রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৫ শে বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দে কলকাতায় জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করেননি,কিন্তু সাহিত্যের বিচিত্র ক্ষেত্রে তার পদচারণা এক বিস্ময়ের বিষয়। তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থেই অসামান্য প্রতিভাধর ব্যক্তি। বাল্যকালেই তার কবি প্রতিভার উন্মেষ ঘটে । মাত্র পনের বছর বয়সে তার লেখা বনফুল কাব্য প্রকাশিত হয়। ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য এশীয়দের মধ্যে প্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বস্তুত তার একক সাধনায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সকল শাখায় উন্নতি লাভ করে এবং বিশ্ব দরবারে গৌরবের আসনে প্রতিষ্ঠিত হয় । তিনি একাধারে সাহিত্যিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, সুরকার, নাট্য প্রযোজক ও অভিনেতা। কাব্য, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, গান ইত্যাদি সাহিত্যের সকল শাখাই তাঁর অবদানে সমৃদ্ধ ।তার অজস্র রচনার মধ্যে মানসী, সোনার তরী , চিত্রা ,কল্পনা, ক্ষণিকা ,বলাকা, পুনশ্চ, চোখের বালি,গোলা, ঘরে-বাইরে, যোগাযোগ, শেষের কবিতা, বিসর্জন, ডাকঘর, রক্তকরবী ,গল্পগুচ্ছ বিচিত্র প্রবন্ধ ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বাইশে শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে কলকাতায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
2
20
Nice article.