আবার চুপচাপ । ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে আসে মার্ক । কিন্তু পুরোপুরি শান্ত হয়নি ক্রোধ । আশেপাশে চতুর্দিকে আবার চোখ বুলিয়ে উল্টো দিকে ঘুরে লিওর সামনে এসে দাঁড়ায় মার্ক । লিও তখনও হাত-পা ছড়িয়ে এলোমেলো হয়ে পরে রয়েছে একই ভাবে। . লিওর দিকে তাকিয়ে থেকে ধীর ভাবে লিওর পাশে হাঁটু মুড়ে বসে , লিওর হাত , নাক, মুখ , ঠোঁট সবকিছু দেখে নিচ্ছে মার্ক । হাতের আঙ্গুল গুলো থেকে থেকেই কেঁপে কেঁপে উঠছে , আবার শান্ত হয়ে, আবারো ঝাড়া দিয়ে উঠছে । লিওর ঠোঁটের এক পাশ দিয়ে ঘন লাল শীতল রক্ত গড়িয়ে পরছে সরলরেখা বেয়ে ...। এই মুহূর্তে একেবারে পুরোপুরিভাবে শূন্য লিওর মাইন্ড । কিছুই নেই লিওর মাইন্ডে ..., না বাঁচার আকুতি আর না মরে যাওয়ার ভয় । কোনটাই মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে না লিওর ।
চুপ করে শান্ত হয়ে পরে রয়েছে কেবল ছাদের মেঝের উপর । শরীরে এক ছিটেফোটাও শক্তিটুকু অবশিষ্ট নেই। যে এনার্জি' দরকার শরীরে সেটা গ্রহণ করার পর্যন্ত পর্যায়ের বাইরে চলে এসেছে লিও । তাই আপাতত লিওর মাইন্ড পুরোপুরিভাবে শুন্য । . কিন্তু যখন চরম যন্ত্রণা ভোগ করছিল লিও, সে সময় খুব গভীর ব্যথা নিয়ে স্মরণ করে মার্কের নাম । তাই মার্ক আর লিওর সে ডাক উপেক্ষা, সাড়া না দিয়ে থাকতে পারেনি মার্ক । বাতাস চিরে চলে এসেছে লিওকে বাঁচাতে । . . . . . কিং- মার্ক কে ডেকে পাঠানো হয়নি কেন ....? ( গম্ভীর গলায় কথাটা বলে কিং ) . আমতা আমতা করে জবাব দেয় কিং এর গার্ড... - মার্ক এর সাথে মাইন্ডে কোন যোগাযোগ করতে পারছিনা কিং . কিং- কেন...? কোথায় সে....? . এলিনা- ড্যাড....। আমি বলছিলাম কি আরও কিছুদিন পর মার্ককে ডাকলে ভালো হয় না ..? আর লিও আমার বিরোধিতা শুরু করেছে ড্যাড । তুমি তো জানো, লিওর মত সামান্য ভ্যাম্পায়ার যখন আমার রক্ত চাওয়ার মত সাহস দেখিয়েছিল তখন আমি রেগে চলে এসেছিলাম ওর বাড়ি থেকে । আর সেই থেকেই, লিও আমার বিরোধিতা শুরু করেছে । . কিং- বিরোধিতা মানে...? তোমার সাথে ওর বিরোধিতা টা কিসের ..? এটা বলো না যে, মার্কের জন্য ও তোমার বিরুদ্ধে চলে গেছে । আর এটা যদি সত্যিই করে থাকে ও, তাহলে খুব খারাপ হয়ে যাবে লিওর জন্য ... . এলিনা- ড্যাড । মার্ক নিজেই লিওকে শেষ করে দিয়েছে । তাই নতুন করে আমাদের কিছুই করতে হবেনা।
. ( এলিনা চিন্তিত সুরে ...) কিন্তু আমি লিওর কথা ভাবছি না ..... . কিং- তুমি কি মার্ককে ভয় পাচ্ছো ? . এলিনা- না ড্যাড...। আমি ওসব ভয় পাই না । আর তাছাড়া তুমি তো জানো , আমার শক্তির কথা...। তবে আজ তুমি তো জানো আমার প্রতিদিনই কোন না কোন পুরুষ মানুষের প্রয়োজন পরে...। আর সমস্যা হল মার্ক এটা জানে ... . কিং- হ্যাঁ আমার মনে আছে তুমি আগেই বলেছিলে এ কথা আমাকে । এছাড়াও তুমি ওর দুজন ভ্যাম্পায়ার কে মেরে , লাশ ভাসিয়ে দিয়েছিলে, একথাও আমি জানি । তাহলে নতুন করে আবার বলার মানেটা কি ...? . এলিনা- ড্যাড.., তুমি তো জানো মানুষের প্রতি আমার আলাদা একটা টান রয়েছে, বিশেষ করে ছেলেদের প্রতি । . কিং- ভুলে যেওনা এলিনা তুমি কার মেয়ে ।
Story by bipu
তুমি কে, আর তোমার কতটুকু পাওয়ার এবং কতটুকু ক্ষমতা ভুলে যেও না সে কথা...
