জর্জেট শেবল্যাষ্ক তাঁর ' সুভেনিরস' মাই লাইফ উইথ মেটারলিক বইতে কোন এক সামান্য বেলজিয়ান মেয়ের অদ্ভুত পরিবর্তনের কাহিনী লিখেছিলেন।কাহিনী টির বর্ণনা এমন
' কাছাকাছি এক হোটেলের একটি পরিচারিকা মেয়ে আমার জন্য প্রতিদিন খাবার আনত।সেই মেয়ে টিকে সকলেই 'ডিম ধোওয়া মেরী বলে ডাকত, কারণ সে ডিম ধুয়েই জীবিকা আরম্ভ করে।মেয়ে টির অদ্ভুত ধরনের ট্যারা চোখ, পায়েও দোষ আছে।বেচারি নানা দিক দিয়েই প্রতিবন্ধী।
একদিন সে যখন আমার জন্য খাবার নিয়ে আসল, তখন আমি সোজাসুজি তাঁকে বললাম , ' মেরী তুমি জানো না তোমার মধ্যে কত গুণ আছে।'
এই একটি কথায় সেই মেয়েটি নিজের আবেগ চেপে রাখতে পারল না, সে আনন্দে আত্মহারা। সে এক দৌড়ে তাঁর হোটেলে গিয়ে এই কথা টা সবাই কে জানাল, এবং তারপর থেকে তাঁকে প্রতিটা মানুষই সম্মান করে কথা বলত।
কিন্তু সব থেকে অদ্ভুত পরিবর্তন দেখা দিল তাঁর মধ্যে।সে এবার নিজের কাজের প্রতি এবং নিজের প্রতি যত্ন নিতে শুরু করল। এবং কিছু দিনের মধ্যেই তাঁর শরীরে দীপ্তিময় যৌবন প্রস্ফুটিত হয়ে উঠল। সে এখন নিজেকে দেখেই নিজেই যেন চিনতে পারে নাতাঁর নিজের আত্মবিশ্বাসের জোরে এবার ঐ হোটেলের মালিকের ভাইপোর সঙ্গে তাঁর বিবাহ ঠিক হল। কারণ সে নিজেকে তেমনভাব ই তৈরি করেছে। এতোদিন সে নিজেকে বড্ড অবহেলিত ভাবত। কিন্তু ঐ একটি কথায় তাঁর ভাবনার পরিবর্তন আনতে সে সক্ষম হয়েছে।
জর্জেট শেবল্যাষ্ক ' ডিম ধোওয়া মেরী 'কে সসম্মানের সঙ্গে বাঁচার পথ করে দিয়েছেন—- আর সেই সম্মান বোধ ওর জীবন ধারাই বদলে দিয়েছে।
আমরা কিন্তু প্রতিটা মানুষই এমন। আমরা অন্যের প্রশংসা শুনলে মনের মধ্যে এক অদ্ভুত আনন্দ, উত্তেজনা, ভাললাগা অনুভব করি তাই আমরা প্রশংসা শুনতে ভালবাসি।
ekdom r8 like dilam amakeo diyen amar post dekhe