হাইস্কুল,বন্ধুত্বঃ জীবনের মধুর সব স্মৃতি

2 14

   Hi everyone! I am new here.What's up all? It is really a fantastic platform in this corona situation.Here i can share my feelings with everyone. Want to join with you all.

চলুন আজ আপনাদের একটিবার হাইস্কুলে ফেরানো যাক। টাইম মেশিনে চড়ে আপনার হাইস্কুলের দিনগুলোতে ফেরা যায়? ফেরা যায় সেই ক্লাস সিক্স বা সেভেনে পড়া বয়সে? যদি স্মৃতির পাতা উল্টে ফিরে যেতে পারেন হাইস্কুলের দিনে, তবে দেখবেন নেভিব্লু কামিজ -কালো পায়জামা, এক জোড়া সাদা কেডস, চুলে দুটো বিনুনি করে স্কুলে যাওয়া কাউকে। মনে হবে, জীবনের একমাত্র লক্ষ্যই বুঝি স্কুলে যাওয়া আর সীমাহীন আনন্দ পাওয়া। গল্পভেদে কারও স্কুলের ড্রেসের রং ভিন্ন হতে পারে, তবে হাইস্কুলে পাওয়া ওই অপার্থিব সুখস্মৃতি একই।

স্কুলের বিল্ডিং পেরিয়ে বিশাল মাঠ, কেউ কেউ হয়তো পাশে পেয়েছেন বড় পুকুরও। জীবনে তখন শুধু গণিত বইয়ে মাথা গুঁজে পাটিগণিত আর বীজগণিতের হিসাব চুকানো ছাড়াও অন্য এক উদ্দেশ্য ছিল। সে উদ্দেশ্যও আনন্দের। কখন টিফিন পিরিয়ড ঘণ্টার সেই মধুর শব্দ বাজবে আর আপনি আপনার বন্ধুদের নিয়ে নেমে পড়বেন স্কুলের কমনরুমের বারান্দায় । অত বড়ো কমনরুমটাতেও সবার জায়গা হতো না।সে এক আনন্দ ছিল বটে। কখনো কুতকুত, কখনো ক্যারাম। কেউ বা আছে লুডু বোর্ড নিয়ে। আবার অন্য পাশেই চলছে গানের কলি। সেই সব খেলার সে কি উত্তেজনা!এমনই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল সেসব।পাশেই স্কুলের বিশাল মাঠে চলত ছেলেদের ক্রিকেট, ফুটবল। কমনরুমের বেলকনিতে দাঁড়িয়ে তাদের খেলা দেখার মাঝেও যেন ছিলো অন্য রকম ভালো লাগা।

অন্য রকম মজা ছিল ওই পাঁচ বছরের জীবনে। বন্ধুদের দেওয়া কোনো এক নামে তখন আপনার সার্টিফিকেটের নাম ভুলে যাওয়ার জোগাড়। বন্ধুরা যে নামে ডাকে, সেটিই আপনার নাম হয়ে যায় পাঁচ বছরের জন্য কিংবা বন্ধুদের কাছে আপনি সে নামেই থেকে যান বাকিটা জীবন। আর কোনো মেয়েকে কোনো ছেলের সাথে একবার কথা বলতে দেখলেই হলো। তার নামের সাথে ঐ ছেলের নাম তখনই জড়িয়ে যেত। শুধু তা করেই শেষ নয়। মোটামুটি বেশ কয়েকটা জায়গায় তাদের নাম যোগ চিহ্ন দিয়ে লিখেও দেয়া হতো।

টিফিন পিরিয়ডে টিফিন নিয়ে কাড়াকাড়ি, করেছেন নিশ্চয়? ফাঁকিবাজি?? হোমওয়ার্ক চুরি?? পড়া চুরি? স্যারকে ফাঁকি দিয়ে দুই তিনটি লাইনকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দশবার বলে পড়া পেরেছেন কখনো?? করেন নি সেসব?? না করলে আপনার জীবনটা ষোলআনাই বৃথা।🤪

হাইস্কুল শেষে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব মেলাই নি কখনো। মেলানোর সময়ই হয়নি কখনো। হয়তো প্রাপ্তির খাতায় এতই যে অপ্রাপ্তিগুলো প্রাপ্তিগুলোর আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়।

জীবনের সেই পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের সঙ্গে দলবেঁধে আড্ডা, গান, খুনসুটি- সবই জীবন ক্যানভাসে সুখ নামের রংচটা হয়ে থাকবে। 😍😍

3
$ 0.00
Sponsors of Apu
empty
empty
empty

Comments

মনে পড়ে গেল সেই স্কুল জীবনের কথা। কত কিছুই না লুকিয়ে আছে। সেই টিফিন পিরিয়ডেে মজা করা।

$ 0.00
3 years ago

হুম। পুরানো সে দিনের কথা....

$ 0.00
User's avatar Apu
3 years ago