একবার পড়েন যদি গল্পটা না লাগে আর কাজ করব না কথা দিলাম...
...#গল্পঃমাস্তান
#পর্বঃ০১
অন্ধকার রাতে লাইটের নিবু নিবু আলোই রাস্তা দিয়ে হাঁটছি আর মুখ দিয়ে নিকোটিনের ধোয়া ছাড়ছিলাম। এমন সময় পেছন থেকে কেউ একজন এসে আমাকে ধাক্কা দিতেই হাত থেকে সিগারেট টা পরে গেলো,,,,,,,,,,,,
=আমিঃ আরেহ্ কোন সালারে।
পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে।মেয়েটির মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি চোখে মুখে স্পষ্ট ভয়ে ছাপ লেগে আছে। তারপর মেয়েটি আমাকে কাপা কাপা কন্ঠে বলে,,,,,,,,,,,,,,
=মেয়েটিঃ প্লিজ আমাকে একটু সাহায্য করুন।
=আমিঃ,,,,,,,,,।(কিছুনা বলে চুপচাপ মেয়েটির মুখের দিকে তাকিয়ে আছি।)
=মেয়েটিঃ এই যে আমি কিছু বলছি আপনি কি শুনতে পেয়েছেন।(শরীরে ধাক্কা দিয়ে)
=আমিঃ ও হ্যা কি যেনো বলছিলেন আপনি।
=মেয়েটিঃ রাস্তা দিয়ে আসার সময় কয়েকটা ছেলে আমার পিছু নিয়েছে প্লিজ আমাকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করুন।
=আমিঃ কৈ আপনার পেছনে তো কাউকেই দেখছিনা।
মেয়েটির সাথে কথা বলছিলাম এমন সময় দূর থেকে কয়েকটা ছেলে দৌড়ে আমাদের দিকে আসে। কাছে এসে ওরা আমাকে দেখে তাদের মধ্যে একটা ছেলে বলে,,,,,,,,,
=ছেলেটিঃ আরেহ্ এতো রবি ভাই পালা সবাই।
=আমিঃ ঐ দাড়া সবাই।(চিৎকার দিয়ে)
আমার কথা শুনে ছেলে গুলো ওখানেই দাড়িয়ে গেলো।তারপর আমি আস্তে আস্তে ছেলে গুলোর কাছে যাচ্ছিলাম আর সেই মেয়েটি আমার পেছন পেছন আসছিলো। আমি কাছে যেতেই ছেলে গুলো আমার পায়ে ধরে বলে,,,,,,,,,,,,,,,,
=ছেলেগুলোঃ ভাই ভাই আমাদের ভুল হয়ে গেছে। এবারের মত আমাদের মাপ করেদিন ভাই। আর কোনদিনও এমন হবেনা ভাই।
=আমিঃ তোদের মত ছেলেদের জন্য আজ মেয়েরা রাস্তায় বের হতে ভয় পায়। তোদের তো বেঁচে থাকারই কোনো অধিকার নেই।( বন্দুক বের করে একজনের কপালে ধরলাম)
=মেয়েটিঃ আরেহ্ আরেহ্ এ কি করছেন।আপনি কি পাগল নাকি।প্লিজ ওদেরকে ছেড়ে দিন।(আমার হাত থেকে বন্দুকটা নিয়ে)
=আমিঃ আচ্ছা যা তোদের মাপ করে দিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে তোদের যেনো এই এলাকায় না দেখি। যা ভাগ এখন।
=ছেলেগুলোঃ আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই কথা বলে ছেলেগুলো এক দৌড়ে চলে গেলো।তারপর মেয়েটি আমাকে বলে,,,,,
=মেয়েটিঃ আচ্ছা আপনি কি পাগল নাকি বলুন তো। এমন না করে ওদের কে তো বুঝিয়ে বলতে পারতেন। তানা করে একদম বন্দুক বের করলেন।
=আমিঃ দেখি বন্দুকটা এদিকে দিন।
=মেয়েটিঃ হুমম!! এই নিন।
=আমিঃ এতো রাতে আপনি কোথা থেকে ফিরছেন।
=মেয়েটিঃ আসলে আমার পরিবার এই এলাকায় নতুন এসেছে। আমি এখানে থাকিনা। আজই আসছি ভেবেছিলাম মা-বাবাকে সারপ্রাইজ দেবো তাই কাউকে কিছু না বলে চলে আসছি। পথে গাড়িটা খারাপ হয়ে গেছে। আর মোবাইলে চার্জ নেই। তার পরের এই ঘটনা।
=আমিঃ আপনারা মেয়েরা মেবাইলে চার্জ দিতে ভুলে গেলেও মেকআপ বক্স নিতে কখনও ভুলেন না দেখি।
=মেয়েটিঃ দেখুন আমি ওসব কিছু মাখিনা।
=আমিঃ হাহাহা তাই নাকি।
=মেয়েটিঃ হ্যা।আর এতে হাসার কি আছে।
=আমিঃ আচ্ছা সরি আর হাসছিনা। এখন আপনি নিশ্চিন্তে বাসায় যেতে পারনে।
=মেয়েটিঃ যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমাকে কি একটু বাসা পর্যন্তুক এগিয়ে দিয়ে আসবেন।
=আমিঃ,,,,,,,,,,,। (কিছু না বলে মেয়েটির দিকে তাকালাম)
