মাইগ্রেন ব্যাথা
মাইগ্রেন ( মাথা ব্যাথা )এ ব্রেন ওয়েভ ফ্রেকুয়েন্সি হয়ে যায় ৯০-২০০ Hz, যা স্বাভাবিক অবস্থা ১৩-২০।
স্বাভাবিক মানুষ কোরআন তেলওয়াত করলে বা শুনলে এই ফ্রেকুয়েন্সি কমে ৮-১২ হয়। যারা দীর্ঘক্ষনবা দীর্ঘদিন তেলওয়াত শুনে, তাদের ফ্রেকুয়ান্সি ৩-৭ ও হয়।মোট কথা কোরআন তেলওয়াত ফ্রেকুয়েন্সি কমার
অনেকেই বলে আসছিলেন মাইগ্রেন নিয়ে ভাইয়া একটা বিস্তারিত পোস্ট চাই।
তাই লিখে ফেললাম। আশা করি পুরোটা পড়বেন।
>মাইগ্রেন যা গ্রামদেশে সাধারণভাবে ‘আধ কপালি ব্যথা’ বলে পরিচিত।মাইগ্রেন একটি শক্তিশালী মাথাব্যথা যা প্রায়শই বমি বমি ভাব এবং আলো ও শব্দ সংবেদনশীলতার সাথে ঘটে। প্রতিবার মাইগ্রেন ব্যাথা সাধারণত ৭ঘন্টা থেকে ৩ দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে। অর্থাৎ মাথার পুরো একপাশ জুড়ে ব্যাথা যা একপাশে শুরু হয়ে অন্যপাশেও যেতে পারে।
>মাইগ্রেন কেন হয়?
~বাস্তবিকপক্ষে মাথাব্যথার প্রকৃত কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা আজও কোনো স্থির সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি।১৯৬০ সাল থেকে এই পর্যন্ত গবেষণায় দেখা গিয়েছে টেনশনের কারণে অথবা মস্তিষ্কে রক্তবাহী শিরাগুলো যখন মস্তিষ্কে ঠিকমতো রক্ত সরবরাহ করে না কিংবা রক্তবাহী শিরাগুলো কখনও কোনো কারণে অতিরিক্ত রক্ত সরবরাহ করলে মাইগ্রেনের ব্যাথা হতে পারে বলে বিজ্ঞানিদের ধারণা। আবার যখন পুরোপুরিভাবে মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়, তখন বহিঃমস্তিষ্কের ধমনিগুলোর প্রসারণ ঘটে- যা মূলত রক্তের মাঝে বিদ্যমান ৫-হাইড্রেক্সি ট্রিপটামিন (৫-Hydroxy Tryptamine) নামক নিউরোট্রান্সমিটার ব্রেনের উপাদানের উপস্থিতির পরিমাণের উপর নির্ভর করে।
>মাইগ্রেনের মাথাব্যথা কি বংশগত?
