কাম্য-মরণ

0 8
Avatar for Bijoy11
3 years ago

আফসানা নীলা।নীলার পুরো নাম।তার মায়ের নাম হচ্ছে ইসরাত নীলা।আশ্চর্য! মা-মেয়ের একই নাম। অনেকটা ফরেইন নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে।বাবা কিংবা মায়ের নাম শেষ অংশে থাকে।যেমন আমার নাম ইশান।তাহলে আমার ছেলের নাম হবে জুনিয়র ইশান।বাহ ভালোই তো।

গতকাল রাতে ঘটনা মাকে এখনো জানাইনি।নাহলে পরে আমাকে বলবে ব্যবসা করতে হবে না তোর।ঘরে বসে লেখাপড়া কর।কিন্তু আমি লেখাপড়া ছেড়েছি ব্যবসার জন্যই।কোনোভাবেই এটা মাকে জানানো যাবে না।

সকালে উঠে নাস্তা করলাম।বাসায় আম্মু নেই হয়তো নীলার বাসায় গেছেন খাবার দিয়ে আসতে।আমি একা।আমার ছোট ভাই আরিফ ঘুম থেকে উঠে এগারোটা বাজে।সেই হিসেবে আমি একাই আছি বাসায়।আব্বু মনে হয় বাজারে গেছেন।

চা খেতে খেতে বারান্দায় এসে দাড়ালাম। কিছুক্ষণ বাদে মানে দুই-তিন চুমুক চায়ের কাপে দিবার পর দেখলাম পুলিশের গাড়ি এলো। পুলিশের যেই জিপগুলো থাকে না সেগুলো।একজন অফিসার নামলেন;তার পিছে পিছে তিনজন কন্সটেবল গেলেন।কেইস কিছু বুঝলাম না।আমার বারান্দা থেকে নীলাদের সিড়ি দেখা যায়।তো দেখতে পেলাম তারা তাদের বাসায়ই ঢুকছে।আমি আর ওইদিকে নজর দিলাম না।চা পান করতে করতে ঘরে চলে এলাম।অমনি দেখি আরিফ আমাকে এসে বলছে,"তোমার ফোন কার কাছে দিয়ে আসছো?"

আমার মনে একটু ভয় টোকা দিলো।

"আমার ফোন মানে?কি বলস এইগুলা?"

"আরে আম্মু তোমাকে এত কল করতেসে এক লোক ধরসে এরপর কি আবোল তাবল বলে ফোন অফ করে দিছে।এখন আমাকে কল দিয়ে বলছে যে নীলা আপুদের বাসায় যাইতে তাড়াতাড়ি। "

"ওহ আচ্ছা। আমার ফোন মনে হয় দোকানে ভুলে ফেলে এসেছি।"

"দোকানে ফেলে এলে তো কেউ এভাবে ধরে আবোল তাবোল বলতো না!"

"তুই এতো কান দিবি না।যা নাস্তা কর।আমি দেখি কি করা যায়।"

[ | ]

হাফ প্যান্ট পরনে ছিলো।চেঞ্জ করে এখন ফুল প্যান্ট পরলাম।আম্মুর মারাত্মক নিষেধ আছে বাইরে ছোট প্যান্ট পরে যাবার।বখাটেরা হাফ প্যান্ট পরে রাস্তায় ঘুরে বেরায়।

নীলার বাসায় ঢুকলাম।প্রায় দুই বছর পর।আমি দুই বছরে একবারো তাদের বাসাই যাইনি।বাসার ভেতরে ঢুকে বসার প্রথমেই আম্মু বললো,"তুই নীলাকে আমাদের দোকানে নিয়ে যা।"

"কেনো?"

"এমনি বাসায় একদম একা সে।দোকানে বসে কিছু পছন্দ হলে প্যাক করে দিস।"

"তুমি নিয়ে আইসো।"

"না তুই নিয়ে যা।"

"পুলিশ কেনো এসেছে?"

