বন্ধনীর চিন্তাহীন অনাবিল মধুর জীবন যাপন করেছি শৈশবে। এই সময় ছিল না কোন ভবিষ্যৎ চিন্তা শুধু বর্তমানকে উপভোগ করতাম। যখনই এই কথাগুলো মনে পড়ে তখন খুবই খারাপ লাগে। আমার শৈশব কেটেছে গ্রামে। খাওয়া-দাওয়া কিংবা গোসলের কোন সময় ছিল না। সব কিছুই করতাম মন মত। সকালবেলায় স্কুলে যাওয়া বিকালে খেলাধুলা করা কতটা মজাই না করতাম। আর সব সময় বেশি ভালো লাগতো আমার নাচতে।ভালোলাগার ভালোবাসার এক আশ্চর্য সুখময় মজার শৈশব কেটেছে। তবে তার ভেতরে আবার কিছু বিষন্নতার স্মৃতি ছিল।। আরো সবথেকে শৈশবে মজার বিষয় ছিল উৎসব অনুষ্ঠানের দিনগুলো।বৈশাখী মেলা বসন্ত উৎসব রথ উৎসব পৌষ পার্বণের উৎসব হিন্দুদের পূজা পার্বণের উৎসব গ্রাম্য মেলা ইত্যাদি। স্কুলের প্রতিযোগিতা গুলো ছিল আরও মধুর।লেখাপড়ার পাশাপাশি এইসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে খুবই ভালো লাগতো।
পৃথিবীর এই পরিবর্তনশীলতার কারণে আমাদের জীবনটাও পরিবর্তন হয়ে গেল। জীবনের সে স্বপ্নময় দিনগুলো হাতছানি দিয়ে এখনো ডাকে। কিন্তু কখনো কি ফিরে পাবো সেই দিনগুলো আর।
সুন্দর হয়েছে বন্ধু।অতিতের কথাগুলো মনে করিয়ে দিলে।স্কুল যাওয়া বিকালে খেলাধুলা করা কতটা মজাই না করতাম। আর সব সময় বেশি ভালো লাগতো আমার খেলাধুলা লেখাপড়া থেকে।