Bipu's Story 🥰🥰😘
তোমার এইসব সামান্যতম মনস্কামনা যদি কেউ পূরণ করতে নাই পারে তাহলে তাকে মেরে ফেলতে কোন দ্বিধা নেই । আর তাছাড়া মানুষ আমাদের ভোগ্যপণ্য, ওদেরকে আমরা যেভাবে খুশি সেভাবে ব্যবহার করতে পারব, আর তুমি তো আমার মেয়ে, তাই তোমার মন মতো তুমি সেটা উসুল করতে পারবে এলিনা । . আর আমার মেয়ের এই সামান্য চাওয়া যদি মার্ক পূরণ করতে না পারে, তাহলে মার্কেরও বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই । (শক্ত মুখে কথাটা বলে কিং ) . এলিনা- আমি জানি সেটা ড্যাড ( আদুরী কন্ঠে) তাই মার্ক কে এলিনার কিছু শর্ত দেয়ার আছে ড্যাড । যদি সে মানতে পারে আমার শর্ত , তবেই মার্ককে এই রক্তচোষা এলিনা জায়গা দেবে, আর নয় তো না ....। . . কিং এলিনার মাইন্ড পড়ে বাঁকা হেসে , এলিনার কাঁধে হাত দিয়ে বলে .... - উহু.....। এভাবে নয়, শর্তগুলো আমি ঠিক করে দিচ্ছছি তোমায় ....। . . এলিনা এবং কিং একে অপরের দিকে তাকিয়ে উচ্চস্বরে হেসে দেয় । এ হাসির কারণ শুধুমাত্র এলিনা এবং কিং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ । দুজন মিলে সাজাতে থাকে মার্কের উপর দেয়া শর্ত । মনে মনে এটাও ভেবে নেয় , মার্ক যদি কোনভাবে রাজি না হয় তাহলে কি করবে মার্কের সাথে । . . . . . আকাশে অনেকটা মেঘ করেছে । নাহ, ঝড়ের মেঘ নয়, বাতাসের বর্ষণের মেঘ । ঠান্ডা মিষ্টি বাতাস বইছে সাথে হালকা ঝিরিঝিরি বৃষ্টির ফোঁটা এসে পরছে মার্ক এবং লিওর শরীরে । মার্ক লিওকে, লিওর প্রতিটি চলন বিচল গুলো নিখুঁত ভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখে নিয়ে ..., লিওর দিকে একটু একটু করে ঝুঁকে, আলতো করে হাত রাখে ছাদের মেঝেতে ছড়িয়ে থাকা লিওন চুলের উপরে । . মার্ক, লিওর চুলের ওপর আলতো করে নিজের হাত রাখতেই লিও কেপে উঠে গলার সাড় রগ দুটো খাড়া করে নেয় প্রচন্ড যন্ত্রনায় । মার্ক লিও কে