..... পড়ে ভালো না লাগলে। আর জীবনে লিখব না।
....#গল্পঃমাস্তান
#পর্বঃ০২
এই কথা বলার পর আমি আমার ঘরে চলে আসলাম। ঘরে এসে ফ্রেশ হয়ে খেতে গিয়ে দেখি,,,,,,,,,,,,
(১ম পর্বে পর থেকে)
বাবা এসে সোফায় বসতে বসতে মা'কে যেনো কি বললো। তারপর মা রান্না ঘরে চলে গেলো।আমি ও কোন কথা না বলে চুপ করে কোন শব্দ না করে মায়ের কাছে চলে গেলাম,,,,,,,,,,,
=আন্টিঃ কিরে তুই আবার রান্না ঘরে আসতে গেলি কেনো। দেখ তোর বাবা এসেছে তার সাথে গিয়ে দেখা কর।
=নিলাঃ মা আমি যে এসেছি এটা কি তুমি বাবাকে বলেছো।
=আন্টিঃ নাহ্ এখন ও বলি নাই। তবে তোর বাবার জন্য চা বানাচ্ছি এটা দেওয়ার সময় বলবো।
=নিলাঃ আচ্ছা তাহলে তুমি সরে যাও। বাবার জন্য চা আমি বানাচ্ছি।
=আন্টিঃ আচ্ছা তাহলে তুই বানা আমি তোর বাবার কাছে গিয়ে তোর আসার কথা বলি।
=নিলাঃ এই না তুমি এখানেই থাকো। আমি চা বানানো শেষ হলে তুমি চা নিয়ে যাবে।
=আন্টিঃ আরেহ্ চা তুই বানাচ্ছিস তোর বাবার জন্য তাহলে তুই নিয়ে গিয়ে তাকে দে।
=নিলাঃ আরেহ্ বাবাকে সারপ্রাইজ দেবো। দেখি এতোদিন পর বাবার আমার হাতের চায়ের কথা মনে আছে কিনা।
=আন্টিঃ হাহাহা!! তুই আর তোর সারপ্রাইজের আমি কিছুই বুঝিনা।
=নিলাঃ তোমাকে বুঝতে হবেনা। তুমি শুধু দেখো।
তারপর চা বানানো শেষ হলে মাকে দিয়ে চায়ের কাপ পাঠালাম। বাবা চায়ে চুমুক দিয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,,,,,,,
=আংকেলঃ পাগলিটা কখন আসছে।
=নিলাঃ বাবা তুমি কি করে বুঝলে।
=আংকেলঃ পাগলি তোর হাতের চায়ের সাধ আমি ভুলে যাবো কি করে। তা কখন আসলি।
=আন্টিঃ একটু আগেই আসছে। নাও তোমরা খেতে আসো।
=আংকেলঃ চলরে মা অনেক দিন হলো এক সাথে খাইনা আজ বাপবেটি এক সাথে খাবো।
=নিলাঃ হুমম!! চলো।
তারপর সবাই মিলে এক সাথে খাওয়া দাওয়া করলাম। খাওয়ার সময় আমি বাবাকে বললাম,,,,,,,,,,,,,
=নিলাঃ জানো বাবা আজ আসার সময় কিছু ছেলে আমার পিছু নিয়েছিলো।
=আংকেলঃ কিহ্ আমার মেয়ের পিছু নিয়েছিলো কার এতো বড় সাহস।
=নিলাঃ উফফ!! বাবা, আমি যে তোমার মেয়ে কেউ জানে নাকি। আগে তুমি আমার কথা শুনবে তো নাকি।
=আংকেলঃ আচ্ছা মা বল।
=নিলাঃ ছেলে গুলো যখন আমার পিছু নিয়েছিলো তখন তো আমি খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম। ঠীক সেই সময় কোথা থেকে একটা ছেলে আসলো তারপর ঐ ছেলে গুলো তাকে দেখে ভয় তে চলে গেলো। তারপর সেই ছেলেটা আমাকে বাসা পর্যন্তু এগিয়ে দিয়ে গেছে।
=আন্টিঃ এই জন্য বলি রাতে আসার দরকার কি ছিলো। কাল দিনেও তো আসতে পারতি। ভাগ্যেস ছেলেটা ভালো ছিলো।
