#_গল্পযে_ভালবাসা_হারাতে_নেই ॥
-কি করো?
-বাদাম বেঁচি,
-মানে,,
-মানেআবার কি? বাদাম বেঁচি।
-কোথায় বেঁচো?
-ফাস্ট গেটে,,
.
একটু থেমে নরম গলায় জিজ্ঞেস করে স্বর্ণা,
-আতিক তুমি সত্যি সত্যি বাদাম বেঁচ তেছো?
.
আতিক সহজ স্বাভাবিক গলায় বলে,
-হ্যাঁ,বাবা।
-তাই বলে তুমি আমার বান্ধবীদের কাছেও
বাদাম বেঁচবা?
-ওরা তোমার বান্ধবী ছিল? আমাকে আগে
বললে আমি আরো কিছু বাদাম বেশি করে
দিতাম।
-কিহ,
-হুম,,
.
স্বর্ণা রেগে গিয়ে বলে,
-ওহ,আচ্ছা। দাঁড়াও আমি আসতেছি।
.
আতিক ভেবে পায়না এতে রেগে যাওয়ার কি
আছে?
বাদাম বেঁচা কি খারাপ?
ছোট বেলায় শিক্ষকেরা অনেক বার
পড়িয়েছে যেন কোন পেশাকেই ছোট করে
দেখা না হয়।
.
অবশ্য আতিক নিজে থেকেই বাদাম বেঁচে নি।
বাদাম ওয়ালার রিকুয়েস্ট এ করেছে। বাদাম
ওয়ালা টয়লেট গেছে। এ কারণে আতিক
বাদামের দোকান পাহাড়া দিচ্ছিল। তবে
অনেক বাদাম ক্রেতারা ঘুরে যাচ্ছিল, তাই ও
হেল্প করার চেষ্টা করেছে এই আর কি।
.
কিছুক্ষন যেতেই স্বর্ণা এসে দাঁড়ায় আতিকের
সামনে। আতিক তখনো বাদাম বেঁচছিল।
স্বর্ণা জিজ্ঞেস করে,
-তোমার ক্লাস নাই?
-আছে,,
-তোমার কি টাকার অভাব?
-কেন?
-বাদাম কেন বেঁচতেছো,,
-বাদাম খাওয়ার বদলে,,
-এত টিউশনির টাকা কই যায়,,
-টাকা দিয়ে কেনার চাইতে, এমনি খাওয়ার
মজাই আলাদা,
.
আতিক কিছু বাদাম স্বর্ণা দিকে বাড়িয়ে
দিয়ে বলে,
-তুমিও খেয়ে দেখো মজা পাবা,, টাকা দিয়ে
তো সব সময়ই খাও।
-ধুর রাখো,,
-আরে এত রেগে যাও কেন? খাও না বাদাম
ভাল লাগবে।
.
ততক্ষনে বাদাম আলাও চলে এসেছে।।
পাশ থেকে বাদাম আলাও বলল,
-হ,আপা বাদাম খান।আর প্রতিদিন খাবেন
ফ্রি। টাকা লাগবোনা।। তবুও ভাইজান রে
কিছু বলিয়েন না,,
.
আতিক ও গলা মেলালো,
-কি খাবা নাকি বাদাম?
.
স্বর্ণা কিছু বলল না চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল।ও
নিজের এয়াগ টাকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা
করছিল। তখনি বাদাম ওয়ালা আবার বলল,
-ভাইজান, আপা মনি মনে হয় বাদাম খাইবোনা
আমড়া খাইবো, আমড়া আনমু?
.
আতিক কিছু বলতে যাবে তার আগে স্বর্ণাই
বলল,
-এই চুপ তুই। আরেক টা কথা বললে তোর বাদাম
বেঁচা বন্ধ করে দিব।
হুট করে স্বর্ণার এমন জোরালো কন্ঠ শুনে
আতিক ভয় পেয়ে গেল। বাদাম ওয়ালাও ভয়ে
অন্য দিকে চলে গেল।
.
আতিক বাদাম রেখে স্বর্ণার পাশে গিয়ে
বলল,
-আচ্ছা,সর্যি,,
-কিসের সর্যি? সবাই তোমাকে নিয়ে মজা
করতেছে,, এটা তোমার ভাল্লাগে?
-আমি তো শুধু হেল্প করতেছিলাম।
-হেল্প করছো,, কিন্তু মানুষ যে তোমাকে নিয়ে
হাসতেছে তা দেখোনা?
-মানুষ হাসলে কি করব?
-হুম,, কিছুই করবা না। বাদাম বেঁচবা?
.
আতিক কোন জবাব দিল না।
স্বর্ণা এমন করে কেন?
ভালবাসার আগে তো জানতই আতিক এমন।
এখন কেন চেঞ্জ হওয়ার জন্য বলে।
.
