মা দিবসের কঠিনলেখা.....
আমাদের মায়েরা যারা স্বচ্ছল পরিবারের বৌ, তাদের বলছি মুরগীর দুই রান দুই সন্তানের পাতে দিয়ে, একটা উরু স্বামীকে দিয়ে আরেকটা নিজে নিন.... নাহলে শেষ বয়সের রক্তশূন্যতায় আপনার অতীব ভদ্র সন্তান আপনাকে যত যত্ন ই করুক, আপনার old bone marrow আর পুরনো কার্যক্ষমতা আর ফেরত পাবে না।
বাচ্চাদের কে দুধের গ্লাস কানায় কানায় পূর্ণ না করে নিজের জন্য একটুখানি নিন, নাহলে শেষ বয়সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছেলের জন্য বিরিয়ানি রান্না করার Calcium , Vertebrae তে থাকবে না,তখন বড় ডাক্তার ছেলের এনে দেয়া বিদেশি বড়ি খেয়ে লাভ নাই।
গরীব মায়েদের আমার কিছু বলার নাই, কিন্তু মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্ত পরিবারের মায়েরা ইচ্ছে করে নিজের যত্ন না করে যে মাহাত্ম্য দেখানোর চেষ্টা করে,তা আসলে একটা গর্হিত অপরাধ। আপনি যদি আসলেই সন্তান কে ভালবেসে থাকেন, তাহলে নিজেকে সুস্থ্য সুন্দর রাখুন,নিয়ম মেনে চলুন, নিজের জীবন কে উপভোগ করুন, সন্তানের সাথে আরও অনেকদিন বেঁচে থাকার চেষ্টা করুন। আত্নীয় দের কে কতটুকু ঝাল দিয়ে গরুর মাংস পছন্দ করে,তা মনে থাকে, কিন্তু প্রেশারের ওষুধের কথা মনে থাকে না, তারপর stroke করে বিছানায় পড়ে গেলে দোষ হবে ছেলের বৌ কেন নিজের সব কিছু বিসর্জন দিয়ে শুধু সেবা করে না!!!এই উপমহাদেশের সমাজ ভালো মায়ের যে standard তৈরি করে দিয়েছে-তা একটা ভুলে ভরা প্রহসন ছাড়া কিছুই না।
যদি আপনি আপনার স্বামীর সাথে অসুখী হন,সে যদি তার দায়িত্ব পালন না করে,সৎ না থাকে, আপনাকে সম্মান না করে, তাহলে শাবানা র রূপ ঝেড়ে ফেলে মাথা উঁচু করে দাড়ান, প্রতিবাদ করুন.....আর যদি তা না করেন, তাহলে আপনার মেয়েও একইভাবে অন্যায় সহ্য করা শিখবে....আর আপনার ছেলেও একই আচরণ করবে আর আশা করবে বৌ একইভাবে আপনার মত সহ্য করবে। নিজের দুর্বলতা র জন্য, নিজের জীবন নষ্ট করুন, আপনার সন্তান রা সে দায় নেবে কেন?