~হ্যাঁ, মাইগ্রেনের মাথাব্যথা পরিবারগুলিতে চলছে বলে মনে হচ্ছে। শর্তযুক্ত ৫ জনের মধ্যে চারজনের পরিবারের অন্যান্য সদস্য রয়েছে যারা তাদের রয়েছে। যদি কোনও পিতামাতার এই ধরণের মাথা ব্যথার ইতিহাস থাকে তবে তাদের সন্তানের তাদের পাওয়ার ৫০% সম্ভাবনা থাকে এবং যদি বাবা-মা উভয়েরই থাকে তবে ঝুঁকিটি ৭৫ % এ চলে যায়। একটি লক্ষণীয় বিষয় হলো পুরুষের তুলনায় নারীদের মাইগ্রেন ব্যাথা হওয়ার হার ৩ গুণ।
>লক্ষণ
~সাধারণত এ রোগীরা মাথাব্যথা শুরুর পূর্বের আধাঘণ্টা সময়ের মধ্যে
১)চোখে আলোর ঝলকানি
২)চোখের সামনের কিছু অংশ অন্ধকার দেখা ৩)রাস্তাঘাট উঁচু-নিচু, আঁকা-বাঁকা দেখা
আর পরে একসময় রোগী নিম্নোক্ত উপস্বর্গগুলো ফেইস করে
১)চিন চিন বা দপ দপ করে ব্যথা;
২)অর্ধেক মাথায় ব্যথা
৩)বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া;
৪)আলো ভীতি বা শব্দ ভীতি
>চিকিৎসা
~দুঃখের বিষয় মাইগ্রেনের কোন চিরস্থায়ী চিকিৎসা নেই।তবে আপনি কিছু ওষুধ এবং মাইগ্রেন ব্যাথার ট্রিগার উপাদান (যে উপাদান ব্যাথাকে প্রভাবিত করে)যেমন (পনির,চকলেট, কফি,চা )এ গুলো পরিত্যাগ করলে ব্যাথা থেকে মোটামুটি কিছুদিন পরিত্রাণ পেতে পারেন।কিন্তু একেবারে প্রতিরোধ হবেনা।
ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
এছাড়া over the counter (OTC) ড্রাগগুলি কিছু লোকের জন্য প্রায়শই ভাল কাজ করে। এই ওষুধগুলোর মূল উপাদান হলো এসিটামিনোফেন , অ্যাসপিরিন , ক্যাফিন এবং আইবুপ্রোফেন । রেয়ের সিনড্রোমের ঝুঁকির কারণে ১৯ বছরের কম বয়সী কাউকে কখনও অ্যাসপিরিন দেয়া হয় না।
>কিছু বিধান যা চিকিৎসকেরা মাইগ্রেন রোগীদের পালন করতে বলে থাকেন
১)প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় পরিমিত ঘুমানো।
২)অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ না করা।
৩)কড়া রোদ বা তীব্র ঠান্ডা পরিহার করতে হবে।
৪)উচ্চশব্দ ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বেশিক্ষণ না থাকা।
৫) বেশি সময় ধরে কম্পিউটারের মনিটর ও টিভির সামনে না থাকা।
৬)মাইগ্রেন শুরু হয়ে গেলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা।
৭)চিন্তা ও চাপ মুক্ত থাকে
মাইগ্রেন ব্যাথা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়ঃ
মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করার রয়েছে দারুণ কিছু উপায়। সাধারণ ২ টি জুস পানের ফলে নিমেষে দূর হয়ে
যাবে মাইগ্রেনের মারাত্মক মাথাব্যথা। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই দুটি পানীয় সম্পর্কে।
১) ব্রকলি, গাজর ও আপেলের পানীয়
উপকরণঃ
– ছোট আকারের ব্রকলির ৮ ভাগের ১ ভাগ
– ২ টি মাঝারি আকারের গাজর
– ১ টি আপেল
পদ্ধতিঃ
– ব্রকলি, আপেল ও গাজর ছোটো ছোটো খণ্ড করে ব্লেন্ডারে সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন ভালো করে।
– মিহি ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিতে পারেন। প্রয়োজন না পড়লে ছেঁকে নেয়ার দরকার নেই।
– এতে মেশান ১ চিমচি লবণ ও ১ চিমটি বিট লবণ। এবার এই পানীয় পান করে নিন। অনেক দ্রুত ভালো ফল পাবেন।
২) লেবুর রস, মধু ও আপেল সিডার ভিনেগারের পানীয়
উপকরণঃ
– ২ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
– ১ গ্লাস পানি
– ১ চা চামচ মধু
– ১ চা চামচ লেবুর রস
পদ্ধতিঃ
– ১ গ্লাস পানিতে আপেল সিডার ভিনেগার ভালো করে মিশিয়ে নিন।
– ভিনেগার মিশে গেলে এতে, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন ভালো করে।
– এই পানীয় মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে দিনে ২-৩ বার পান করুন। মাইগ্রেনের ব্যথা দূর হবে খুব দ্রুত।