বিশ্বের ৮৬% ইলিশই বাংলাদেশে

7 30
Avatar for Alidhasan
3 years ago
  • চার বছর আগেও বিশ্বের ৬৫ শতাংশ ইলিশের উৎস ছিল বাংলাদেশ।

  • এবার ইলিশের গড় ওজন ৯৫০ গ্রাম।

  • গবেষণায় দেখা গেছে, মা ইলিশ যে নদীতে ডিম পাড়ে এবং বাচ্চা ইলিশ যেখানে বড় হয়, পরিণত অবস্থায় তারা সেই নদীতেই ফেরে।

ইফতেখার মাহমুদ

ঢাকা

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৪:৩৬

অ+অ-

এবার ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ। গভীর সমুদ্র থেকে ইলিশবোঝাই ট্রলার নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন জেলেরা। সেখান থেকে আড়তে নেওয়ার প্রস্তুতি। সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগরের ফিশারিঘাটেছবি: জুয়েল শীল

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক খুললেই ইদানীং ইলিশের ছবিসহ পোস্ট চোখ পড়ছে। বাজারেও সব মাছ ছাপিয়ে রুপালি ইলিশ যেন রাজার আসনে। শুধু তা–ই নয়, এবার বাজারে ইলিশের আকারও বড়। দামও তুলনামূলক কম।

মৎস্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশের চলতি মাসের হিসাবে বিশ্বের মোট ইলিশের ৮৬ শতাংশ এখন বাংলাদেশে উৎপাদিত হচ্ছে। অথচ চার বছর আগেও বিশ্বের মোট ইলিশের উৎপাদনের ৬৫ শতাংশ আসত বাংলাদেশ থেকে। এই সময়ের মধ্যে এখানে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে ইলিশের উৎপাদন। সে তুলনায় প্রতিবেশী ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে ইলিশের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশের পরই ইলিশের উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে ভারত। পাঁচ বছর আগে দেশটিতে বিশ্বের প্রায় ২৫ শতাংশ ইলিশ উৎপাদিত হতো। তবে চলতি বছর তাদের উৎপাদন প্রায় সাড়ে ১০ শতাংশে নেমেছে। তৃতীয় অবস্থানে থাকা মিয়ানমারে উৎপাদন হয়েছে ৩ শতাংশের মতো। ইরান, ইরাক, কুয়েত ও পাকিস্তানে উৎপাদন হয়েছে বাকি ইলিশ।

বিজ্ঞাপন

ভারতের কেন্দ্রীয় মৎস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে দেশটিতে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনব্যাপী একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিল বাংলাদেশে কীভাবে ইলিশের উৎপাদন বাড়ল। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশের ইকোফিশ প্রকল্পের দলনেতা অধ্যাপক আবদুল ওহাব। তিনি বাংলাদেশের ইলিশের উৎপাদনের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, এ দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারি সংস্থাগুলো যে মডেল তৈরি করেছে, তা এখন বিশ্বের অনেক দেশ অনুসরণ করছে।

মা ও জাটকা ইলিশ ধরা বন্ধ করা, অভয়াশ্রম বাড়ানো ও জেলের সুরক্ষা দেওয়ায় এ সাফল্য এসেছে।

অধ্যাপক ওহাবের গবেষণা প্রবন্ধটিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিভিন্ন নদ-নদীতে ইলিশের যে অভয়াশ্রম তৈরি করেছে, তা ধারাবাহিকভাবে এই মাছের উৎপাদন বাড়িয়েছে। ২০১৮-১৯ সালে বাংলাদেশের মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ যৌথভাবে ইলিশের জিনগত বৈশিষ্ট্য ও গতিবিধি নিয়ে প্রথম একটি গবেষণা করে। তাতে দেখা গেছে, মা ইলিশ যে নদীতে ডিম পাড়ে এবং বাচ্চা ইলিশ যেখানে বড় হয়, পরিণত অবস্থায় তারা সমুদ্র থেকে সেই নদীতেই ফিরে আসে। অন্য কোনো নদী বা জলাশয়ে যতই অনুকূল পরিবেশ থাকুক না কেন, তারা জন্মস্থানেই ফিরে আসে। বাংলাদেশে যেহেতু অভয়াশ্রমগুলোয় ইলিশের ডিম পাড়ার হার বেশি এবং বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে, তাই সাগর থেকে তারা সেখানেই ফিরে আসছে। ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলো অভয়াশ্রম তৈরি করে মা ও জাটকা ইলিশের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে পারেনি।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের একদল বিজ্ঞানী গবেষণা করে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ইলিশের সর্বোচ্চ টেকসই উৎপাদন ৫ লাখ ৩০ হাজার টন হতে পারে। কিন্তু সেই পূর্বাভাস ভুল প্রমাণিত হয়েছে। চার বছরেই ইলিশের উৎপাদন সর্বোচ্চ ওই সীমা অতিক্রম করে গেছে। গত বছরের নভেম্বরে মৎস্য অধিদপ্তর ও ওয়ার্ল্ডফিশের গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশে ৬ লাখ ৭০ হাজার টন ইলিশের সর্বোচ্চ টেকসই উৎপাদন সম্ভব

7
$ 0.00
Avatar for Alidhasan
3 years ago

Comments

😧

$ 0.00
3 years ago

Thanks

$ 0.00
3 years ago

Right

$ 0.00
3 years ago

Thanks

$ 0.00
3 years ago