সবাই তার আপন নীড়েই থাকতে বেশি পছন্দ করে বা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ আপন গৃহ ত্যাগ করতে চায় না। যে ব্যক্তি অনেক স্বপ্ন আর আশা নিয়ে তিল তিল করে আপন নীড় তৈরি করল, সেই নীড় ছেড়ে অন্য নীড়ে যাবে কেন বা যাবার বাসনা মনে জাগবে কেন?
.
১। যারা শত শত স্বপ্ন নিয়ে ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার/বিজ্ঞানী হলো। যারা অনেক কষ্ট করে ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার/বিজ্ঞানী হলো। তারা কেন নিজের সেই লালিত স্বপ্ন ছেড়ে অন্যদিকে যাচ্ছে বা যেতে হচ্ছে; সেইদিকে মনোনিবেশ করা দরকার এবং খুব জরুরি দরকার। সবকিছুর মাঝে ভারসাম্য থাকা দরকার। যার যার অবস্থান অনুযায়ী প্রাপ্য সম্মানটুকু দেয়া দরকার। প্রতিটি স্বাভাবিক মানুষেরই ভিতরে আত্মসম্মান বোধ কাজ করে, ব্যক্তিস্বাধীনতাকে লালন করে।
ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী রুশো বলেছেন, "মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন"- তাই প্রতিটি মানুষ স্বাধীনভাবে বাঁচতে চায়। নিজের কাজটুকু স্বাধীনভাবে করতে চায়। নিজের অবস্থান অনুযায়ী সম্মানের সাথে বাঁচতে চায়।
.
২। আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমাকে কেউ দায়িত্ব দিলেও আমি কিন্তু একজন ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার বা বিজ্ঞানীর কাজ ঠিকভাবে করা আমার পক্ষে করা সম্ভবপর নয়। সাধারণ কাজ যে কেউ করতে পারে; কিন্তু ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার/বিজ্ঞানীর কাজ সাধারণ মানুষ করতে পারে না।
.
৩। যদি এইভাবে চলতে থাকে একদিন হয়তো দেখা যাবে চিকিৎসার জন্য ভালো ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছে না। উদ্ভাবনী কাজে ইঞ্জিনিয়ার বা বিজ্ঞানীদের পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, তারা তখন ডাক্তারি/ইঞ্জিনিয়ারিং/সাইন্স পড়ার চেয়ে নিজের অবস্থান, ক্ষমতা আর আধিপত্যকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে মূল বিষয় বাদ দিয়ে চাকরির জন্য পড়বে। ক্ষমতা আর প্রতিপত্তির জন্য পড়তে চাইবে বেশি।
.
৪। এই করোনা ভাইরাস আমাদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, মানুষের জীবন বাঁচাতে ক্ষমতা আর অর্থবিত্তের চেয়ে বেশি বেশি গবেষণা দরকার, বেশি বেশি উদ্ভাবন দরকার, বেশি বিজ্ঞানী দরকার, বেশি বেশি ডাক্তার দরকার। ভালো ডাক্তার না থাকলে ভালো চিকিৎসার অভাবে বহু মানুষ মারা যাবে। ভালো গবেষণা না থাকলে নতুন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে না অথবা সমাধান পেতে বহু সময় লাগবে। ভালো মেধাবী শিক্ষক না থাকলে ভালো মেধাবী জাতি গড়া সম্ভবপর নয়।
Wwwwwwwwwwwwwooooooooooooooooowwwwwwwwwwwwwwwwwwww... nice article.... Onk valo lagche