গল্পঃ আতঙ্ক
পর্বঃ দুই
লেখাঃ তামিম নিয়াম
দুই
একটি চিঠি হাতে বেশ অনেকক্ষণ যাবৎ বারান্দায় পায়চারি করছেন সমির আলি। কয়েকবার পড়া হয়ে গিয়েছে এর মধ্যেই। চিঠির সব কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করছেন তিনি।
তার পুরোনো এক ছাত্রের দেওয়া চিঠি এটি, নাম শাহরিয়ার হাসান। খুব মেধাবী এবং গুরুভক্ত হওয়ায় তার কথা মনে ছিলো সমির আলির। সে একটি রোগী সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করেছে এই চিঠিতে। রোগীর কিছুটা সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়েছে সে। তার ধারনা এটি স্কিজোফ্রেনিয়া রোগ। চিঠিটা আবারও পড়তে হবে তাকে। তা না হলে সবকিছু ঠিক বুঝতে পারছেন না। কিছুটা গোলমেলে লাগছে বিষয়টা।
শ্রদ্ধেয় স্যার,
আমার সালাম নিবেন। আশা করি ভালো আছেন। আমি আপনার পুরোনো একজন শিক্ষার্থী। এখন নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছি। আপনার মনে আছে কিনা জানিনা, তাই আমার পরিচয়টা দিচ্ছি।
নামঃ শাহরিয়ার হাসান
বিষয়ঃ সাইকোলজি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ব্যাজঃ ২০০০
স্যার, কয়েকদিন আগে আমাদের হাসপাতালে একটি রোগী আসে। তার বয়স চৌদ্দ থেকে পনেরো বছর। ছোট একটি ছেলে। তার বাবা মারা গিয়েছে দুই বছর আগে। কয়েকদিন বাদে তার মা তাকে রেখে বিদেশ চলে যায়। এরপর থেকে গ্রামের বাড়িতে চাচা চাচির কাছে থাকে। কিন্তু ছেলেটির মতে সে গত কয়েকদিন আগে থেকে তার মৃত বাবাকে দেখতে পায়। তার বাবার সাথে কথাও বলতে পারে। তার চাচা বলেন তারা এসব নিয়ে তেমন মাথা ঘামাননি আগে। কিন্তু একদিন হঠাৎ সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। মুখ দিয়ে ফ্যানা বেড়োতে থাকে। পরদিন তাকে নিয়ে হাসপাতালে আসা হয়। কিন্তু আমি ছুটিতে থাকায় শিশু বিভাগের উপস্থিত ডাক্তার তাকে পরদিন আসতে বলেন। কিন্তু তারা আর আসেনি। হাসপাতালের রিসিপশন থেকে তাদের নাম্বার নিয়ে কল করলে তারা জানায়, তারা আর আসবে না।
স্যার, আমার মতে এই স্কিজোফ্রেনিয়া রোগের কেসটি খুব সহজ হবেনা আমার জন্য। তা ছাড়াও আমি মাত্র এক বছর আগে ডাক্তারি পাশ করলাম। সোজা কথায় এখানে আমি আপনার সাহায্য প্রার্থনা করছি। আমি চিঠির সাথে আপনার এখানে আসার সুবিধার্থে ট্রেনের টিকিট পাঠিয়েছি। আশা করি, আপনি ছোট ছেলেটির স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে হলেও এখানে আসবেন।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি, স্যার। আপনার সার্বিক সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ।
আপনার একান্ত,
শাহরিয়ার হাসান,
প্রভাষক,
নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল।
চিঠিটা অনেক সংক্ষিপ্ত করে ফেলেছে শাহরিয়ার। এখানে প্রয়োজনীয় তেমন কোনো তথ্যই দেয়নি সে। শুধু এই চিঠিটা পড়ে রোগের কোনো ধরন সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে বলা যাবেনা। তবে চিঠিটা পড়ে কিছুটা স্কিজোফ্রেনিয়া রোগ বলেই মনে হচ্ছে সমির আলির কাছেও।
বারান্দার কোণায় রকিং চেয়ারে বসে চায়ের কাপটা হাতে নিলেন সমির আলি। প্রথম চুমুক দিয়েই বুঝতে পারলেন, ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। কাজের ছেলে মুন্না ঘুমাচ্ছে। চা বানানোর জন্য তাকে এখন ডাকার ইচ্ছা নেই। নিজেই রান্না ঘরে গিয়ে হাড়িতে পানি গরম করতে দিলেন তিনি।
এই সময়ে নেত্রকোনা যাওয়ার কোনো ইচ্ছা তার ছিলোনা। এখনো নিশ্চিত না, যাবেন কী না! রান্নাঘর থেকে বেড়িয়ে শোবার ঘরে আসলেন তিনি। টেবিলের উপরে চিঠির খাম ঝাড়া দিয়ে একটি ঢাকা টু নেত্রকোনা ট্রেনের টিকিট পেলেন। আজ রাত দশটায় ট্রেন। কমলাপুর স্টেশন থেকে উঠতে হবে।
টিকিটটি রেখে চা বানিয়ে নিয়ে বারান্দায় চলে গেলেন সমির আলি। মেঘ করেছে আকাশে মাঝে মাঝে বিজলি চমকাচ্ছে। হঠাৎ খেয়াল করলেন পাশে মুন্না দাঁড়িয়ে আছে৷ হয়তো বিজলি চমকানোর শব্দ শুনে ভয় পেয়ে ঘুম ভেঙে উঠে এসেছে। তিনি বললেন, "মুন্না, একটা জরুরি কাজে আমাকে আজ নেত্রকোনা যেতে হচ্ছে। তুই একা একা থাকতে পারবি না?"