"ওইযে ইনভেস্টিগেট করতে এইটা আত্মহত্যা নাকি মার্ডার টাইপ কিছু।"

"এটা তো ক্লিয়ার আত্মহত্যা। "

"এরপরো পুলিশের কিছু কাজ থাকে। "

নীলা আমার সাথে আসতে চাচ্ছিলো না। আমিও চাইছিলাম না সে আমার সাথে আসুক।কিন্তু দুজনেরই দুঃস্বপ্ন পূরণ হলো।

যাবার সময় আম্মু আমার পেটে জোরে একটা চিমটি কাটল।নীলা নিচে নেমে গেছে। আমাকে এখনো উপরে ধরে রেখেছে আম্মু।

"তোর কি আক্কেল বুদ্ধি নেই?"

"কেন? আমি আবার কি করলাম?"

"নীলার মা মারা গেছে বেচারির অবস্থা খুব খারাপ।আমি বললাম তোকে ওকে দোকানে নিয়ে যেতে।ভালো লাগবে;কিন্তু তুই ওর সামনে বললি কি?কেনো নিয়ে যাবি?"

এরপর আরো একটা চিমটি কাটলো।বললো,"তুই বড় কবে হবি?"

আমার আম্মুর এই শাস্তির স্টাইল আমার খুব পছন্দ।ছোটবেলায় কিছু তার অনিচ্ছার বিরুদ্ধে করতে গেলেই চিমটি মারত।তখন আমি সবার সামনে থাকলে না পারতাম কাদতে না চিৎকার করতে।ব্যাথার চোটে ঝিম মেরে বসে থাকতাম।আমার ভাই আরিফ আবার এর উল্টো।ও একবার মেহমানদের সামনে বলে উঠেছিলো,"আংকেল গতবার তো ভাইয়াকে পাচশ টাকা দিয়েছিলেন।এবার আমাকেও দিয়েন।"

আম্মু পাশেই ছিলো।ওর পেটে একটা চিমটি দিবার পরপরই ও জোরে বলতে লাগল,"আম্মু চিমটি কেনো দিচ্ছো?ব্যাথা পাই তো।"

সেদিন আম্মু লজ্জায় পড়ে গিয়েছিল।এরপর ওর ভাগের চিমটিও এখন আমিই পাই।

[ | | ]

রিক্সায় নীলা একটা প্রশ্ন করার পর থেকে আমার খুব খারাপ লাগা শুরু করল।সে বলেছে যে,"আমি জানি আপনি আমার সাথে বের হতে চাচ্ছিলেন না।কিন্তু এরপরও আমি বেহায়ার মতোই আপনার সাথে বের হয়েছি।আমার যে কেউ নেই।"

কথাটা শুনার পর আমার অনেক মায়া হলো তার প্রতি।আমি ঠিক করেছিলাম আমার এই অদ্ভুত স্বপ্নের ব্যাপারে জাফরের সাথে কথা বলবো।সেজন্য নীলাকে দোকানে রেখেই যেতাম কিন্তু এখন ওকে নিয়েই যাচ্ছি।পথে ফোন করে কর্মচারীদের বলে দিলাম আমার আসতে বিকাল হবে।ওরা যেন দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত সব সামলিয়ে নেয়।

জাফর কোনো সাইকোলজিস্ট নয় কিংবা কোনো স্বপ্ন বিশেষজ্ঞও নয়।সে হলো একজন পড়ুয়া।তার বাসায় প্রায় ছ'হাজার খানেক বই।খুব ট্যালেন্টেড।আমি ড্যাম শিউর ও এই ঘটনার ব্যাখ্যা খুব সহজেই দিতে পারবে।ছ'হাজার বই এরপর ওর নিজস্ব একটা ই'বুক লাইব্রেরি আছে।মানে সেখানে আছে আরো ত্রিশ হাজার বই।সেই ওয়েবসাইটটা তারই।তার এই ওয়েবসাইটের পেছনে আমিও লুকিয়ে একলাখ ইনভেস্ট করেছিলাম।প্রফিট ভালোই পাচ্ছি।

