শিষ্টাচার আচরণে বিনয় এবং পরিশীলিত স্বাদের সম্মানজনক অভিব্যক্তি। শিষ্টাচারগুলি একটি সুন্দর মনের মিষ্টি আচরণের প্রকাশ। তাঁর চরিত্রটি মানুষের মধ্যে লালিত সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ। ভদ্রতা সেই সৌন্দর্যের আসল রূপ। ভদ্রতা যা একজন ব্যক্তির চরিত্রকে আকর্ষণীয় এবং সুন্দর করে তোলে। একজন ব্যক্তি যত বেশি বিনয়ী, ততই তিনি অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য। এবং তার চরিত্রটি আদর্শবাদী।
শিষ্টাচার কী
শিষ্টাচার হ'ল সাধারণ আচরণ এবং বক্তৃতাতে বিনয়, নম্রতা এবং সৌজন্যতার নাম। আচরণে মার্জিত না হলে লোকেরা বিনয়ী হতে পারে না, যদি তারা ব্যবহারে আগ্রাসন এড়ায় না। আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবে অহংকার এবং হিংস্রতা এড়াতে না পারেন তবে আপনার মন মিষ্টি হবে না।
চরিত্রের মাধ্যমে মানুষ এটুকু অর্জন করে না কেন সে নম্র হয়। রাজনৈতিকত্ব হ'ল ব্যক্তির আচরণ, মার্জিত বক্তব্যই সর্বাধিক সম্মানিত ও সুরেলা। বিনীত লোকেরা সর্বদা খারাপ থাকে তারাচরণ অবজ্ঞাপূর্ণ, অপব্যবহার এবং অবমাননাকর আচরণ দ্বারা আধিপত্য বিস্তার করে। অহংকার অন্যকে কম চিন্তা করে। তবে ভদ্রতা মানুষকে সম্মান করতে উদ্বুদ্ধ করে। সুতরাং আমাদের সকলকে বিনয়ী হওয়া উচিত।
শিষ্টাচারের গুরুত্ব:
শিষ্টাচার ব্যক্তি স্বভাবতই আলোর ঝলক দেয়। সেই আলো ব্যক্তির ক্ষেত্র থেকে পুরো সমাজ এবং রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এর আলোকে আলোকিত ব্যক্তির আধ্যাত্মিক মুক্তিতে মানব সৌন্দর্য এবং সম্প্রীতি যুক্ত হয়।
ভদ্র মানুষটি তার সৌজন্যতা এবং নম্রতার মাধ্যমে সবার অনুগ্রহ অর্জন করে এবং আরও একটি আত্মবিশ্বাস অর্জন করে। বিনীত ব্যক্তি সহানুভূতি, ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা অর্জনের জন্য ভাল। সুতরাং ভাল সামাজিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য শিষ্টাচারের বিকল্প নেই। এটি আদর্শ সমাজ গঠনে সবার আন্তরিকতা দেখায়।
চূড়ান্ত পর্যায়ে শান্তি ও সম্প্রীতি।
ছাত্রজীবনে শিষ্টাচার:
জ্ঞান, একাগ্রতা এবং শৃঙ্খলা অনুভূতির পাশাপাশি ছাত্রজীবনে শিষ্টাচারের অনুশীলন খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিষ্টাচার ও শিষ্টাচারের ছোঁয়ায় শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত নম্র ও বিনয়ী। অভদ্র, অভদ্র আচরণ কোনও শিক্ষার্থীর পক্ষে কাম্য নয়।
শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ হ'ল জীবনে মানবতা অর্জনের স্বপ্ন। সৌজন্য ও শিষ্টাচারের অভাব হলে প্রেম, করুণা, করুণা ইত্যাদির মতো বৃত্তি পাওয়া যায় হারিয়ে গেছে শিক্ষার্থীর জীবন থেকে। সে অহংকারী এবং স্বার্থপর এবং নিষ্ঠুর হয়ে পড়েছিল। নৈতিক চরিত্রের উন্নতির জন্য, তাই ছাত্রজীবনে চিন্তাশীল এবং ভদ্র ব্যবহারের সম্মেলন করার বিকল্প নেই।
শিষ্টাচার এবং সামাজিক জীবন:
সামাজিক ও অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রতিটি ক্ষেত্রে শিষ্টাচারের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তা না হলে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও নিষ্ঠুরতা রয়েছে। শিষ্টাচারের অভাব দেখা দিলে সমাজ বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সমাজ ঘৃণা, হিংস্রতা ও অশান্তিতে আবদ্ধ। তাঁর সমাজ জীবনে চরম বিপর্যয় ডেকে আনে। শিষ্টাচারবিহীন একটি সমাজ বিবেকহীন হয়ে পড়েছিল এবং মন্দ চরিত্রের অধিকারী ছিল। সমাজের সৌন্দর্যের প্রবৃত্তি হারিয়ে যায়। ভালবাসা এবং স্নেহের অভাবের কারণে মানুষ বিচ্ছিন্ন, স্বার্থপর এবং স্বার্থপর হয়ে ওঠে। সুতরাং সমাজ ও সমাজকে সঠিক উপায়ে গড়ে তুলতে আমাদের সবার শিষ্টাচার থাকতে হবে।
শিষ্টাচার অর্জনের উপায়:
শিষ্টাচার মানুষের হৃদয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জন্ম দেয় না। এটি অর্জন করতে হবে। এজন্য শৈশব থেকেই শিষ্টাচারের চর্চা শুরু করতে হবে। যদি শিশু শৈশবে সৌজন্যতার পাঠ শিখেন, তবে ভবিষ্যতে শিশুটি মার্জিত প্রকৃতির অধিকারী হবে।
সুতরাং, কীভাবে শিশুটি কোন পরিবেশে, কার সাথে, খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরা পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আচরণ শিখায়।
সুতরাং, সৌষ্ঠা ভদ্র হতে সাহায্য করে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শিষ্টাচারের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। সংস্কৃতি চর্চা এবং রুচিশীল লোকদের সংযুক্তি এবং শিষ্টাচারের শিক্ষা অনুকূল।
ভাল বই এবং একটি সৎ পিতামাতার মত শিষ্টাচার শিখাতে পারেন। সুতরাং আমাদের সবাইকে বিনয়ী হতে হবে।
অবশেষে আমরা বলতে পারি:
শিষ্টাচার পুণ্যের অন্যতম ভিত্তি। মার্জিত, রুচিশীল ও সৎ ব্যক্তি সমাজ ও জাতীয় জীবনে বিশেষ অবদান রাখতে পারেন।
অন্যদিকে, নিরক্ষরতা, নিরক্ষরতা এবং উপ-সংস্কৃতি শিষ্টাচারের প্রতিবন্ধকতা। এটি মানবিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে ক্রমাগত কোনও ব্যক্তির চরিত্রকে দূষিত করতে পারে।
মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় একটি জাতিকে দুর্বল করতে পারে। তরুণদের মধ্যে সাম্প্রতিক অশান্তি ভোক্তা সংস্কৃতির প্রসারের ফলাফল।
এটি জাতি অপ্রচলিত হওয়ার লক্ষণ। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে ব্যক্তি ও সমাজ ও জাতীয় জীবনে স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য আমাদের শিষ্টাচারের অনুশীলন করা উচিত।
আমি আশা করি আপনি এই নিবন্ধটি পড়ে অনেক কিছু বুঝতে এবং শিখতে পারবেন ....
আপনাদের সবার জন্য শুভকামনা ....
English language 👇
Nice