"জ্বী চাচা, আমি পারবো থাকতে।"
"একটু ভেবে বল। যদি না পারিস, আমি বাড়িওয়ালাকে বলে যাবো। সে তোর দেখভাল করবে এই কয়দিন।"
"না চাচা, সমস্যা নাই। আপনে আমারে নিয়া চিন্তা কইরেন না।"
ছোট একটি ব্যাগে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস আর জামাকাপড় নিয়ে রেডি হয়ে থাকলেন সমির আলি। কিন্তু বৃষ্টি থামলো না। সন্ধ্যার পরে বৃষ্টির প্রকোপ আরো বাড়তে থাকলো। সমির আলির আর বেড়োনো হলো না৷ সেদিন রাতটা বাসাতেই থেকে গেলেন তিনি। কিন্তু চিন্তা করলেন, তার নেত্রকোনা যাওয়াটা উচিৎ।
পরদিন সকালে বাড়িওয়ালাকে বলে বেড়িয়ে পরলেন তিনি। মুন্নার দেখাশোনার কথাটিও বলে আসলেন। যদিও সে বললো, একা থাকতে পারবে। তারপরেও কোনো ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না তিনি।
সমির আলি বিকালের দিকে নেত্রকোনা পৌছালেন। স্টেশন থেকে সরাসরি রিকশা নিয়ে সদর হাসপাতালে গেলেন। সেখানে ডাক্তার শাহরিয়ার হাসানের নাম বলতেই রিসিপশন থেকে একটি নার্স দেখিয়ে দিলেন তার কক্ষ। কিছু সময় পরে তার ডিউটি শেষ হয়ে গেলে, রুম থেকে বেড়িয়ে আসলেন শাহরিয়ার হাসান। সমির আলিকে এক দেখাতেই চিনে ফেললেন তিনি। জোড় করে পায়ে হাত দিয়ে কদমবুসি করলেন।
ডাক্তার শাহরিয়ার হাসান তার বাসায় নিয়ে গেলেন সমির আলিকে। বাসাটি দুই তলা বিশিষ্ট মস্ত বড় একটি রাজপ্রাসাদের মত। পাশ দিয়ে ছোট একটি নদী বয়ে গিয়েছে। দোতলার বারান্দা থেকে খুব ভালোভাবেই নদীটি দেখা যাবে। সৌভাগ্যক্রমে তার থাকার জন্য দোতলায় বারান্দার পাশের ঘরটিই ঠিক করা হলো।
সন্ধ্যা থেকে বারান্দায় বসে নদীর কলধ্বনি শুনছেন সমির আলি। চারপাশটা নির্জন হওয়ায় শব্দটা শুনতে শুনতে অন্য কোনো শব্দের মত বিরক্ত হচ্ছেন না। এরমাঝে তিনবার চা দিয়ে গিয়েছে কাজের মেয়েটি, তার নাম ঝুমুর। এভাবে বসে থেকে কখন যে রাত একটু গভীর হয়ে গিয়েছে তা বুঝতে পারেননি তিনি। হঠাৎ ঝুমুর এসে ডাক দিলেন, "চাচা, আপনার খাবার দেওয়া হয়েছে রুমে। খেয়ে নিন এখন, রাত তো অনেক হয়েছে।"
সমির আলি ঘরে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে নিলেন। আবার বারান্দায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ দরজার ওপাশ থেকে শাহরিয়ার এর কণ্ঠ, "স্যার, আমি কি ভেতরে আসতে পারি?"