=আংকেলঃ আহ্ তুমি থামবে। তা মা ছেলেটার নাম কি।
=নিলাঃ নাহ্ বাবাকে রবির নাম বলা ঠিক হবে না।পরে আবার কি করবে।(মনে মনে)
=আংকেলঃ কি হলো! চুপ করে আছিস কেনো। বল ছেলেটার নাম কি।
=নিলাঃ জানিনা বাবা নাম জানতে চাইছিলাম কিন্তু বলেনি।
=আন্টিঃ আচ্ছা অন্য একদিন দেখা হলে একবার বাসায় নিয়ে আসিস।
=নিলাঃ আচ্ছা নিয়ে আসবো।
এই কথা বলে আমি ঘুমানোর জন্য ঘরে আসতে যাবো ঠিক ঐ সময় বাবা আমাকে ডাক দিয়ে বলে,,,,,,,,,,,,
=আংকেলঃ নিলা কাল সকালে তৈরি থেকো।
=নিলাঃ কেনো বাবা।
=আংকেলঃ এখানে একটা কলেজের প্রীন্সিপলের সাথে আমার কথা হয়েছে তোমাকে ওখানেই ভর্তি করবো।
=নিলাঃ আচ্ছা ঠীক আছে বাবা।
তারপর আমি ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর নাস্তা করে বাবার সাথে কলেজে চলে গেলাম। কলেজে গিয়ে ভালোই নতুন অনেক বন্ধু হলো।
আর অন্য দিকে,,,,,,,,,,
=নিশাতঃ কিরে কাল রাতে কি হয়ছিলো রে।
=আমিঃ কাল রাতে, কাল রাতে।
=নিশাতঃ ঐ ঠিক করে বলবি কি হয়ছিলো।
=আমিঃ কৈ কিছু তো হয়নি কাল রাতে।
=নিশাতঃ তাহলে তুই ফারুকের লোকজন দের কাল রাতে মারতে গেলি কেনো।
=আমিঃ তোকে এই কথা কে বললো।
=সাব্বিরঃ ও কখন মারতে যাবে কাল রাতে তো ও আমার সাথে ছিলো।
=নিশাতঃ ঐ তুই থাম রবিকে বলতে দে।
=আমিঃ আচ্ছা শোন তাহলে।
তারপর আমি ওদের সব কথা খুলে বললাম।
=নিশাতঃএসব কাজের জন্য তোকে সবাই মাস্তান বলে সে খবর কি রাখিস তুই কিছু।
=আমিঃ আরেহ্ তারা তো ভুল কিছু বলে না।
=নিশাতঃ তার মানে কি তুই ভালো হবিনা।পিস্তল আছে বলে কি যাকে তাকে মারতে যাবি নাকি।
=আমিঃ যাহ্ বাবা কয়জন কে মারলাম আবার।(সিগারেট ধরাতে ধরাতে)
=নিশাতঃ ঐ সিগারেট ফেল বলছি। কত ভালো একটা ছাত্র তুই। পড়া লেখাটা ও তো ঠিক মত করিস না। এমন করলে তো স্যার রা তোকে কলেজ থেকে বের করে দেবে।
=সাব্বিরঃ আচ্ছা ভাই একটা কথা বল দেখি তুই পড়িস না ঠিক মত তাহলে পরিক্ষা তে এতো ভালো রেজাল্ট করিস কি ভাবে।
আমি কিছু বলতে যাবো ঠিক এমন সময় কোথা থেকে প্রীন্সিপল স্যার আমাদের সামনে আসতেই সাব্বির আমাকে বলে,,,,,
=সাব্বিরঃ ঐ সিগারেট টা ফেলে দে।
আমি ওর কথায় কান না দিয়ে সিগারেটে একটা টান দিলাম। তারপর স্যার আমার দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে বলে,,,,,,,,,,,,,
=স্যারঃ বেয়াদব একটা।(চলে গেলো)
=স্যারঃ ঐ সালা তোকে না বললাম সিগারেট ফেলে দিতে।
=আমিঃ ধূর তোদের এই লেকচারের জন্য কলেজে আসতে মন চায়না।
=নিশাতঃ কোথায় চললি আবার।
=আমিঃ ঠিক নাই।
