মানুষের নৃশংসতা দেখে বিকারগস্ত হয়ে যাচ্ছি।অসুস্থ লাগে। ভালো শিক্ষা, জ্ঞান,অর্থনৈতিক সচ্ছলতা কিংবা বাবা মায়ের ভালোবাসা- কিছুই যেন মানুষ করে তুলছে না আমাদের।
এত্ত রাগ,ঘৃণা ভরা পৃথিবীতে ভালোবাসা কি অলীক আশা? লিস্ট শুধুই লম্বা হচ্ছে!
দুর্যোগ, দুর্ঘটনায়, সাভাবিক নিয়মে এমনি তো হারিয়ে যাচ্ছে সব। কিন্তু নিজেরা কেন নিজেদের কেই বারবার এমন ভয়াবহতায় ঠেলে দেই?
হত্যাকারী বা কারীরা বা (ধর্সনকারিও হত্যাকারী) যাদের ফ্যামিলির সদস্য।তারা কিভাবে পারে এদের কে বাচানোর চেস্টা করতে? এটাই কি প্রমাণ করে না যে,এই পরিবারটির সদস্যরাও সুযোগ পেলে এমন্টাই করত।যেখানে তারা এত্ত অপরাধের পরেও তাকে রক্ষার চেস্টা করে??
উকিলও পাওয়া যায় এদের জন্য! কি শিক্ষা সেখায় মাবুদ জানে।আইন জেনেই তারা উকিল হয়েছে আমি আর কি বলি।
আমরা প্রত্যেকেই হিংস্র। কেন বলল্লাম?
বাসার কাজের মেয়ে টাকে যখন আপনার ছোট্ট সোনামনি চড়,থাপড় দেয়,চুল ধরে টানে। আপনি কি বাচ্চা কে ডেকে শাসন করেন?
ভাইবোন,ভাই ভাই, বোন বোন মারামারি, ঝগড়াঝাঁটি করেই ছোট বেলায়। আপনি কি কখনো তাদের মাঝে পক্ষপাতিত করেন? না মারামারির জন্য দুজনকেই সমান শাসন করেন?
আচ্ছা আচ্ছা দাড়ান! আপনি কি নিজেই বাসায় বেটার হাফের সাথে সেচ্ছাচারিতা করেন? কাজের লোকদের অসম্মান করেন? বাচ্চাদের শাসন করেন না, শুধুই আদর করে বাদর করছেন?
না আপনি তেমন না!
শুধু খেলা দেখার সময়,ফাস্ট বোলারের বলের আঘাতে প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যান ধপাস করে ভুপতিত হলে,আপনি উল্লাসে মেতে উঠেন! যদিও বোলার দিশেহারা হয়ে ব্যাটসম্যানের কাছে ছুটে যান।
WWF দেখে খুসিতে কুশন গুলোই ছুড়ে ছুড়ে মারেন। মাঝে মাঝে বাচ্চাদের সাথে ঢিসুম ঢিসুম,মারামারি খেলেন। আপনি হালকা ঘুশি দিলেও কিন্তু বাচ্চা তার শক্তি দিয়েই মারে।
আর এখন তো গেমস আছেই! মারো মারো,অই যে একটা শয়তান,গুলি কর গুলি কর!! অহ! মরে গেলি! লাইফ আছে আর দুই টা!
সত্যি খেলায়- জীবন এক্টাই!
মুভি নাইট! হলের দরকার নাই! বাসায় সাউন্ড সিস্টেম, বসে পরি দোস্তজ! ইরানি মুভি দেখার অভিজ্ঞতা কম। তাই বলতে পারছি না। অশ্লীলতা বাদে মুভি হয় নাকি! রোমান্টিজম অশ্লীলতা নয়,কিন্তু রোমান্টিজম কি লোককে দেখানোর বিষয়???
বাচ্চা বাচ্চা দের ফেইসবুকে লাইক- relationship goals.....একদিন পেইজ খানা দেখতে গেলুম। খেত আমি মাটি খুড়ে চলে যাই মনে চায়!
আধুনিকতার মানে মনে বিষ এর চাষ হলে। আমি খেত হয়েই ভালো আছি,কিন্তু আধুনিকতার যুগে আমি বড় বেমানান!
অভিভাবকরাই ভুল পথের যাত্রি! সন্তানদের কি আর শেখাবেন! নাক চুবানি পাপের মাঝে বেচে থেকে, সদা সত্য বলিবে। অসত পথে চলিবে না। এসব বললে, সন্তানরাই আমাদের আর গুনবে না।
শুধু ভালো শিক্ষার্থী করে সন্তান গড়ে তুলতে চেস্টা করবেন না। ছোট বেলায় দেখেছি,ভিকারুননিসা স্কুলে ভর্তির জন্য, অন্য স্কুলে ৩য় শ্রেনী পর্যন্ত পড়িয়ে, ভিকারুননিসা তে ক্লাস ওয়ানে দিচ্ছে। এস এসসি তে গিয়ে বয়স বানাচ্ছে ১৪! এটা কি মিথ্যা না??
স্কুলের টিচাররাই এস এস সি তে ব্যাচ ধরে বয়স বসিয়ে দিয়েছে বলে শুনেছি।আলহামদুলিল্লাহ! আমার স্কুল টি এমন ছিল না। শিক্ষকরাই কি মিথ্যা বলা শেখান নি?
এখন জন্মনিবন্ধনে মিথ্যা জন্মসাল দিয়ে বাবা মা সন্তানের জন্মের থেকেই মিথ্যা বলা শেখাচ্ছে। মিথ্যা সকল পাপের জননী। আর কিছু না বলি।
জব সেক্টরে ৩০ এর পর গভ জব মিলে না।ভবিষ্যৎ ভেবেই প্রিয় বাবা মা এমন করেন।প্রিয় শিক্ষক ও তাই। রিজিকের মালিক যা রেখেছেন তার বেশি কি আপনি আমি দিতে পারি কাউকে??
ভাল কে ভাল বলতে শিখুন। দয়া করুন। মানসিক, শারিরীক, সামাজিক সুস্থতার দায় আপনারো!!!
একটু মুক্তি দিন! একটু সস্তি দিন!