#নিয়ত কতটা পাওয়ারফুল একবার ভেবে দেখেন!!!
(ঘটনা নং- ১)
আসাদ সাহেবের মা চেয়েছিল ছেলেকে সুন্দরী বউ এনে দিবে সাথে ঘর ভর্তি ফার্নিচার নিবে মেয়ের পরিবার থেকে।কারণ যদি কখনো ছেলের সামর্থ্য না হয় ঘর ভর্তি ফার্নিচার কেনার।
সত্যি সত্যি ছেলের জন্য সুন্দরী বউ আর বউ এর পরিবার থেকে ঘর ভর্তি ফার্নিচার তিনি ঠিক ই এনেছেন কিন্তু যে ঘর সাজাতে এতকিছুর আয়োজন সে ঘর গ্যাস লিক হয়ে আগুনে জ্বলে-পুড়ে গেছে।
(ঘটনা নং-২)
রফিক সাহেব একজন সরকারি কর্মকর্তা। ১৮ লাখ টাকা পেনশন পেয়েছেন। সম্পূর্ণ টাকা ব্যাংকে রেখেছেন যাতে ভবিষ্যতে রোগ ব্যাধি হলে যেন ডাঃ দেখাতে পারেন।ও হ্যাঁ মাস শেষে ১৮ হাজার তুলতে উনি কখনো ভুলেন না!
মাত্র ৪ বছরের মাথায় উনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হলেন।
(ঘটনা নং -৩)
আফসানা নিজের পায়ে না দাঁড়ানো পর্যন্ত নাকি বিয়েই করবে না। স্বামীর টাকায় নাকি সে চলবে না।
৪০ বছর হয়ে গেল মেয়েটার এখনো বিয়েই হলো না!
(ঘটনা নং-৪)
অনেক পড়ালেখা করে রুমি। ও বলে পড়ালেখা না করলে ভালো চাকরি জুটবে না। বিয়ের পর যদি স্বামী মারা যায় তখন তার কি হবে! ভবিষ্যতের কথা তো বলা যায় না!
হায় কি ভাগ্য বিয়ের ৫ বছর পর স্বামী মারা গেল!
নিয়ত কতটা পাওয়ারফুল দেখেন। উনাদের মত চরিত্ররা সবাই কিন্তু আমাদের আশেপাশেই আছে।
আসাদ সাহেব সুন্দর বউ আর ঘর ভর্তি ফার্নিচার ঠিকই পেলো কিন্তু ঘরটাই পুড়ে গেলো।
রফিক সাহেব টাকা জমা রাখেন কারণ রোগ হবে বলে।দেখুন উনি নিজেই নিজের রোগকে কিভাবে ডেকে আনছেন!
আফসানার বর-ই জুটলো না বরের টাকায় চলা তো দূরের কথা।
রুমি চাকরি করে কারণ তার স্বামী মারা যাবে বলে।
উনারা কাজটা করার আগে নিজেরাই কিভাবে নিজেদের গতিকে ঠিক করে দিচ্ছে! তাদের কাজটা কিন্তু তাদের নিয়ত অনুযায়ীই এগিয়ে যাচ্ছে। উনারা যারা যা চেয়েছিল সবাই তাই পেয়েছে!
হাজেরা (র:) ইব্রাহীম (আঃ) কে বললেন, মানুষ নেই ঘর নেই পানি নেই গাছ নেই এমন জায়গায় আপনার স্ত্রী পুত্রকে একা ফেলে কোথায় চলে যাচ্ছেন!
আল্লাহ কি আপনাকে এমন করতে বলেছেন? ঠিক আছে আপনি যান। তিনি আমাদের ধ্বংস করবেন না!
দেখুন কি তাওয়াক্কুল! এই হজ্জেও হাজীরা সাফা-মারওয়া পাহাড় দৌড়াবে, জমজম কূপের পানি খাবে শুধুমাত্র তার এই তাওয়াক্কুলের কারণে! সুবহানাল্লাহ!
মূসা (আঃ) নিজ শহর ত্যাগ করলেন। ভাবলেন না কোথায় থাকবেন কি খাবেন। বরং বলে যাচ্ছেন নিশ্চয় আল্লাহ পথ দেখাবেন। আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা'লা তাকে থাকার ব্যবস্থা করে তো দিলেনই সাথে জীবনসঙ্গীসহ ১০ বছর থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন।
জানেন রফিক সাহেব কি বলেছিলো অপারেশনের পর, টাকাটা ব্যাংকে রেখেছিলাম বলেই আজকে অপারেশনের টাকাটা জুটলো না হলে বিছানায় থেকে মরতে হত। উনি উনার স্টেটমেন্ট হয়ত ভুলে গেছেন।উনি ব্যাংকে টাকা রেখেছিলেন এই বলে যে একসময় তার রোগ হবে!
আজকে আপনি আমি আমরা সবাই আল্লাহ কে ভয় করা বাদ দিয়ে ভয় করি রোগকে, ভয় করি টাকা না থাকাকে। আমরা কতটা নিচে চলে গেছি ভেবে দেখুন।
একবার এক ভাই বাড়ি বানাচ্ছেন, বলছিলেন যে উনি ভেন্টিলেটর দিচ্ছেন এই নিয়তে যে ফজরে দরজা জানালা বন্ধ থাকলে এই ভেন্টিলেটর দিয়ে ফজরের আজান শোনা যাবে। আমরা অনেকেই ভেন্টিলেটর লাগাই পিউর বাতাস পাবার জন্য, আর সেই ভাই তার এই নিয়তের কারণে হয়তো কত উচ্চতায় উঠে যাবেন। আর পিউর বাতাস তো উনি পাবেনই। এ কারণেই বলা হয়েছে যে আখিরাতের নিয়ত করে দুনিয়া তার পায়ে লুটায়।
আপনি ছাত্র হলে পড়ালেখাটা আল্লাহর জন্য করুন, দাওয়াত এর নিয়তে করুন। চাকরিটা আল্লাহর জন্য করুন, হালাল রিজিকের জন্য করুন। মা,বাবা, বউ, বাচ্চার যত্ন নিন আল্লাহ কে খুশি করতে। অন্য জন থেকে জুলুম করে না নিয়ে আল্লাহ থেকে খুঁজুন। নিয়ত করুন যেন আল্লাহ আপনাকে এতো বেশী দেন যাতে আপনি অন্য থেকে না খুঁজে উল্টো অন্যদের দু হাত ভরে দিতে পারেন। তাওয়াক্কুল রাখুন। ভাল ভাল নিয়ত করুন।
আপনি সবার থেকে সুখী হবেন। ইন-শা-আল্লাহ!
لقد وضع الله بالتأكيد ربطة عنق جيدة لنا