জাফরের একটা ঘটনা আমাকে এখনো অবাক করে।সে ক্লাস এইটে একবার একটা চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলো;সেটা হচ্ছে প্রতিদিন একটি করে বই পড়ে শেষ করবে।আমরা তখন একাডেমিক বই নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম আর জাফর ঠিকই তার চ্যালেঞ্জ কমপ্লিট করত।বছর শেষ হলে দেখতে পেতাম ৩৪৪ টা বা ৩৫০ টা বই পড়ে শেষ করে ফেলেছে এবং আমাদের সেই লিস্ট এনে দেখাতো।

জাফরের বাসায় যাচ্ছি সেটা নীলাকে বললাম না।দেখি তার রিয়েকশন কি হয়।সে কি আসলে জানে আমাদের দোকান কোনটা?

[ | | | ]

না!নীলা কিচ্ছু বলছে না।সে এক দৃষ্টিতে সামনে তাকিয়ে আছে।কিচ্ছু বলছে না।আমি বুঝতে পারলাম।তার মায়ের মৃত্যু তাকে স্তম্ভিত করে তুলেছে।কি এমন কষ্ট ছিলো তার মায়ের?যার কষ্টে তিনি জীবনটাই শেষ করে দিলেন।আসলে সেই মানুষটিই বুঝে যার অভিজ্ঞতা আছে।আমি তো সাধারণ মানুষ। কোনোদিন জটিলে যাবার প্রয়োজনও মনে করিনি।আমার আম্মুও আমাকে এভাবেই গড়ে তুলেছে।অনেকেই বলে বড় হলে অনেক বড়সড় ধাক্কা খাবে কারণ তুমি গভীর বুঝো না।আমি বলি গভীরতা না জেনেই সেটা বুঝতে যাওয়া বোকামি।আর আমি তো যথেষ্ট বড়!কই কোনো সমস্যা তো হচ্ছে না।

জাফরের বাসার সামনে নামার পর রিক্সা ভাড়া দিলাম।নীলা রিক্সা থেকে নামছে না।

"তুমি কি নামবে নীলা?"

প্রথম ডাকে সে শুনলো না।

দ্বিতীয় ডাকটা আমি তার হাত ধরে দিলাম।

"নীলা তুমি কি নামবে?"

সে এবার শুনে একেবারে নেমে গেলো।

"আমরা কই এসেছি?"

"আমার এক বন্ধুর বাসায়।"

"কেনো?"

"আসোই না একবার। "

ওকে নিয়ে গেলাম সাথে।

[ | | | | ]

জাফর দরজা খুলেই,"আরে ভাবিকেও নিয়ে এসে পড়লি!ভাবি সালাম নিবেন।"

জাফরের চশমার উপরে সূর্যের আলো পড়ার কারণে সে কার দিকে তাকিয়ে আছে বুঝাত উপায় নেই। আমি আর নীলা দুজনেই লজ্জায় পড়ে গেলাম।আমার এখন রেগে যেতে হবে নাহলে মনে করবে আসলেই বুঝি ভাবি।

"আরে!কি বলস।ভাবি কি করে হইলো।ও আর আমিই..."

"আরে বুঝছি। কাল রাতে তো আমাকে বলসিলি সব। আসেন ভাবি ভিতরে আসেন।"

নীলা আমার দিকে বড় চোখে তাকিয়ে ভিতরে ঢুকল।

জাফর তার ড্রইং রুমে আমাদের নিলো।এটা ড্রইং রুম যদিও না। একটা বড়সড় রিডিং রুম।দেয়ালের যেদিকেই তাকাই বুকসেলফ আর বই এবং বই।

জাফর রকিং চেয়ারে দোল খেতে খেতে বলতে শুরু করল,"দোস্ত তুই যে প্রব্লেম এর কথা বলতেছস এটার কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই কিন্তু আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা ও বাস্তবিক ব্যাখ্যা আছে।"

"তাহলে?"