নিজের ছেলে মেয়ে দুজনকেই আপনার দায়িত্ব নিতে শেখান, তাদের কে শেখান তাদের in -laws দের দায়িত্ব ও যতটুকু সম্ভব ভাগ করে নিতে।নিজে যদি ছেলের বউ কে তার মায়ের সেবা করার সুযোগ না দেন,তাহলে সেই অসহায় মায়ের হক নষ্ট করে আপনি কখনো ই ভালো থাকবেন না।
বাচ্চাদের কে তাদের মনের মত career ,life partner বেছে নিতে দিন, শুধু খেয়াল রাখুন তারা যেন বিপথগামী না হয়ে যায়। সন্তান আপনার কাছে আল্লাহর আমানত, আপনার স্বপ্ন পূরণের project না।আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাদের দয়া করে অন্য দের সাথে তুলনা করবেন না।কে কত বড় চাকরি করে,কে কত ভালো বিয়ে করল,কে কত ভালো ডিগ্রি নিল, কে কত সম্পত্তি করল.... এগুলো দয়া করে করবেন না।এই পৃথিবীর সব খুনী ধর্ষক আকাশ থেকে পড়েনি, আপনি তাদের মায়েদের চেয়ে অন্তত ভালো আছেন।
কোনো বিশেষ শিশু ,দুর্ঘটনাগ্রস্ত সন্তানের মায়েদের দিকে আড়চোখে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টি তে না তাকিয়ে ভালোবাসা আর সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যান। তিনি আপনার মত আটপৌরে সাধারণ জীবনযাপন করছেন না,এই মায়েরা একই সাথে সাহসী, পরিশ্রমী আর আল্লাহর পছন্দের বান্দা।
আপনার তথাকথিত সুন্দরী না কিন্তু অসম্ভব গুনবতী মেয়ের পাত্র খোঁজা র সময় শক্ত হোন। মালয়লাম ছবির মেকআপ ছাড়া শ্যামলা মেয়ে দেখে উষ্টা খেয়ে প্রেমে পড়ার মত ছেলের মা আপনি নিজে ও হয়ত না। Rejected হবার পর দয়া করে দীর্ঘ শ্বাস ছাড়বেন না। আপনার এই আচরণ পাত্রপক্ষের অপমানের চেয়ে ও অনেক বেশি যন্ত্রনার।
সন্তানদের সবাইকে ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে নিজেদের basic need টুকু সুন্দর ভাবে পূরণ করতে পারার ট্রেনিং দিন। তাদের কে আপনার উপর নির্ভরশীল করে রাখার মধ্যে কোনো credit নাই।কবে এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যেতে হবে,তা আমরা জানি না।তখন প্রতি পদে পদে তাদের জীবন কী দুর্বিষহ হবে, ভেবে দেখেছেন?
সবশেষে এইটুকু বলতে চাই,প্রত্যেকটা সন্তান তার মায়ের জন্য একেকটা প্রশ্নপত্র....So never dare to judge any mom ❣️💞
আপনার বাবুটা গর্ভে আসার প্রথম দিন থেকে আপনার শেষ পর্যন্ত যে কষ্ট আপনি করেছেন, তাতে উপরের আচরণ গুলো একেকটা দাগ, আর এই ব্যাপার গুলো তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় আপনার বাবু টার।তাই সজ্ঞানেই এগুলো থেকে সরে আসুন। একমাত্র বাবার 23 Chromosome ছাড়া সন্তানের সব কিছু ই আপনার, আপনি সবসময় ই তার কাছে শ্রেষ্ঠ.... পৃথিবীর কেউ কোন দিন সেই ভালোবাসা য় একটা আঁচড় ও দিতে পারবে না।ছোট বাচ্চা'রা পড়া নিষেধ 🙏
