প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফেইসবুকে কটূক্তির অভিযোগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ তথ্য ও পরামর্শ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. ফয়জুল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
বরখাস্ত একেএম ওয়াহিদুজ্জামান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
২০১৩ সালের ২২ অগাস্ট ফেইসবুকে একটি পোস্টে ওয়াহিদুজ্জামান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ‘অশ্লীল ও মানহানিকর কটূক্তি’ করেন, যা নিয়ে ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন আওয়ামী লীগ সমর্থক সংগঠন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
একই ব্যক্তি ৮ অক্টোবর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এনিয়ে ‘মানহানির’ মামলা করলে শুনানি শেষে ওইদিনই আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর ওয়াহিদুজ্জামান হাই কোর্টে গিয়ে জামিন চাইলে সে বছরের ১০ অক্টোবর তাকে জামিন দেয়।
২০১৩ সালের ৮ নভেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশন দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফয়জুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই কটূক্তির অভিযোগে ফৌজদারী মামলার দায়ে গ্রেপ্তার হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) সংবিধি-৮ এর ১০(৪) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক একেএম ওয়াহিদুজ্জামানকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে।
ফয়জুল করিম বলেন, “কারাগারে সোপর্দ হওয়ার দিন থেকে ওয়াহিদুজ্জামানকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এরপর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
“আপত্তিকর মন্তব্যের এবং তার নিরুদ্দেশ থাকার বিষয়টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি বিধি অনুযায়ী তদন্ত প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপ অনুসরণ করে গত ২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটর ২০৯ তম সভায় ওয়াহিদুজ্জামানকে চাকরি থেকে হতে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়।”
🙂🙂