=মেয়েটিঃ আসলে এই অন্ধকারে একটু ভয় করছে। তাই বলছিলাম কি,,,।(সম্পূর্ণ কথা বলতে না দিয়ে)
=আমিঃ আচ্ছা চলুন তাহলে।
তারপর মেয়েটির সাথে যেতে লাগলাম। হাটতে হাটতে একটা সিগারেট ধরাইলাম। এমন সময় মেয়েটি বলে,,,,,,,,,,,,
=মেয়েটিঃ আপনি সিগারেট খান।
=আমিঃ নাহ্ আমি সিগারেট খাইনা।
=মেয়েটিঃ তাহলে সিগারেট ধরালেন কেনো।
=আমিঃ এই যে অন্ধকারে পথ চলার জন্য।
=মেয়েটিঃ আপনি তো বেশ মজা করে কথা বলতে পারেন।
আমি আর মেয়েটির কথায় কোন উত্তর না দিয়ে সিগারেটে একটা টান দিলাম। এমন সময় মেয়েটি আমার হাত থেকে সিগারেট টা নিয়ে ফেলে দিলো,,,,,,,,,,,
=আমিঃ আরেহ্ এ কি করলেন সিগারেট টা এভাবে ফেলে দিলেন কেনো।
=মেয়েটিঃ আমি সিগারেটের ধোঁয়া একদম সয্য করতে পারিনা।
=আমিঃ তাই বলে সিগারেট টা এভাবে ফেলে দিবেন।
=মেয়েটিঃ ফেলে দিয়েছি বেশ করেছি।
=আমিঃ যাহ্ বাবা এটা মেয়ে না অন্য কিছু। আমাকে চেনেনা জানে অথচ আমার সাথে এমন ভাবে কথা বলছে মনে হয় আমার কতদিন ধরে চিনে।(মনেমনে)
=মেয়েটিঃ কি ব্যাপার চুপ করে কি ভাবছেন।
=আমিঃ কিছু নাতো। আচ্ছা আপনার নাম কি?
=মেয়েটিঃ আমার নাম নিলা।আপনার নাম তো রবি তাই না।
=আমিঃ আমার নাম আপনি জানলেন কি করে।(অবাক হয়ে)
=নিলাঃ তখন ঐ ছেলে গুলো আপনাকে দেখে বলছিলো তাই।
=আমিঃ ও আচ্ছা।
=নিলাঃ আচ্ছা একটা কথা বলবেন।
=আমিঃ কি কথা বলুন।
=নিলাঃ ঐ ছেলেগুলো তখন আপনাকে দেখে ভয় পেলো কেনো।
=আমিঃ ঐ তো আপনার বাসা এসে গেছে।
=নিলাঃ কি হলো বললেন না তো।
=আমিঃ এলাকায় যখন আসছেন তখন আস্তে আস্তে আমার সম্পর্কে সব কিছুই জানতে পারবেন।
এই কথা বলে আমি সেখান থেকে চলে গেলাম।
আর অন্য দিকে,,,,,,,
=নিলাঃ আরে এই যে, রবি চলে যাচ্ছেন কেনো। যাহ্ বাবা আজব ছেলেতো চলে গেলো।
যায় এখন বাসার ভেতরে যায়। কলিং বেল দিতেই মা এসে দরজা খুলে আমাকে দেখে বলে,,,,,,,,
=আন্টিঃ আরে নিলা তুই।(অবাক হয়ে)
=নিলাঃ মা।(জড়িয়ে ধরে)
=আন্টিঃ তুই যে আসছিস তাহলে একবার ফোন করে তো বলতে পারতিস। আমি তোর বাবাকে বলে গাড়ি পাঠিয়ে দিতাম।
=নিলাঃ আরেহ্ তোমাদের বললে কি আর সারপ্রাইজ দিতে পারতাম নাকি। তা কেমন সারপ্রাইজ দিলাম।
=আন্টিঃ হুমম!! সত্যি অনেক বড় সারপ্রাইজ দিয়েছিস।
=নিলাঃ নাও খেতে দাওতো এবার খুব ক্ষুধা লাগছে।
=আন্টিঃ তুই গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আই আমি তোর খাবার দিচ্ছি।
=নিলাঃ হুমম যাচ্ছি!! আচ্ছা মা বাবা কখন আসবে।
=আন্টিঃ তোর বাবা পুলিশের চাকরি করে কখন আসে কখন যায় তার কোন ঠিক ঠিকানা নাই।
এই কথা বলার পর আমি আমার ঘরে চলে আসলাম। ঘরে এসে ফ্রেশ হয়ে খেতে গিয়ে দেখি,,,,,,,,,,,,
( ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)
To be Continue ⏩
(চলবে..........)
Writer by স্বপ্নহীন_বালক(ছদ্মনাম)
বিঃদ্রঃ আপনাদের সারা বেশি পেলে গল্পের ২য় পর্ব লিখবো।
বন্ধুরা হয়তো অন্য সবার মত গল্পের কথা গুলো গুছিয়ে লিখতে পারিনা। তার-পর লিখার চিষ্টা করি। তাই গল্পটাই Next না লিখে ভালো বা খারাপ যেটাই আপনাদের কাছে মনে হয় সেটা জানাবেন। ধন্যবাদ।
( পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।)
Wow beautiful story written. I read it completely. When will you give the next part? I read it very carefully and it was very good. I hope you will give the next part very soon. Go ahead. We are with you.