আমরা যারা 1988 -1995,96,97,98,99,2000-2005 সালের মধ্যে জন্মেছি আমরা বিশেষ কিছু ছিলাম না😉,তবে আমরা ভাগ্যবান ছিলাম😜 যখন আমরা ছোট ছিলাম হাতগুলো জামার ভিতর ঢুকিয়ে রেখে বলতাম আমার হাত নাই🙋।একটা কলম ছিলো যার চার রকমের কালি ছিলো🚦,আর তার চারটা বোতাম একসাথে টেপার চেষ্টা করতাম🤗আমাদের সময়ে এক হাত সমান কলম পাওয়া গেলেও আমরা আবার কলম কেটে অনেক ছোট কলম আবিষ্কার করতাম🤑দরজার পিছনে লুকিয়ে থাকতাম কেউ এলে চমকে দিব বলে,😇সে আসতে দেরি করছে বলে অধৈর্য হয়ে বেরিয়ে আসতাম 😓।রাতে হাটার সময় ভাবতাম আমি যেখানে যাচ্ছি চাঁদ টাও আমার সাথে যাচ্ছে💥কারেন্টের💡 সুইচের দুইদিকে আঙ্গুল চেপে সুইচটাকে অন অফ এর মাঝামাঝি অবস্থানে আনার চেষ্টা করতাম😜।স্কুলে যাওয়ার সময় সবাই এক সাথে দৌড়াদৌড়ী করে যেতাম🏃🏃।ক্লাসে কলম কলম খেলা🖋,খাতায় ক্রিকেট খেলা🏏,চোর👽-ডাকাত👻-বাবু😘-পুলিশ 🤗খেলতাম। অনেক সময় স্কুল ফাকি দিয়ে কয়েক জন বন্ধু মিলে ঘুরতে যেতাম আড্ডা দিতাম আর ও কত কি😎। এক টাকার রঙ্গিন বা নারকেলি আইসক্রিম🍿,হাওয়াই মিঠাই🍣 খেতে না পারলে মনটাই খারাপ হয়ে যেত😑।হঠাৎ আকাশ দিয়ে হেলিকপ্টার🚁 গেলে সবাই রুম থেকে বের হয়ে আকাশের দিকে তাকাই থাকতাম👫। স্কুল ছুটি হলে দৌড়ে বাসায় আসতাম মিনা কার্টুন👰 দেখবো বলে। শুক্রবার দুপুর ৩ টা থেকে আপেক্ষা করতাম কখন BTV তে সিনেমা শুরু হবে😬। এবং সন্ধার পর আলিফ লায়লা👽,সিন্দবাদ,👺রবিনহুড,👹ম্যাকাইভার👦 দেখার জন্য পুরো সপ্তাহ অপেক্ষা করতাম😬। ফলের গুটি খেয়ে ফেললে দুশ্চিন্তা করতাম পেটের ভিতর গাছ হবে কিনা😭 মাথায় মাথায় ধাক্কা লাগলে শিং গজানোর ভয়ে আবার নিজের ইচ্ছায় ধাক্কা দিতম😈 কেউ বসে থাকলে তার মাথার উপর দিয়ে ঝাপ দিতাম যাতে সে আর লম্বা হতে না পারে😜 বিকেলে কুতকুত,কানামাছি,🤓গোল্লাছুট 🏃না খেললে বিকাল টাই যেন মাটি হয়ে যেত😓 ফাইনাল পরিক্ষা শেষ হলে তো সকালে পড়া নেই এতো মজা লাগতো যা বলার বাইরে😎। নানু বাড়ি,দাদু বাড়ি যাওয়ার এটাই তো ছিলো সময়🤗ব্যাডমিন্টন,কেরাম,লুডু না খেললে কি হয়🤔ডিসেম্বর মাস ও শিতকাল টা আমাদের ছেলেবেলায় এমনি কালারফুল ছিল😍তবে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ যতই আগাই আসতো মনের মধ্যে ভয় ততই বাড়তো🙄,ওই দিন যে ফাইনালের রেজাল্ট দিবে তাই আর কি
আমি জানি আমাদের জেনারেশনের যারা এগুলো পড়ছো ,নিশ্চই তোমাদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে??
