বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?
আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের মাঝে আরো একটি শিক্ষামূলক প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করব আশা করি মনোযোগ সহকারে আমার প্রবন্ধটি পড়বেন।
আমরা বর্তমান সময়ে ভোগেই প্রকৃত সুখ মনে করি এবং আমরা ভোগ কেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমরা মনে করি যে ভোগের মাধ্যমে আমাদের হয়তো প্রকৃত জীবনে সুখ পাওয়া যায়। কিন্তু এটা ভুল ধারণা ত্যাগী আমাদের প্রকৃত সুখের চাবিকাঠি।
মানুষ লোভ করতে পারে কিন্তু সে জানেনা সে লোভের কাছে পরাজিত। সব সময় কামনা করে অনেক কিছু পাওয়ার জন্য। সে চেষ্টা করে যে আমি সহজেই সবকিছু পাব এবং সারাজীবন প্রবৃত্তির দাস হয়ে জীবন কাটাব। এই কাজের মধ্যে এসে সার্থকতা খুঁজে। বাস্তবতা এটা ঠিক নয় ভোগে আসক্তি মানুষকে আরো ভোগের আকাঙ্ক্ষা বাড়ায়।
বর্তমান সমাজে যারা অধিক ভুক্তভোগী তাদের আরো ভোগ করার সুযোগ তারা নিয়ে থাকে। তারা ভোগ করতে করতে এমন একটি পর্যায়ে চলে যায় যে অন্যকে ভোগ করার সুযোগ পায় না। অর্থাৎ তারা সুযোগ দেয়না। কিন্তু সে নিজেও জানে না এক সময় এই ভুক্তভোগী লোক নিজের সর্বনাশ ডেকে আনে। ভোগ করতে করতে সে পশুর সমান হয়ে যায়।
সে এতো ভোগ করে যে তার ভিতরে কোন মানুষত্ব বোধ থাকে না। কিন্তু দেখা যায় যে যে ব্যক্তি ত্যাগ করে ত্যাগ করার ক্ষমতা আছে সে ব্যক্তি জীবনের প্রকৃত মহিমায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ত্যাগের বিনিময়ে সে অনেক কিছু পেয়ে থাকে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও সম্মান। কিন্তু ভোগকারী বা স্বার্থবাদী মানুষ কখনো প্রকৃত কৃতজ্ঞতার ভাগ পায় না।
তাই মানুষের শুধু ভোগ নয় ত্যাগের মুহূর্ত থাকতে হবে মানুষের ত্যাগী সর্বোচ্চ আদর্শ হতে হবে। ত্যাগ মানুষকে অন্তরে শান্তি নিহিত করতে পারে। এটা হয়তো অন্য কিছু দিয়ে সম্ভব নয়। যখন তুমি প্রকৃত মন দিয়ে ত্যাগ করবে তখন তুমি এমন সুখ পাবে যা আগে কখনও হবেনা। জগতের সব টাকা একযোগে করলেও আপনার সেই আনন্দ ভাগ হবে না।
মানুষ যদি অপরের কল্যাণে ত্যাগী হয় তাহলে সে ব্যক্তি জগতের সেরা। এবং সে দেশের জন্য সোনার মানুষ হয়ে উঠবে। তাই ত্যাগী পারে একজন ব্যক্তি কে সঠিক স্থানে বসাতে এবং সম্মানের মুকুটে বসাতে।
তাই, আমরা সবাই ত্যাগী হব। ত্যাগী পারে আমাদের অপর মানুষের সম্মান অর্জন করতে।
আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ @Read.Cash
"শুভ রাত্রি"
মানবজীবন ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক নয়। একে অন্যের কল্যাণে ব্রতী হওয়াই মনুষ্যত্বের বৈশিষ্ট্য। পরের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করলে জীবনে প্রকৃত সুখ মেলে।