ষীরায় থাকেন। কেয়ারটেকার রহমত আলী তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয়।

বাসা পেয়ে তো আমরা মহাখুশী। ব্যাচেলর মাত্রেই জানে যে বাড়িওয়ালা না থাকাটা কত বড় সৌভাগ্যের। বাড়িওয়ালারা যেমন ব্যাচেলরদের দেখতে পারে না, তেমনি ব্যাচেলররাও বাড়িওয়ালাদের দু'চক্ষে দেখতে পারে না।

বাসাটা ছোট কিন্তু বেশ বড় জায়গা জুড়ে, নয়-দশ কাঠা হবে, পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। আশে-পাশের কয়েকটা প্লট ফাঁকা, এখনো বাড়ি তৈরি হয় নি। পাঁচিলের ভেতরে পিছনের দিকে একটা ঝুপড়ী ঘর, বোধহয় কাজের লোকদের থাকার জন্য করা। এখন আর কেউ থাকে না। কয়েকটা আমগাছ আর পেয়ারাগাছ চোখে পড়ল। সময় সুযোগ হলে কিছু আম-পেয়ারা আমাদের পেটের ভেতর যাবে ভেবে পুলকিত হলাম। সস্তা খাট-টেবিল দিয়ে আমাদের সংসার সাজিয়ে ফেললাম। অন্যরুম দুটোতে দু'জন করে আর বাকীটাতে আমি একা। রুমে ডাবলিং করতে আমি একটু অস্বস্তি বোধ করি।

আমাদের পাঁচ জনের সংসার শুরু হল। আমাদের কাজে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে হাজির হওয়ার মত বাড়িওয়ালা নেই বলে আমরা মহাখুশি। সন্ধ্যার পর ছাদে আড্ডা দিই। নিরালায় তখন অনেক ছাত্ররা থাকত। তাদের অনেকেই আমাদের আড্ডায় যোগ দিত। নিয়াজ আমাদের বিশিষ্ট গায়ক এবং গিটারিস্ট। গীটার বাজানো, গান, দশ-বারো জন বন্ধু মিলে আড্ডা, তাস খেলা - সব মিলিয়ে বলতে পারেন সুখী ছাত্রজীবন কাটাচ্ছিলাম।

এর মাঝে এক রাতে একটা ছোট সমস্যা হয়ে গেল। তখন রাত দুটো-তিনটে হবে। কোন একটা শব্দে আমার ঘুম ভেঙে গেল। খেয়াল করলে শুনি সামনের চেয়ারটায় ক্যাচ-ম্যাচ শব্দ। সস্তা কাঠ। চেয়ারে বসে কেউ সামান্য নড়লেই শব্দ হয়। আমি মাথার কাছের বেড সুইচটা অন করেই ভয়ে পুরোপুরি জমে যাই। দেখি আশি-নব্বই বছরের এক অতি বৃদ্ধ লোক চেয়ারের উপর বসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। মাথায় অল্প কয়েকগাছি চুল, ময়লা সাদা কাপড় রক্তে মাখামাখি। আমি প্রচণ্ড এক চিৎকার দিতে যেয়ে নিজেকে সামলে নিই। ভুতের ভয় পেয়েছি জানাজানি হলে খুব লজ্জার ব্যাপার হবে। আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি। নিজেকে বোঝাই, আমি যা দেখেছি তা হেলুসিনেশন, আমার কল্পনা। দরজা-জানালা সব বন্ধ করে ঘুমিয়েছি। ঘরে কোন বৃদ্ধ মানুষের ঢোকার কোন প্রশ্নই আসে না।আমি ভয়ে ভয়ে আবার চোখ খুলি। দেখি বুড়োটা তখনও আমার দিকে তাকিয়ে আছে। বড় বড় চোখগুলো ধকধক করে জ্বলছে। আমার চিন্তা বুঝতে পেরেই কিনা কে জানে, আমার দিকে তাকিয়ে হাসল। সে কী ভয়ানক হাসি! বুড়োর মুখের কাটাটা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বড়। দেখে মনে হচ্ছে কেউ কোন ধারাল চাকু দিয়ে ঠোঁটের দুইপাশ চিরে দিয়েছে। হলদে মাড়িগুলো বের হয়ে আছে। আমার দেখতে ভুল হতে পারে, কিন্তু মনে হল ঠোঁটের চেরা জায়গায় তখনো শুকনো রক্ত লেগে আছে। আমি আবার চোখ বন্ধ করে ফেলি। এর কিছুক্ষণ পর তাকিয়ে দেখি চেয়ার ফাঁকা, ঘরে কেউ নেই। চারপাশের নিস্তব্ধতা বড় বেশি কানে বাজল। ভয়ে আমি সারারাত লাইট জ্বালিয়ে বিছানায় বসে থাকলাম।

