মেডিকেল ভিসা আবেদন গ্রহণ শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস
সাক্ষাতকার ছাড়াই পর্যটন, ব্যবসা এবং মেডিকেল ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। এক্ষেত্রে যাদের নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসার মেয়াদ গত ২৪ মাসের মধ্যে শেষ হয়েছে এখন শুধু তারাই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সাক্ষাতকার ছাড়াই ভিসার জন্য উপযুক্ত বিবেচিত হবেন।
সোমবার (৫ অক্টোবর) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কনস্যুলার চিফ উইলিয়ম ডোয়ারস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি কনস্যুলার চিফ কেলি আইরি ও পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার আরলিসা রেনলডস। সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়েছে, এবার বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের খবর সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকরা যেতে পারছেন না। কারণ নতুন কোন ভিসার আবেদন এ মুহূর্তে নেওয়া হচ্ছে না।
চিফ উইলিয়ম ডোয়ারস জানান, বর্তমানে শুধু তাদের ভিসা আবেদনই নেওয়া হবে যারা সাক্ষাতকার ছাড়াই ভিসা পাওয়ার জন্য উপযুক্ত বিবেচিত হবেন। আর তারাই উপযুক্ত বিবেচিত হবেন যাদের আগে নন ইমিগ্রান্ট ভিসা ছিল এবং মেয়াদ গত ২৪ মাসের মধ্যে শেষ হয়েছে। তবে যারা এর আগে ভিসার আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন তারা এ আবেদনের জন্য উপযুক্ত বিবেচিত হবেন না। অবশ্য যদি কারও ভিসা সুনির্দিষ্ট কোন দলিল না দেওয়ার জন্য প্রত্যাখ্যান করা হয় তাহলে তিনি সেই দলিল দেওয়ার বিবেচনায় আবেদনের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। যারা গত মার্চ-এপ্রিলে ভিসা ফি দিয়েও সাক্ষাতকারের তারিখ পাননি তাদের ফি’র মেয়াদ এক বছর পর্যন্ত থাকবে। পরিস্থিতি সাপেক্ষে এ মেয়াদ আরো বাড়ানো হতে পারে।
তিনি বলেন, নতুন ভিসার জন্য আবেদন এখনই গ্রহণ করা হচ্ছে না। এটা নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ওপর। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এবং সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলে তা পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। কবে থেকে নতুন ভিসার আবেদন নেওয়া শুরু হতে পারে সে সম্পর্কে এখনই কোন ধারনা দেওয়া সম্ভব নয় বলেও তিনি জানান। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের সময় যে অঙ্গরাজ্যে যাচ্ছেন সেখানকার স্থানীয় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ আগে থেকেই জেনে ভ্রমণের পরামর্শ দেন। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে স্বাস্থ্য বিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা পৃথক। কোথাও কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক, কোথাও নয়। আবার কোথাও কোয়ারেন্টিনে থাকার বাধ্যবাধকতাও আছে। এ কারণে যে স্টেটের বিমান বন্দরে অবতরণ করবেন, সে স্টেটের নির্দেশনা ভ্রমণ শুরুর আগেই ভাল করে জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তবে ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে কওভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে না।
স্টুডেন্ট ভিসার ব্যাপারে দূতাবাসের তথ্যে বলা হয়েছে, সাক্ষাত্কার-ছাড়া ভিসা নবায়নের আবেদন গ্রহণ করা হবে শুধু যারা একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগের বিষয় নিয়েই লেখাপড়া চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক তাদের ক্ষেত্রে। ইমিগ্রেশন ভিসার বিষয়ে তিনি জানান, জরুরী প্রয়োজনে যেমন অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মতো কাজের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের স্বামী-স্ত্রী ও নিকটাত্মীয়রা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া এফ২ ভিসা স্টাটাসে থাকা শিক্ষার্থীদের স্বামী/স্ত্রী এবং/অথবা ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তানদের জন্য ভিসা নবায়নের আবেদন গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ৪ অক্টোবর থেকে বি১/বি২ (পর্যটন, ব্যবসা, এবং মেডিকেল) ভিসাসহ ইতিপূর্বে ঘোষিত সি, সি১/ডি, এফ, জে, এম, ও, এবং কিউ শ্রেণীভুক্ত নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসার আবেদন গ্রহণ করা শুরু হয়েছে। যারা ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, কোভিড-১৯ এর কারণে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের কাজ শেষ হতে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এক্ষেত্রে ভ্রমণের তারিখ বিবেচনা সাপেক্ষে যথেষ্ট সময় হাতে রেখে ভিসার জন্য আবেদন করার পরামর্শ দিচ্ছে দূতাবাস