সন্তানের  চরিত্রগঠন তথা যৌন হয়রানী  থেকে রক্ষা করতে শিক্ষা.....

2 24
Avatar for Asif007
3 years ago

সন্তানের  চরিত্রগঠন তথা যৌন হয়রানী  থেকে রক্ষা করতে  নিন্ম বর্নিত বিষয়গুলো ছোট বেলা থেকেই আপনার সন্তানকে শিক্ষা  দিনঃ

 

১. আপনার মেয়ে শিশুকে অন্য

কারো কোলে (এমনকি চাচা -

চাচতো ভাই) বসা থেকে বিরত

রাখুন। তাদের মাঝে লজ্জাবোধ

সৃষ্টি করুন।

২. আপনার সন্তানের বয়স দুই বছর

পুর্ন হবার পর তাদের

সামনে কাপড় পরা/

বদলানো থেকে বিরত থাকুন।

এবং ছোট বেলায় যত্র-তত্র উলঙ্গ

অবস্থায় যেতে নিষেধ করুন।

৩. কক্ষনো কোন সম-

বয়সী কিংবা দাদা- দাদী-

নানা-নানী শ্রেনীয় কেউ

আপনার সন্তানকে "আমার বউ" /

"আমার জামাই" বলার সুযোগ

দেবেন না।

এমন মশকরা করা থেকে তাদের

সাবধান করে দিন।

 

৪. আপনার সন্তান যখন বন্ধুদের

সাথে খেলতে যায় তখন লক্ষ্য

রাখুন তারা কি ধরনের

খেলা খেলছে?

আমাদের দেশে বাচ্চারা "চড়ুই

ভাতি" রান্নার সময় স্বামী- স্ত্রী সাজে এবং পরষ্পর বর-

কনে সেজে কিংবা পুতুলদের বিয়ে দিয়ে দুষ্টমির ছলে প্রাপ্তবয়স্কদের মত আচরন করে।

এসব বিষয় পরবর্তীতে যৌন হয়রানিতে রুপ নেয়।

 

৫. কখনো আপনার বাচ্চাকে জোর করে অন্য প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ কিংবা মহিলার কাছে পাঠাবেন

না - যদি তারা ওই লোকটির সাথে কথা বলতে অথবা মিশতে সাচ্ছ্যন্দবোধ না করে। এমনকি অন্য কোন ব্যাক্তির প্রতি আপনার সন্তান অতি আগ্রহী হলে তার

অতি আগ্রহের কারন আবিষ্কার করার চেষ্টা করুন।

৬. যদি আপনার এ্যাকটিভ

বাচ্চাটি হঠাৎ করে চুপচাপ

হয়ে যায় তাহলে তাকে প্রশ্ন

করে তার কারন বের করার

চেষ্টা করুন। বুঝতে চেষ্টা হঠাৎ

করুন কি কারনে তার মন খারাপ হয়েছে। অনেক সময় তারা যৌন হয়রানীর শিকার হলে লজ্জায়

অন্যের কাছে প্রকাশ করেনা-নিজের কাছে হীনমন্যতায়

ভোগে।

 

৭. সাবধানতার

সাথে বয়সন্ধীকালে আপনার

সন্তানকে সঠিক যৌন

শিক্ষা দেবার চেষ্টা করুন।

না হয় বন্ধ-বান্ধব/সমাজ

তাকে ভুলভাবে এ বিষয়টি শিক্ষা দিবে।

 

৮. সন্তান কোন কার্টুন

কিংবা ফিল্ম দেখার

আগে আপনি সে কার্টুনটি/

ফিল্মটি সম্পর্কে অবগত

হয়ে নিন। জেনে নিন তাতে কু-

শিক্ষনীয় কিছু আছে কিনা?

 

৯. আপনার ৩ বছর এর

বেশি বয়সী সন্তানকে টয়লেট

শেষে নিজে নিজে গোপনাঙ্গ

পরিষ্কার করতে শিখান। তাদেরকে সতর্ক

করে দিন তাদের গোপনাঙ্গ অন্য কেউ যেন না ধরে।

এমনকি আপনি নিজেওআপনার

সন্তানের গোপনাঙ্গ ধরবেন না

মনে রাখবেন সু-শিক্ষার শুরু

আপনার ঘর থেকেই।

১১. কিছু ব্যক্তি বা বস্তুকে ব্লাক লিষ্ট

করুন - যেটা আপনার সন্তানের

মানসিক বিকাশে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে।

যেমন বাজে লিরিক এর মিউজিক, মুভি -এমনকি ব্যাবহার ভালো নয়

এমন আত্মিয় কে আপনার সন্তানের

সংষ্পর্শে আসতে বারন করুন।

১২. আপনার সন্তানকে প্রতিকুল

পরিবেশে প্রতিবাদ করার জন্য

অনুপ্রেরনা দিন।

কিভাবে বাজে পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষা করবে তার

ধারনা দিন।

 

১৩. আপনার সন্তান কোন

নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে নালিশ

করলে তা হেলায় উড়িয়ে দেবেন

না।

 

তার কথার সত্যতা যাচাই করুন।

তাদেরকে বুঝতে দিন সে একা নয় -তার

সহায়তা করার জন্য আপনি আছেন।

এটি তার আত্মবিশ্বাস শক্তিশালী করবে।

আমরা যারা এই লেখাটি পড়ছি তারা হয়তো মাতা-

পিতা কিংবা ভবিষ্যৎ মাতা-পিতা হবো।

এখানকার প্রতিটি পয়েন্ট আপনার জন্য

প্রযোজ্য নাও হতে পারে।

 

4
$ 0.00
Avatar for Asif007
3 years ago

Comments

thanks

$ 0.00
3 years ago

খুব সুন্দর বিষয় নিয়ে লিখেছেন। এগুলো সবারই জানা একান্ত জরুরি। ধন্যবাদ

$ 0.00
3 years ago