পরের দিন ভয় অনেকখানি কেটে গেল। দিনের আলো ভয় কমিয়ে দেয়। নিজেকে মোটামুটি বিশ্বাস করিয়ে ফেলি যে যা দেখেছি ভুল দেখেছি। আমি ভীতু নই, আবার অতিপ্রাকৃত ব্যাপারগুলো পুরোপুরি অবিশ্বাসও করি না। সায়েন্স যদিও ভুত বলে কিছু নেই ঘোষণা দিয়ে ক্রমাগত বিজ্ঞাপন প্রচার করে, তারপরও অনেক অতিপ্রাকৃত ব্যাপারই সায়েন্স ব্যাখ্যা করতে পারে না। আমি নিজে সায়েন্সের লোক, তাই সায়েন্সের ফাঁকগুলো মোটামুটি ধরতে পারি। একটু চিন্তা করে দেখুন, সায়েন্স এখন এমন অনেক কিছু সম্ভব করেছে একশ বছর আগে যেগুলো স্রেফ ভৌতিক ব্যাপার। আমরা যে সিনেমা ডাউনলোড করি তাও কিন্তু একশ বছর আগের হিসাবে অতিপ্রাকৃত। ওয়াই-ফাই ধরনের নেটওয়ার্কে তো তারই লাগে না। যে নায়ক-নায়িকা আপনার কম্পিউটার মনিটরে নাচানাচি করছে তারা কিন্তু কিছুক্ষণ আগেই অদৃশ্য ছিল। সবই ইলেক্ট্রনিক ফ্রিকোয়েন্সি। এক সময় হয়ত মানুষকেও এভাবে ট্রান্সফার করা যাবে। যে রহস্যময় জিনিসগুলো আমরা মানুষেরা করছি সৃষ্টিকর্তা যে তারচেয়ে বহুগুনে রহস্যময় কিছু করবেন তাতে আর আশ্চর্য কি। আমাদের পবিত্র কোরআন শরীফেও তো জীনের কথা স্পষ্টভাবে বলা আছে।

আপনি হয়ত এতক্ষণে গালাগালি দিতে শুরু করেছেন। ব্যাটা ভুতের গল্পের নাম করে সায়েন্স কপচাচ্ছিস! গল্প থেকে দূরে সরে যাওয়ার জন্য সরি ভাই।

তো যা বলছিলাম। পরের দিন আমি নিজেকে প্রায় বিশ্বাস করিয়ে ফেলি যে যা দেখেছি তা আমার কল্পনা। আজ কষে একটা ঘুম দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। সেদিন রাতে কষে একটা ঘুম দেব বলে কেবল শুয়েছি, দেখি আমার খাটের নিচে কেমন জানি একটা শব্দ হচ্ছে। খেয়াল করে শুনলে মনে হল, কেউ নখ দিয়ে মেঝে খামচাচ্ছে। নিজেকে বোঝালাম ইঁদুর-টিদুর ও হতে পারে। লাইট জ্বালিয়ে খাট থেকে নেমে সাহস সঞ্চয় করে খাটের নিচে উঁকি দিলাম। দিয়েই গত রাতের সব ভয় একসাথে ফিরে আসল। দেখি গতকালের বুড়োটা ঘাপটি মেরে বসে আছে। খাটের নিচের অন্ধকারের ভিতরেও চোখ দুটো জ্বল জ্বল করছে। আমাকে দেখেই হাত বাড়াল, যেন আমাকে ধরতে চায়। আমি পালাতে যেয়ে দেখি পা নাড়াতে পারছি না। মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখি একটা বড় বড় নখওয়ালা হাত খাটের নিচ থেকে বেরিয়ে আসছে আমার পা ধরার জন্য। অনেক চেষ্টা করে পা তুলে দৌড়াতে যেয়ে পায়ে পা বেধে দড়াম করে মেঝেতে পড়ে গেলাম। বাসার অন্যরা আমার পড়ার শব্দ শুনে দরজা ধাক্কাচ্ছে। আমি অনেক কষ্টে খাটের নিচে তাকিয়ে দেখি বুড়োটা আর নেই। আমার কপালের কাছটা ফুলে গেছে মনে হচ্ছে। প্রচণ্ড ব্যাথায় বাম হাত নাড়াতে পারছি না।

এ যাত্রায়ও আমি বুড়োর ব্যাপারটা কাউকে বললাম না। ভুতের ভয় পেয়ে আছাড় খাওয়া খুব একটা গর্বের বিষয় না। তাছাড়া, অতিপ্রাকৃত ব্যাপার বিশ্বাস করলেও কোন একটা ভুত কোন কারণ ছাড়াই আমার পা ধরে টানাটানি করার চেষ্টা করবে- আমি নিজেও এটা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমি ধরে নিলাম এটা সিজোফ্রেনিয়া রোগীদের মত সমস্যা। এ ধরনের রোগীদের প্রচুর হেলুসিনেশন হয়, কল্পনায় নানা ধরনের মানুষকে দেখে যাদের কোন অস্তিত্ব নেই। যাদের অবস্থা সিরিয়াস তারা কাল্পনিক লোকদের সাথে বসবাস করতে থাকেন।