এই কথাটা বলেই বাইক স্ট্যাট দিয়ে চলে যেতে লাগলাম। গেটের সামনে আসতেই একটা মেয়ে হঠাৎ করে আমার বাইকের সামনে চলে আসে। তারপর আমি একেবারে মেয়েটির সামনে গিয়ে ব্রেক করলাম। ততোসময়ে মেয়েটি ভয়ে চোখ বন্ধ করে রাখছে।
=আমিঃ এই আপনি চোখে দেখেন না নাকি।
=নিলাঃ,,,,,,,,,। (চোখ খুলে কিছু না বলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে)
=আমিঃ এই যে কথা কানে যায়না।
=নিলাঃ আরেহ্ রবি আপনি এখানে।
=আমিঃ আপনি কে আর আমাকে চিনেন কিভাবে।(অবাক হয়ে)
=নিলাঃ আরেহ্ আমি নিলা।
=আমিঃ,,,,,,,,,।(চুপ)
=নিলাঃ আরহ্ ঐ যে কাল রাতে আমাকে কিছু ছেলেরা আমার পিছু নিয়েছিলো তারপর আপনি আমাকে সাহায্য করলেন।
=আমিঃ ওহ্ হ্যা মনে পড়েছে। তাহলে আমি সেই মেয়ে।
=নিলাঃ হুমম আমি।
=আমিঃ আসলে কাল রাতে খেয়াল করে আপনার চেহারাটা দেখি নাই তো। তাই চিনতে পারি নাই।
=নিলাঃ আমার চেহারা টা কি এতোই খারাপ যার কারণে কাল রাতে খেয়াল করেনি।
=আমিঃ আসলে তা না।
=নিলাঃ আচ্ছা ছারুন এসব কথা। এখন বলুন আপনি এখানে কেনো।
=আমিঃ এসেছিলাম একটা কাজ ছিলো। তা আপনি কি এই কলেজে ভর্তি হয়েছেন।
=নিলাঃ হ্যা।
=আমিঃ আচ্ছা তাহলে ক্লাসে যান।
=নিলাঃ তা এখন আপনি কোথায় যাচ্ছেন।
=আমিঃ ঠিক নেই।
=নিলাঃ ও বুঝতে পারছি গার্লফ্রেন্ড এর সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন নিশ্চয়ই। তাই তো আমাকে বলছেন না যে কোথায় যাচ্ছেন।
=আমিঃ আরেহ্ নাহ্। এমন কিছু না। এখন যায় তাহলে আমি।
এই কথা বলে নিলার সামনে থেকে চলে গেলাম।
আর অন্যদিকে,,,,,,,,,,,
=নিলাঃ ছেলেটা আজীব তো। আমার মত একটা সুন্দর মেয়ে তার সাথে কথা বলছে কোথায় সেও আমার সাথে কথা বলতে চাইবে। আর সে কিনা ঠিক মত আমার সাথে কথাই বলতে চায়না। ঠিক মত কথা বলা তো দূরের কথা একটি বার আমার মুখের দিকে তাকিয়ে কথা পর্যন্তুক বললো না। কি এমন তাড়া ছিলো শুনি যার জন্য চলে গেলো এভাবে। সত্যি এই ছেলেকে বুঝা এতো সহজ না। এই যা রবির মোবাই নাম্বার টা নেবো কথায় কথায় সেটাই মনে নেই।অন্য একদিন দেখা হলে নেবো।(মনেমনে)
দাড়িয়ে দাড়িয়ে এসব কথা ভাবছিলাম এমন সময় কোথা থেকে একটা মেয়ে এসে বলে,,,,,,,,,,,,
( ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)
To be Continue ⏩
(চলবে..........)
আপনারা যুদি like commented না করেন তাহলে গল্প লেখক তে ভালো লাগে না
বন্ধুরা হয়তো অন্য সবার মত গল্পের কথা গুলো গুছিয়ে লিখতে পারিনা। তার-পর লিখার চিষ্টা করি। তাই গল্পটাই Next না লিখে ভালো বা খারাপ যেটাই আপনাদের কাছে মনে হয় সেটা জানাবেন। ধন্যবাদ।
( পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।)
Nice golpo vai a