এসব কথা মনে পড়লে ইচ্ছা করে আবার যদি সেই সময় ফিরে পেতাম...এখন গুলা শুধু মোবাইল আর টিভি,,,, আমাদের বাচ্ছাদের কি হবে তাই ভাবি,,,,৷৷
আমরা যারা 1988 -1995,96,97,98,99,2000-2005 সালের মধ্যে জন্মেছি আমরা বিশেষ কিছু ছিলাম না😉,তবে আমরা ভাগ্যবান ছিলাম😜 যখন আমরা ছোট ছিলাম হাতগুলো জামার ভিতর ঢুকিয়ে রেখে বলতাম আমার হাত নাই🙋।একটা কলম ছিলো যার চার রকমের কালি ছিলো🚦,আর তার চারটা বোতাম একসাথে টেপার চেষ্টা করতাম🤗আমাদের সময়ে এক হাত সমান কলম পাওয়া গেলেও আমরা আবার কলম কেটে অনেক ছোট কলম আবিষ্কার করতাম🤑দরজার পিছনে লুকিয়ে থাকতাম কেউ এলে চমকে দিব বলে,😇সে আসতে দেরি করছে বলে অধৈর্য হয়ে বেরিয়ে আসতাম 😓।রাতে হাটার সময় ভাবতাম আমি যেখানে যাচ্ছি চাঁদ টাও আমার সাথে যাচ্ছে💥কারেন্টের💡 সুইচের দুইদিকে আঙ্গুল চেপে সুইচটাকে অন অফ এর মাঝামাঝি অবস্থানে আনার চেষ্টা করতাম😜।স্কুলে যাওয়ার সময় সবাই এক সাথে দৌড়াদৌড়ী করে যেতাম🏃🏃।ক্লাসে কলম কলম খেলা🖋,খাতায় ক্রিকেট খেলা🏏,চোর👽-ডাকাত👻-বাবু😘-পুলিশ 🤗খেলতাম। অনেক সময় স্কুল ফাকি দিয়ে কয়েক জন বন্ধু মিলে ঘুরতে যেতাম আড্ডা দিতাম আর ও কত কি😎। এক টাকার রঙ্গিন বা নারকেলি আইসক্রিম🍿,হাওয়াই মিঠাই🍣 খেতে না পারলে মনটাই খারাপ হয়ে যেত😑।হঠাৎ আকাশ দিয়ে হেলিকপ্টার🚁 গেলে সবাই রুম থেকে বের হয়ে আকাশের দিকে তাকাই থাকতাম👫। স্কুল ছুটি হলে দৌড়ে বাসায় আসতাম মিনা কার্টুন👰 দেখবো বলে। শুক্রবার দুপুর ৩ টা থেকে আপেক্ষা করতাম কখন BTV তে সিনেমা শুরু হবে😬। এবং সন্ধার পর আলিফ লায়লা👽,সিন্দবাদ,👺রবিনহুড,👹ম্যাকাইভার👦 দেখার জন্য পুরো সপ্তাহ অপেক্ষা করতাম😬। ফলের গুটি খেয়ে ফেললে দুশ্চিন্তা করতাম পেটের ভিতর গাছ হবে কিনা😭 মাথায় মাথায় ধাক্কা লাগলে শিং গজানোর ভয়ে আবার নিজের ইচ্ছায় ধাক্কা দিতম😈 কেউ বসে থাকলে তার মাথার উপর দিয়ে ঝাপ দিতাম যাতে সে আর লম্বা হতে না পারে😜 বিকেলে কুতকুত,কানামাছি,🤓গোল্লাছুট 🏃না খেললে বিকাল টাই যেন মাটি হয়ে যেত😓 ফাইনাল পরিক্ষা শেষ হলে তো সকালে পড়া নেই এতো মজা লাগতো যা বলার বাইরে😎। নানু বাড়ি,দাদু বাড়ি যাওয়ার এটাই তো ছিলো সময়🤗ব্যাডমিন্টন,কেরাম,লুডু না খেললে কি হয়🤔ডিসেম্বর মাস ও শিতকাল টা আমাদের ছেলেবেলায় এমনি কালারফুল ছিল😍তবে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ যতই আগাই আসতো মনের মধ্যে ভয় ততই বাড়তো🙄,ওই দিন যে ফাইনালের রেজাল্ট দিবে তাই আর কি
আমি জানি আমাদের জেনারেশনের যারা এগুলো পড়ছো ,নিশ্চই তোমাদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে??
এসব কথা মনে পড়লে ইচ্ছা করে আবার যদি সেই সময় ফিরে পেতাম...এখন গুলা শুধু মোবাইল আর টিভি,,,, আমাদের বাচ্ছাদের কি হবে তাই ভাবি,,,,৷৷