সমির আলি দরজা খুলে দিয়ে বললেন, "একটি চেয়ার নিয়ে আসো। বারান্দায় বসে কিছুক্ষণ গল্প করি তোমার সাথে।"
ডাক্তার শাহরিয়ার একটি চেয়ার নিয়ে আসলেন, সাথে একটি গরম চা ভর্তি ফ্লাক্স। দুজনে বারান্দায় বসে নদী দেখছেন, আকাশেও তারা আছে লক্ষ লক্ষ৷ সমির আলিই প্রথম বললেন, "তোমার বাবা-মা কে তো দেখলাম না৷ তারা কি মারা গিয়েছেন নাকি?"
"জ্বী স্যার। কিন্তু আপনি কীভাবে বুঝলেন এটি?"
"এটি পুরোটাই আমার ধারনা ছিলো। কারন, আমি আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত তোমার বাবা মা কারোর দেখাই পাইনি। অথচ বৃদ্ধ মানুষেরা বাড়িতে নতুন কেও আসলে তাদের নিয়ে কিছুটা আগ্রহী থাকে। আর নিজ ছেলের শিক্ষকের সাথে তারা এতসময় দেখা করতে আসবে না, বিষয়টা বেমানান। আরো একটি পয়েন্ট আছে। তুমি বা তোমরা আমার থেকে তাদের মৃত্যুর বিষয়টি লুকাতে চাচ্ছো। তা না হলে আমাকে খাবারের জন্য নিচে না ডেকে এখানে খাবার দিতে না। কিন্তু আমাকে তোমার বাবা মা যেই রুমে থাকতো, সেই রুমেই থাকতে দেওয়ায় বিষয়টি আমার জন্য বোঝা সহজ হয়ে গিয়েছে।"
"কিন্তু আপনি কীভাবে বুঝলেন, এই ঘরটিতেই তারা থাকতেন?"
"এই ঘরটিতে দুজন বৃদ্ধ মহিলা এবং পুরুষের ছবি টাঙানো আছে দেয়ালে৷ হয়তো সেটিও সড়াতে চেয়েছিলে, কিন্তু হয়ে ওঠেনি সড়ানো।"
ডাক্তার শাহরিয়ার চুপ হয়ে গেলেন। কপালে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। তিনি চিন্তা করছেন, "একজন ব্যাক্তি কীভাবে এতটা বুদ্ধিমান হয়? সামান্য হাইপোথিসিস দিয়ে সে সবকিছুই সঠিকভাবে বলে দিতে পারে!"
সমির আলি নিজেই নিরবতা ভেঙে বললেন, "বাদ দেও বিষয়গুলো৷ বলো, কাল আমরা কখন সেই ছেলেটির সাথে দেখা করতে যাচ্ছি?"
"কাল সকালের খাওয়া দাওয়া শেষে আমরা রওনা হবো। এখান থেকে খুব বেশি দুরে না। আধাঘন্টা লাগবে যেতে।"
"ছেলেটির সঙ্গে কি আমাদের দেখা করতে দিবে তার চাচা?"
"দেওয়ার তো কথা। তবে আগে থেকে কিছু বলতে পারছি না।"
সমির আলি বুঝতে পারলেন, শাহরিয়ার এখানে থাকতে চাচ্ছে না। সে উঠে যেতে চাচ্ছে, তার পায়ের গতিবিধী সেটায় প্রমান করে। কিন্তু চক্ষুলজ্জায় যেতে পারছে না। তার জন্য কাজটি সমির আলি নিজেই সহজ করে দিলেন। তিনি বললেন, "আমি এখন ঘুমাবো। তুমি আজকের মত যাও। কাল সকালে আমাদের দেখা হচ্ছে।"
পরদিন সকালে খাওয়া দাওয়া শেষে বেড়িয়ে পরলেন দুজনে। শাহরিয়ারের সরকারি হাসপাতালের গাড়িতে যেতে খুব বেশি দেড়ি হলো না। কয়েক যায়গায় জিজ্ঞাসা করতে হলো, বাড়ির অবস্থান জানার জন্য। অবশেষে এখন বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন তারা। প্রথমে সমির আলি এবং তারপরে শাহরিয়ার দুজনে ভেতরে ঢুকলো। আবিরের চাচা জহির মিয়া বাড়িতে না থাকায় বেশি ঝামেলা পোহাতে হলো না তাদের। শরিফা বেগমকে পরিচয় দিয়ে সবটা বলতেই, সে নিজে থেকেই চেয়ার এনে বসতে দিলো৷ চানাচুর বিস্কিট খেতে দিলো। শুধু শাহরিয়ারের ডাক্তার পরিচয় পেয়েই মহিলাটিকে এমন আপ্যায়ন করতে দেখে সমির আলি বুঝতে পারলেন, মহিলাটির 'ডাক্তার' শব্দটির উপরে কিছুটা দূর্বলতা আছে। তিনি বললেন, "আমাদের হাতে বেশি সময় নেই। আপনি যদি নিজ থেকে আবিরকে ডেকে দিতেন, তাহলে ভালো হতো।"
শরিফা বেগম আবিরকে ডেকে দিলো। সে উঠোনে এসে সবাইকে সালাম দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো। সমির আলি তাকে বসতে বললেন সামনের চেয়ারে।
সমির আলি খুব তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আবিরের দিকে লক্ষ্য করছেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, "কেমন আছো আবির?"