"একমাত্র কাছের মানুষ আর প্রিয় মানুষদের সাথেই এরকমটা ঘটে।"

"কিন্তু ভাই আমাদের সাথেই কেনো!"

"তোরা বাদেও অনেকের সাথেই এরকম ঘটে।"

"কিভাবে প্রমাণ দেখা!"

"আমি জানতাম তুই বলবি এই কথা।তোর জন্য সব রেডি।"

জাফর অনেকগুলো আলপিন এক মুঠোয় নিলো।

"ভালো করে দেখ।"

এই কথাটা বলেই সে টেবিলে আলপিন গুলো ছুড়ে মারল।পুরো টেবিলে সব আলপিন ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেলো।ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে দেখে নীলা সোফা থেকে উঠে আমার পাশে দাড়িয়ে সব দেখছে।

আমি কিছুই বুঝতে না পেরে,"এটার সাথে কি বলছিস বুঝলাম না।কিছুই রিলেট করতে পারছি না।"

"তুই এতো অস্থির হয়ে যাস কেন বলতো।আমি যেহেতু দেখাচ্ছি তার মানে এর পিছে কোনো যুক্তি নিশ্চয়ই আছে।জাফর যুক্তি ছাড়া কথা বলে না।"

এরপর একটা লম্বা নিঃশ্বাস নিয়ে জাফর আবার কথা বলা শুরু করল,"এখানে আমি কিন্তু সব আলপিন ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছি।"

"হুম"

"প্রায় দুইশ'র মতো আলপিন আছে এখানে।কোনোটার সাথে কোনোটারই মিল নেই।কিন্তু খেয়াল করে দেখবি এই সবগুলোর মধ্যে এমন দুটো আলপিন খুজে পাবি যাদের দিক একই দিকে এবং সমান।বাকিগুলো নানাদিকে নানাভাবে ছড়িয়ে আছে।"

আমি সাথে সাথে খুজতে শুরু করলাম।তিন চার মিনিট পর আমি থ হয়ে বললাম,"আসলেই তো!"

"এই পৃথিবীর সব কিছুই প্রবাবিলিটির দ্বারা ব্যাখ্যা করা সম্ভব।স্বপ্নের সাথে এই আলপিন গুলো রিলেট কর।বুঝতে পারবি।"

"মানে আমি আর নীলার মধ্যে এই মিল আছে যে আমরা মাঝে মাঝে একই স্বপ্ন দেখবো?"

"হ্যা।তবে একটা জিনিস বুঝতে পারছি না।"

"কি?"

"খুব ঘনিষ্ঠ না হলে এরকমটা হয় না।"

"আমাদের মাঝে কোনো ঘনিষ্ঠতা নেই।"

নীলা বলে উঠল।

জাফর একটা বই বের করল।এরপর সে খুব সুন্দর করে একটা ব্যাখ্যা দিলো।

"নীলা তুমি কি কখনো হোস্টেলে থেকেছো?"

"হ্যা,একবছরের মতো।"

"কখনো কি খেয়াল করেছো হোস্টেলের তোমার রুমমেট আর তোমার একই সাথে একই সময়ে পিরিয়ড শুরু হচ্ছে।মানে সময়ের ব্যবধান কম কিন্তু একই দিনে শুরু হচ্ছে?"