আমি নিজেই আমার ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করলাম। আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের একটা ছেলেকে আমার রুমে উঠালাম। নাম ইমতিয়াজ। ইমতিয়াজ আসার পর আমার ভয় অনেকটা কমে যায়। ছেলেটা রাত জেগে কাজ করে। আমি একা জেগে থাকার রিস্ক না নিয়ে ও ঘুমানোর আগেই ঘুমিয়ে পড়ি। এভাবে বেশ কয়েকমাস কেটে গেল। বুড়োর কোন দেখা নেই। আমার ট্রিটমেন্টে আমি নিজেই মুগ্ধ।

এর মাঝে আমাদের কাজের বুয়া পাল্টানো হল। নতুন বুয়া নাকি এর আগেও এ বাড়িতে কাজ করেছে। সে আমাকে প্রথম দিন দেখেই বলে উঠল, 'মামা, আফনের চেহারা এক্কেবারে এই বাড়ির ভাইজানের মতো'। শুনে আমার একটু কৌতূহল হল। জিজ্ঞেস করে করে বুয়ার কাছ থেকে যা জানতে পারলাম তা যথেষ্ট ইন্টারেস্টিং। ঘটনা হল - ঐ বাসার বাড়িওয়ালা-বাড়িওয়ালী দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। পরে তারা একটা ছেলে দত্তক নেন। বড় হয়ে ছেলেটা পুরোপুরি বখে যায়। সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বাড়িওয়ালা বাবার সাথে প্রচণ্ড ঝগড়াঝাঁটি হয় এবং এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে বাবাকে খুন করে। এই বাসারই কোন এক বাথরুমে নাকি লাশ অনেকদিন লুকানো ছিল। পরে ছেলেটি ধরা পড়ে এবং ফাঁসি হয়। অনেক ট্র্যাজিক ঘটনা। কিন্তু সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল ঐ ছেলেটা নাকি দেখতে আমার মত ছিল!

আমার ভয় পাওয়ার ব্যাপারটা আমি ভুলেই গেছিলাম। গল্পটা আমার আগের ভয় পাওয়ার সাথে মেলালে মোটামুটি একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়। তবে ব্যাপারটা অনেকদিন হয় নি বলে সাহসের সাথে ব্যাপারটা নিছক কাকতালীয় বলে মাথা থেকে দূর করে দিলাম।

এর মাঝে আমাদের পি.এল. (প্রিপারেশন লীভ; পরীক্ষার আগে সপ্তাহখানেকের ছুটি) দিল। আমরা সব যে যার বাড়ি চলে গেলাম। বাসায় ঠিকমত পড়াশোনা করা হয় না বলে পরীক্ষার কয়েকদিন আগেই খুলনা চলে আসলাম। আরো কয়েকজন ওইদিন আসবে বলেছিল, কিন্তু নানা কারণে আর কেউ ওইদিন আসল না। সন্ধ্যার দিকে বাসায় ঢুকেই মনে হল, পুরো বাড়িতে আমি একা। আগের সব ভয়গুলো একসাথে মনে পড়ে গেল। কিছুক্ষণ পর লোডশেডিং হল। আমার এত ভয় লাগছিল যে আমি বাসা থেকে বেরিয়ে নিরালা মোড়ে একটা চায়ের দোকানে ইলেক্ট্রিসিটি না আসা পর্যন্ত বসে থাকি। ইলেক্ট্রিসিটি চলে আসলে বাসায় ঢুকি। বাসায় ঢুকে কেবল দরজা দিয়েছি, শুনি পিছনে গোঁ গোঁ শব্দ শব্দ হচ্ছে। তাকিয়ে দেখি সেই অতি বৃদ্ধ লোকটা। ভয়ে আমার এক পাও নড়ার ক্ষমতা নেই। বুড়োটা দৌড়ে এসে ওর কংকালের মত আঙুল দিয়ে আমার গলা চেপে ধরল। লোহার মত শক্ত আঙুল। আমি যথেষ্ট শক্তিশালী। কিন্তু কোনভাবেই ওর হাত থেকে নিজেকে ছাড়াতে পারলাম না। শুধু চিৎকার করতে থাকি, 'আমি না। আমি না'। এরপর আর কিছু মনে নেই।

পরের দিন হাসপাতালে আমার জ্ঞান ফেরে। আমরা ঐ বাসাটা ছেড়ে দিই। এরপর আর কোনদিন আমি ঐ বুড়োকে।

1
$ 0.00
Avatar for Bijoy11
4 years ago

Comments