"জ্বী, ভালো। আপনারা কেমন আছেন?"
"আমরাও ভালো আছি। তুমি কি এখানে অস্বস্থিবোধ করছো আমরা আসায়?"
"না।"
"তুমি কি তোমার বাবাকে দেখতে পাও?"
"হ্যাঁ।"
"সে কি এখনো এখানেই আছে?"
"না৷ আপনাদের আসতে দেখে চলে গিয়েছে৷ আপনারা চলে গেলে, বাবা আবার ফিরে আসবে।"
"তুমি কি বিশ্বাস করো, তোমার বাবা আর এখন বেঁচে নেই! তুমি যা দেখছো, তা হয়তো তোমার কল্পনা ছাড়া কিছুই না।"
"জ্বী, আমি বিশ্বাস করি। তবে বাবা শুধু আপনাদের কাছেই মারা গিয়েছে। আমার কাছে সে এখনো বেঁচে আছে।"
"তুমি কি তাকে কখনো জিজ্ঞাসা করেছো, সে কীভাবে মারা গেলো?"
"না, বাবা আমাকে এইসকল কথা জিজ্ঞাসা করতে নিষেধ করেছেন।"
"আচ্ছা আবির, তুমি এখন যাও। রুমে গিয়ে বিশ্রাম করো।"
কোনো কথা না বলেই উঠে চলে গেলো আবির। তার চাচি শরিফা বেগম পাশেই ছিলেন। সমির আলি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, "আপনি কি এই ঘটনার সাথে সম্পর্কিত সব কথা আমাদের বলবেন?"
"জ্বী ডাক্তারসাব। আমি আপনাদের সব কথাই বলবো।"
"হ্যাঁ, বলুন। তবে আমাদের দুজনকে এক গ্লাস করে পানি দিতে পারবেন?"
শরিফা বেগম সমির আলি এবং শাহরিয়ারকে পানি খেতে দিয়ে সবকিছু খুলে বললেন। কথাগুলো শোনার জন্য তারা যতটা না আগ্রহে ছিলেন, তার থেকেও বেশি আগ্রহ নিয়ে বললেন শরিফা বেগম। কয়েকজনের সাথে আবিরের বাবার মাছ ধরতে যাওয়া থেকে শুরু করে সেই বৃদ্ধ লোক, যে কী না সবার সামনে মারা যান সবকিছুই গুছিয়ে বললেন তিনি। তারপরে আবিরের ঘরে থেকে মাঝে মাঝে বাবাকে ডাকা এবং সবশেষ সেদিনের টিনের চালে ঢিল মারা। তারপরে আবিরের অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। একদমে এগুলো ব্যাখ্যা দিয়ে পাশের জগ থেকে একগ্লাস পানি খেয়ে গলা ভিজিয়ে নেন।
কথাগুলো সমির আলি খুব মনোযোগ সহকারে শুনেছেন৷ তার এই বিষয় নিয়ে কিছুটা চিন্তা করার সময় প্রয়োজন। তিনি আর এখানে থাকতে চাচ্ছেন না। শরিফা বেগমের কথাগুলো শেষ হলে নিজে উঠে বলেন, "আজ আমরা উঠি। আগামীকাল আবার আসবো আমরা। আপনি একটু আবিরের চাচাকে বাড়িতে থাকতে বলবেন কাল৷ তার সাথে কথা আছে কিছু।"
শরিফা বেগমকে আর কোনো কথা না বলতে দিয়ে উঠে গিয়ে সরাসরি গাড়িতে বসলেন সমির আলি। তার এমন আচরনের জন্য শরিফা বেগম আর শাহরিয়ার কেও ই প্রস্তুত ছিলেন না। শাহরিয়ার ও সঙ্গ দিতে কোনো কথা না বলে উঠে গেলো গাড়িতে। যেতে যেতে সমির আলির উদ্দেশ্যে সে বললো, "কেসটি সত্যিই খুব কঠিন হবে স্যার৷ আমি তো কিছুই বুঝছি না এই বিষয়ে।"
সমির আলি মুচকি একটা হাসি দিয়ে বললেন, "রহস্যটা খুব একটা কঠিন না। আগামীকালই এর সমাধান করে ফেলবো ইনশাআল্লাহ।"