তাদের খোজে আট বছর

2 9
Avatar for AlEmran
3 years ago

রানা প্লাজার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন সানোয়ার হোসেন ও নুসরাত জাহান দম্পতি। ভবনধসে সানোয়ার বেঁচে গেলেও তাঁর স্ত্রীর সন্ধান আজও মেলেেনি।

‘লাশের খোঁজে দিনের পর দিন হাসপাতালে ঘুরে বেড়িয়েছি। কিন্তু খোঁজ পাইনি আমরা। ভাইবোন হারানোর শোকে আমার মা এখন পাগলপ্রায়,’ কথাগুলো বলছিলেন সাভারের রানা প্লাজা ধসে দুই ভাইবোনকে হারানো শফিকুল ইসলাম। আট বছর আগে দুনিয়াজোড়া আলোড়ন তোলা ওই ঘটনায় শফিকুলদের মতো আরও অনেকেই স্বজনের সন্ধানই এখনো পাননি।

ওই ভবনের একটি পোশাক কারখানার কর্মী সানোয়ার হোসেন হারিয়েছিলেন তাঁর সহধর্মিণীকে। সে সময় তাঁদের ছোট্ট মেয়েটি এখন ১৪ বছরের কিশোরী। মা কোথায় জানতে চাইলে মেয়েকে আর কোনো উত্তর দিতে পারেন না সানোয়ার। তাঁর মতোই ছেলের প্রশ্নে নিরুত্তর হয়ে যান জয়পুরহাটের রেহেলা আক্তার। তাঁর স্বামী মাহেদুল ইসলামও ধসে পড়ার কয়েক ঘণ্টা আগে রানা প্লাজায় কাজে ঢুকেছিলেন।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে ধসে পড়ে সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছে নয়তলা ভবন রানা প্লাজা। ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে থাকা পাঁচটি পোশাক কারখানার শত শত শ্রমিক ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন। কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানে উদ্ধার অভিযান চলে। এ ঘটনায় প্রাণ হারান ১ হাজার ১৩৬ জন শ্রমিক। গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন ১ হাজার ১৬৯ জন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০৩ জনের লাশ আজও শনাক্ত হয়নি। তাঁদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাজধানীর জুরাইনে বেওয়ারিশ হিসেবে কবর দেওয়া হয়।
জাতীয় ফরেনসিক ল্যাবের কারিগরি উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক শরীফ আখতারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে রানা প্লাজা ধসে নিহত শতাধিক মানুষের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁদের ডিএনএ নমুনা সংরক্ষিত আছে। আত্মীয়স্বজনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে তাঁদের ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া যায়নি।


1
$ 0.00

Comments

তাদের জন্য দোয়া ও মাগফেরাত কামনা করি

$ 0.00
3 years ago

আমিন

$ 0.00
3 years ago