"হ্যা,হ্যা এরকম তো হয়েছে।"

নীলা খুব উৎফুল্ল হয়ে বলল কথাটা।

"এটাকে মেন্সট্রুয়াল সিনক্রনি বলে।কাছের মানুষদের মাঝে অটোমেটিক্যালি এক ধরনের আত্মিক একটা যোগাযোগ তৈরি হয়।

এই জন্যই সন্তানের বিপদে মা বাবা দুরে থাকলেও টের পায়... স্বামীর কিছু হলে স্ত্রীর মন ছটফট করতে থাকে। এমনকি কাছের বন্ধুর কিছু হলে আরেক বন্ধুও সেটা বুঝতে পারে।আর স্বপ্নের ক্ষেত্রেও সেইম।তারা মাঝে মাঝেই একসাথে একই স্বপ্ন দেখে থাকে।কিন্তু তোমাদের মাঝে তো এমন কোনো সম্পর্ক নেই তাহলে আমি বুঝতে পারছি না।"

এরপর জাফর আমাদের একটা মজার ঘটনা শুনালো,

"উনিশ শতকে এক নারী প্রেমে পড়ে বিয়ে করে।এবং দেখা যায় তার এক্সিডেন্ট এ এক হাত কেটে দিতে হয়।তার স্বামীর আবার কয়েক বছর পর ক্যান্সার হয়।এবং তাতে সে মারা যান।"

"এরপর?"

"তুই এতো ধৈর্যহারা কেন হস বুঝি না আমি।এরপরই এলো আসল টুইস্ট। ওই মহিলার একটা ছোট বোন ছিলো।ছোট বোনের প্রেম,জীবন হুবহু তার সাথে মিলছিলো।সেও একই ভাবে প্রেম করে বিয়ে করে।এক্সিডেন্টে তারও হাত কেটে দিতে হয়। স্বামীর ক্যান্সার হয় এবং তাতে মারা যায় তার স্বামী।আর মজার ব্যাপার কি জানস?ওই মহিলার প্রেম হয়েছিলো কার সাথে জানোস?"

"কার সাথে?"

"ওইযে বড় বোনের জামাই যে মারা গেলো না?"

"হুম।"

"তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে।এবং প্রেমের ক্ষেত্রে প্রথম দেখা,বিয়ে সব একই জায়গায় হয়। মানে যেই জায়গায় বড় বোনের সাথে তার জামাইয়ের প্রথম দেখা হয় ঠিক সেই জায়গায়ই ছোট বোনের সাথে তার জামাইয়ের প্রথম দেখা হয়!আমাদের সবার জীবনে ছোট থেকে বড় প্যারালাল ঘটনা ঘটে।"

"তার মানে অনেক মানুষের সাথেই আমাদের মতো এরকম ঘটনা ঘটছে?"

"হুম শুধু ঘটছেই না।হুবহু ঘটছে।"

[ | | | | ]

জাফরের বাসা থেকে ফিরে আসার সময় রিক্সায় আমার মাথা কাজ করছে না।

"একটা কথা বলবো?"নীলার কণ্ঠ

"কি?"

"আচ্ছা এমনকি হয় ধরেন কেউ কাউকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু যাকে ভালোবাসে সে জানে না। তাহলে কি দুজনেই একই স্বপ্ন দেখতে পারে?"

"হয়তো.."

নীলা রিক্সা থেকে নেমে আমার দোকানে চলে গেলো।আমি বুঝতে পেরেছি নীলা আমাকে ভালোবাসে,অনেক ভালোবাসে!সেটা সে কখনো বলেনি আমাকে।

হঠাৎ আমার ফোন বেজে উঠল।আমাদের বাসার দারোয়ান কল করেছে।

"হ্যালো?"

"ভাই একটা কথা ছিলো সিরিয়াস।"

"কি?"

"ওইযে ওই আফার দূরসম্পর্কের ভাই আসে না?ওইযে মরার পর যে আইলো।"

"হুম?"

"উনারে তো আফার ফাস লাগনের আগেই আমি দেখসি বিল্ডিংয়ে উঠতে।"

"কি বলো সত্যি?"

"হ ভাই।"

আমার হাত কেপে উঠল। এটা কি মার্ডার? (চলবে)

কাম্য-মরণ

1
$ 0.00
Avatar for Bijoy11
3 years ago

Comments