এক যুবতী রমনী একটু দূরের এক কূয়া থেকে পানি তুলছিলো। পাশ দিয়ে এক দরবেশ হেঁটে যাচ্ছিল। যুবতীকে দেখে তার মনে হল, এই
নারী জাতির মাঝে এমন কি শক্তি, কৌশল ও ছলনা রয়েছে, যা দ্বারা তারা বাদশাকে ফকির,
বীরকে ভীরু, আলেমকে জাহেল, পাথরকে "মোম", বৃদ্ধকে "যুবক"বানিয়ে ইচ্ছে মত খেলাতে পারে।
``````তখন দরবেশ এসে তার মনের কথা গুলো ঐ যুবতীকে বললো। দরবেশের কথা শুনে যুবতী তার শাড়ীর অর্ধেক খুলে ফেললো। চুলগুলো এলোমেলো করে, আমাকে বাঁচাও বাঁচাও বলে
চিত্কার জুড়ে দিলো।
-----দরবেশ তখন
মেয়েটিকে বললো মা আমি তোমার কাছে একটা জিনিস জানতে চাইলাম,
আর তুমি কিনা আমার সাথে ছলনা করে,
আমাকে এখন মানুষের হাতে মার খায়াবে।
তিনি কেঁদে ফেললেন এবং বললেন
এটাই কি তোমার আসল রূপ।
``````ঐ
দিকে লোকেরা লাঠি নিয়ে ছুটে আসছে।
যখন মেয়েটি লোকদের ছুটে আসতে দেখলো, তখন সে কূয়া থেকে এক বালটি পানি তুলে সাথে সাথে নিজের শরীরটাকে ভিজিয়ে নিলো।
এবং দরবেশের কাপরটা কিছু ভিজিয়ে দিলো।
এবং জোরে জোরে হাপাতে লাগলো।
----লোকেরা এসে জিঞ্জাসা
করলে।
মা তোমার কি হয়েছে?
`````মেয়েটি বললো আমি কূয়াতে
পরে গিয়ে চিৎকার করছিলাম তখন এই দরবেশ হুজুর আমাকে কষ্ট করে কূয়া থেকে উঠিয়েছেন।
তা না হলে আমি তো আজ মারাই যেতাম।
-----তখন
লোকেরা দরবেশকে বাড়ি নিয়ে
অনেক আপ্যায়ন ও সম্মান করলো। যখন
তিনি চলে আসবেন তখন
মেয়েটি এসে বললো হুজুর আপনার
প্রশ্নের উত্তর কী পেয়েছেন?
নারী জাতীরা এই ভাবেই
পুরুষদেরকে শিকার করে থাকে। তাই
ছলনাময়ী নারীদের থেকে দুরে থাকবে।
[তবে ইসলাম যতটুক অনুমতি দেয়]।
নাগিনীর 'ছোবল' খেয়েও অনেক মানুষ বেঁচে যায়।
কিন্তু, ছলনাময়ী নারীর 'ছোবলে' বেঁচে থাকা বড় দায়। ইমান, আমল, জান, মাল, পিতা মাতা সব কিছু শেষ হয়ে যাবে।
গল্পটা কেমন লাগলো পড়ে জানাবেন?