আবেগ

5 10

পড়াশোনা,ক্যারিয়ার, রেসপন্সসিবিলিটির চাপে কখন যে স্বপ্ন আর ইচ্ছে গুলো 10.00-5.00টার ডিউটটে বদলে গেছে বুঝতেই পারিনি। সবার ইচ্ছে পুরন করতে করতে নিজের সমস্ত ইচ্ছে গুলো কোথায় যেনরেসপন্সসিবিলিটির ভিড়ের মাঝে হারিয়ে গেছে।

আজ ৬বছর পর পুরোনো সব স্মৃতি গুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। কারন আজ আমি আমার অনেক না হওয়া পুরন স্বপ্নের মধ্যে একটি স্বপ্নের সাথে দেখা হল। আজ সে অন্য কারোর স্ত্রী। কিন্তু একটা সময় তাকে নিয়ে আমি আমার স্বপ্নের পৃথিবী গড়তে চেয়েছিলাম, আজ সেই স্বপ্নই আমার কাছ থেকে কয়েকশো বর্গ মাইল দূরে, চাইলেও ছোঁয়া বারণ।

Boy's school-এ পড়ায় মেয়েদের সাথে Interaction-ও খুবই কম। তাই কথা বলতে গেলে একটু Shy feel করতাম। এখন আমি একজন International co-Ed college student, এখানে ছেলেদের সাথে সাথে কত মেয়েদের আনাগোনা। সত্যিই বলতে যখন প্রথম কলেজে ঢুকি বেশ ভয়ই পেয়েছিলাম। ওতজন মেয়েদের মধ্যে একটি মেয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষন করেছিল, ওর বন্ধুরা ওকে অনিন্দিতা বলে ডাকছিল।

এই দেখো এত কথার মাঝে তো আমার পরিচয়টাই দিইনি, আমি নীল। জীবনে প্রথম কোনো মেয়েকে দেখে এত ভালো লেগেছিল। মনে মনে ভাবছিলাম এইরকম একটা মেয়েই কি আমি আমার জীবনে খুঁজেছিলাম।। এই সব ভাবতে ভাবতে ক্লাসের বেল পরে আর আমি ক্লাস রুমে এসে দেখি অনিন্দিতা 3rd বেঞ্চে বসে ওর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে।ওকে দেখে মনে হল ভগবান হয়তো আমার কথা শুনে আমার ক্লাসে পাঠিয়েছেন। সব বেঞ্চ ভর্তি থাকায় আমাকে ওদের সাথে বেঞ্চে বসতে হয়। সেখান থেকেই পরিচয় হয় রিনি,আকাশ আর অনিন্দিতা-র সাথে। ধীরে ধীরে আমরা Bench-mate হয়ে যাই। রিনি আর অনিন্দিতা-র বাড়ি Out of state হওয়ায় ওরা দুজনেই কলেজ ক্যাম্পাসে থাকত আর ওইখান থেকেই ক্লাস করত। অনেকবার চেষ্টা করেছি অনিন্দিতা-কে মনের কথা বলতে কিন্তু বন্ধুত্ব ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে নিজেকে সংযত করে নিতাম। এইভাবে First semester শেষ হয় result-ও খারাপ হয় আমার , রিনি ব্যাপারটা অনেকদিন ধরে লক্ষ্য করছিল। রিনি প্রথম দিন থেকেই আমার খুব ভালো বন্ধু হয়ে ওঠে পরে আমরা best friend হয়ে যাই। রিনি আমার জীবনে অনেকটা অভিভাবককের মতো সবদিকে নজর ছিল ওর। রিনিকে যখন অনিন্দিতার ব্যাপারে বললাম তখনই রিনি আমায় অনিন্দিতাকে ভুলে যেতে বলে কারনটা তখন না বললেও পরে তা বুঝঝেছিলাম। সামনে পরীক্ষা কিন্তু পড়াশোনায় মন নেই। এই অবস্থা দেখে রিনি বলে অনিন্দিতার সাথে কথা বলতে,মনের মধ্যে যে ঝড় তোলপাড় করছে তা শান্ত করার জন্য। রিনি চায়নি অনিন্দিতা আমায় হ্যাঁ করুক।,সেটা ভালো হবে না আমার জন্য।

একদিন ক্যাম্পাসের বাইরে অনিন্দিতাকে দাঁড়াতে বললাম, ও আসতেই ওকে সমস্ত কথা বলে দিলাম ও চুপ করে আমার কথা শুনে হেসে চলে যায়। আমি একটু না অনেক বেশী Confused ছিলাম যে এই হাসিটার মানে হ্যাঁ নাকি না।। যদিও সেই সংশয়য়ের অবসান ঘটল সেই রাতেই, প্রথমে অনিন্দিতা ফোন করে জিজ্ঞেস করল আমি ঠিক আছি কি না, তারপর বললো ও চায়না প্রেম

এসে বন্ধুত্বটা নষ্ট করে দিক তাই আমরা বন্ধু হয়ে থাকতে পারি।

আজ নিজেকে অনেকটা চাপমুক্ত লাগছে, বুকের বাম পাশে যে চিনচিন করে ব্যাথাটা মোচর দিয়ে উঠত আজ যেন সেই কষ্টের থেকে মুক্ত আমি। কিছু দিন যেতে জানতে পারি অনিন্দিতা আর আকাশের সম্পর্কের কথা। মনের দিক থেকে ভেঙে পরলেও রিনি শক্ত খুঁটির মতো আমাকে সামলে ছিল। রিনি বলেছিল এই সম্পর্ক বেশী দিন এগোতে পারবেনা। আসলে অনিন্দিতা একটা Luxury জীবনের খোঁজে ছিল, ওর কাছে বাহ্যিক আড়ম্বরটাই দরকার ভালোবাসা নয়। কষ্ট হত নিজের ভালোবাসাকে অন্য কারো সাথে দেখে ঠিক তেমনি নিজেকে সামলাতেও পেরেছি।

আজ Result বেরোনোর দিন একটা ভয় ভিতর ভিতর কাজ করছিল কিন্তু এবছর আমার Result সব থেকে বেশী ভালো হয়েছিল। এখন সবাই নিজেদের ক্যারিয়ারে মন দিয়েছে, সব ঠিকঠাক-ই চলছিল।একদিন রিনির ফোন করে বলে অনিন্দিতা আর আকাশের break up হয়ে গেছে। আকাশের থেকেও বেশী ভালো ছেলে পেয়েছে আর তাকেই বিয়ে করতে চলেছে। কিছু মাস পরে আমার ঠিকানায় একটা বিয়ের কার্ড আসে সেই কার্ড অনিন্দিতার বিয়ের। নিজের ভালোবাসাকে অন্যের হতে সহ্য করতে পারবো না তাই যেতে পারি নি।

৬বছরে জীবন পথে চলতে গিয়ে অনেক কিছু উথান পতন হতে দেখেছি শুধু পরিবর্তন হয়নি রিনির, সে আজও আমার পাশে শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে আছে। আজ অনিন্দিতাকে বাহ্যিক দিক থেকে সুখী দেখালেও সত্যিই আমি জানিনা সে অন্তর


7
$ 0.00

Comments

A very beautiful letter

$ 0.00
3 years ago

Hm😪

$ 0.00
3 years ago

Jibonta onak.kostar ar jibona amra amadar vlobasa oayaw hariya fali

$ 0.00
3 years ago

Humm😭😭😭

$ 0.00
3 years ago