আমরা সবাই থ্রী ইডিয়টস মুভির কথা জানি!মুভির প্রথমে প্রিন্সিপাল যখন ওনার হাতের স্পেস পেন দেখিয়ে বলেন এটা স্পেসে ব্যবহারের জন্য এস্ট্রনোট পেন। কয়েক লাখ ডলারের পেন। তখন আমির খান প্রশ্ন করে, নাসা কেন পেন্সিল ব্যবহার করেনি? তাহলে লাখো ডলার বেঁচে যেত।
প্রিন্সিপাল তখন উত্তর না দিলেও,মুভির মধ্যেখানে যখন আমির খান কলেজ ছেড়ে চলে যেতে চায় এই উত্তর দেওয়া হয়! আসুন জানি, আসল ব্যপার।
বিজ্ঞানের এক জয়যাত্রা,,,,জিরো গ্ৰাভিটি পেন বা space pen
মহাকাশে সাধারণ পেনের সাহায্যে লেখা যায় না কারণ সেখানে জিরো অথবা মাইক্রো গ্রাভিটি তে সাধারণ পেন কাজ করে না ৷ তো মহাকাশে লেখা যায় এমন পেনের দরকার হয় নাসার ৷
বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষার পর নাসা তাদের হিউম্যান বা মনুষ্যবাহী স্পেস মিশনের জন্য এ ‘ফিশার স্পেস পেন’ বেছে নেয়। বর্তমানে আমেরিকা এবং রাশিয়া দুই দেশই এটা ব্যবহার করছে।
‘জিরো গ্র্যাভিটি পেন’ নামে পরিচিত এ কলমে ব্যবহার করা হয়েছে প্রেশারাইজড্ ইঙ্ক কার্ট্রিজ। জলের নীচে, মহাশূন্যে, ভেজা ও তৈলাক্ত কাগজের উপর, যে কোনো কোণে, উপরে নীচে যেমন ভাবে খুশি এর সাহায্যে লেখা সম্ভব। এ কলমটি আবিষ্কার করেন আমেরিকার পল সি ফিশার ৷
ফিশার এই পেন নাসাকে অফার করে ৷ মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী নাসা ৪০০টি এই পেন প্রতি ইউনিট এ ৬ ডলার এর বিনিময়ে কেনে অ্যাপোলো প্রোজেক্ট এর জন্য ৷ ১৯৬৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ১০০টি এই পেন কিনেছিল সয়ূজ মিশনের জন্য ৷
পেনের বদলে পেন্সিল কেনো ব্যবহার করে না স্পেস এজেন্সি রা তাহলে লক্ষ লক্ষ ডলার বেঁচে যেতো ?
আসলে ফিশার স্পেস পেন আবিষ্কার এর পূর্বে পেন্সিলই ব্যবহার করত নাসা অ্যাস্ট্রোনট এবং সোভিয়েত কসমোনটস্ রা ৷ কিন্তু মহাকাশে পেন্সিল ব্যবহার করা খুব বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ৷ পেন্সিলের গ্রাফাইটের গুড়ো বা ছোটো টুকরো ভেঙে গেলেও সেটা জিরো গ্রাভিটি র জন্য ভাসমান অবস্থায় থাকবে এবং মহাকাশচারী দের নাক, কান বা চোখে ঢুকে যাওয়ার ভয় আছে ৷ তাছাড়া ছোটো টুকরো কোথাও আটকে গিয়ে পুরো মহাকাশযান বা স্পেস ক্রাফ্টকে ড্যামেজ করে দিতে পারে ৷ তাই স্পেস পেন ব্যবহার করা হয় ৷
Oooo