সন্তানকে শান্ত রাখার উপায়
মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ কিংবা টিভি ছাড়াও সন্তানকে শান্ত রাখা যায়।
বর্তমান সময়ে শিশু একটু কান্নাকাটি করলে বা জেদ করলে অভিভাবকরা মোবাইল ফোন, কম্পিউটার বা টিভির সামনে তাকে বসিয়ে দিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করে। এতে করে শিশু ‘স্ক্রিন’য়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। যা তার শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য খারাপ।
শিশু-বিষয়ক একটি ওয়েবাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে সন্তানকে শান্ত করার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
শান্ত থাকুন: শিশুর আচরণে যত প্রতিক্রিয়া দেখাবেন সে ততবেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠবে, তাই নিজে শান্ত থাকুন। এতে শিশু নিজে নিজেই চুপ হয়ে যাবে এবং আপনার কথা শোনা শুরু করবে।
সন্তানের সঙ্গে খেলুন: সন্তানের জেদ কমাতে তার সঙ্গে খেলাধুলা করা সবচেয়ে ভালো উপায়। আপনি যদি তার সঙ্গে খেলেন তাহলে সে আরও বেশি উৎসাহ পাবে। বোর্ড গেইম, মোল্ডিং ক্লে ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন খেলায় তাকে ব্যস্ত রাখুন। এতে তার সৃজনশীলতা বাড়বে এবং সে ব্যস্তও থাকবে।
বিকল্প জানতে চান: সন্তানের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং তার সামনে একই সময়ে যে কোনো বিকল্প দুইটি উপায় তুলে ধরুন। এছাড়াও তার যদি ভিন্ন কিছু বলার থাকে এবং তা আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে তার জন্য শিশুকে প্রশংসা করুন।
সুর: শিশুরা সুর বা গান খুব ভালো ভাবে গ্রহণ করে। তাদের শান্ত করতে পছন্দের গান চালিয়ে দিতে পারেন।। এতে ধীরে ধীরে তারা শান্ত হয়ে যাবে এবং কান্না বন্ধ করে দেবে।
জড়িয়ে ধরুন: যে কাউকে শান্ত করতে মানুষের স্পর্শ খুব কার্যকর। এটা শিশুদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। জড়িয়ে ধরা বা আদর করা মানসিকভাবে শান্ত করতে সহায়তা করে। এতে শিশুদের মানসিক অবস্থাও স্থির হয়। তাই, শিশুকে শান্ত করতে তাকে জড়িয়ে ধরা কার্যকর।
শিশুরা খাবার নিয়ে বাহানা করবেই, তাই বলে তাদের পুষ্টি ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না। খাবার নিয়ে খুঁতখুঁতে শিশুদের খাওয়ানোর জন্য হতে হবে কৌশলী।
[bad iframe src]
শিশুবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় শিশুদের খাবার খাওয়ানোর কৌশল সম্পর্কে।
শিশু ঠিকমতো খাবার না খেলে তার শরীরে পুষ্টির চাহিদা ঠিকমতো পূরণ হচ্ছে কিনা তা জানতে শিশুরোগবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।
যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে শিশু কোনো একবেলার খাবার বা নির্দিষ্ট কোনো খাবার খেতে না চাইলেও সমস্যা নেই। শিশু যদি কর্মতৎপর এবং সুস্থ থাকে তাহলে খাবার নিয়ে খুঁতখুঁতে হলেও এটা নিয়ে খুব একটা দুশচিন্তার কারণ নেই।
তবে শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হয় বা পুষ্টিহীনতা দেখা দেয় তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর সমাধানের চেষ্টা করা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ কেলি ডর্ফম্যান তার ‘হোয়াট’স ইটিং ইয়োর চাইল্ড?’ বইতে শিশুকে খাওয়ানোর কিছু কৌশল জানান।
[bad iframe src]
বাদ দিন: প্রথমেই শিশু যে খাবারগুলো খেতে পছন্দ করে না সেগুলো বাদ দিন। যেসব খাবার অতিরিক্ত শর্করাযুক্ত বা প্রক্রিয়াজাত সেগুলো বাদ দিন। যেসব খাবার খেতে চায় না সেগুলো খেলে হয়ত তার অসুবিধা হয়। অপছন্দের খাবার বাদ দেওয়ার প্রেক্ষিতে অন্য খাবার সংযুক্ত করুন।
যুক্ত করুন: শিশুর অপছন্দের খাবার বাদ দেওয়ার পর তাকে জানান যে, প্রতি দুই সপ্তাহে একটি করে নতুন খাবার যোগ করবেন। এটা হতে পারে আলু অথবা মটরজাতীয় খাবার। মনে রাখবেন যেকোনো একটা খাবারই যোগ করতে হবে। এর মাধ্যমে বুঝতে পারবেন আসলেই তার ওই খাবারে কোনো অসুবিধা হয়, নাকি এটা তার মানসিক অনুভূতি। যদি দেখেন যে সত্যি এতে শিশুর কোনো অসুবিধা হচ্ছে তাহলে সেটা বাদ দিন। আর যদি এটা কেবল তার মানসিক অনুভূতি হয় তাহলে তাকে সেটা বুঝিয়ে বলুন।
চেষ্টা করুন: শিশু যদি প্রতিদিন এক কামড় করেও নতুন খাবার খায় সেটা তার জন্য উপকারী। খেতে না চাইলেও স্বাদ গ্রহণের জন্য যদি দুসপ্তাহ কেবল এক কামড় করে একই খাবার খাওনো যায় সেটা তার পুষ্টি চাহিদা পূরণ করবে।