-শোন তুমি আর আমার সাথে আর কথা বলবা
না,,
-কেন?
-ব্রেকাপ তাই,,
-এত দ্রুত ব্রেকাপ হয়,,
-ব্রেকাপ কি অনুষ্ঠান করে হয়,,
-না,,
.
আতিক ওর হাতে রাখা বাদামের ঠোঙা টা
স্বর্ণার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
-নাও বাদাম খাও, মাথা ঠান্ডা করো।
-তোমার বাদাম তুমি খাও,,
-উহু,,
-কি করছ তুমি আমার জন্য,,
-কি করবো?
-ভালবাসার মানুষের জন্য অন্য মানুষেরা কত
কি করে,, তুমি কি করছ? বাদাম বেঁচাও,,
একটু তো বদলাতে পারো,,তোমাকে নিয়ে
বান্ধবীদের কাছে পর্যন্ত অপমানিত হতে হয়।
.
আর কিছু বলেনা স্বর্ণা। আতিককেও কোন
কিছু বলার সুযোগ দেয়না। চুপচাপ হেঁটে চলে
যায় ওখান থেকে। এই ছেলেকে ও কেন
ভালবাসে নিজেও জানেনা?
তবে এই ছেলেকে আর ভালবাসা যায়না।।
বাদাম কেন বেঁচতে হবে, আচ্ছা ঠিকাছে
বেঁচো না হয়, তাই বলে প্রেমিকার
বান্ধবীদের কাছে বেঁচতে হবে।আর মানুষ
পাওনা।
.
পুরো দিন কথা হয়না আতিকের সাথে স্বর্ণার।
আতিক কয়েকবার কল দিয়েছিল,ফোন ধরেনি
ও। রাতে একটু খারাপ লাগে স্বর্ণার তবুও
সেটা সহ্য করে যায়। খারাপ লাগাটা আস্তে
আস্তে বাড়তেই থাকে ওর।
.
সবাই কত বার করে কয়েক বার মানা করেছিল
যেন আতিকের সাথে প্রেম না করে।
কারো কথাই শোনেনি ও।
সব ভালবাসা আতিকের মধ্যই দেখেছিল।
.
-আপু আপু,
স্বর্ণা চোখ খুলে তাকায় সামনে। ওর ছোট
বোন ডাকছে।এমন ভাবে ডাকছে মনে হয় কি
না কি হয়ে গেছে?
-কি হয়েছে?
-একটা আমড়া আলা আসছে বাসায়?
-আমরা ওয়ালা?
-হ্যাঁ,
-কেন?
-জানিনা তো,তোমাকে খুঁজে,,
-কিছু বলেনাই?
-এক ডালি আমড়া আনছে,
-কিসের জন্য?
-কে জানি পাঠাইছে নাকি?
-আচ্ছা।
.
স্বর্ণা বিছানা থেকে উঠে গিয়ে বসার রুমে
যায়। গিয়ে দেখে সকালের বাদাম আলা।
একডালি আমড়া সহ মেঝেতে বসে আছে।
স্বর্ণাকে দেখা মাত্র বাদাম ওয়ালা উঠে
দাঁড়ায়। বলে,
-আপামনি,, কুষ্টিয়ার আমড়া এগুলা,
-আমার এখানে কেন?
-খুব ভাল আমড়া, খাইলে খুব মজা পাবেন।
-কে পাঠাইছে?
-ভাইজান,,
-এক্ষুনি এগুলা নিয়ে চোখের সামনে থেকে দূর
হবি।
-ভাইজান রাগ করবো,,
.
স্বর্ণা একটু চিন্তা করে বলে,
-কই তোর ভাইজান?
-বাইরে,,
-আচ্ছা, এগুলো নিয়ে চল তোর ভাইজানের
কাছে।
.
বাদামওয়ালা আমড়ার ডালি টা মাথায়
নিয়ে, স্বর্ণার পিছন পিছন হাঁটা দেয়।
.
আতিক দাঁড়িয়ে ছিল স্বর্ণাদের বাসার
গেটের কাছে। দেয়ালে হেলান দিয়ে ছিল ও।
স্বর্ণাকে আসতে দেখে ও সোজা হয়ে দাঁড়াল।
-এগুলা কি পাঠাইছ,
-আমড়া,, আমড়া গুলা নাকি খুব ভাল।এর চাইতে
ভাল আমড়া নাকি দেশে নাই।
-কেন আনছ?
-তুমি তো সকালে বললা,আমি তোমার জন্য
কিছু করিনা,
-এই জন্য আমড়া দিবা?
-না আসলে,
-আসলে কি?
-তুমি যাওয়ার পরে বুঝলাম মেয়েরা বাদামের
চাইতে আমড়া বেশি পছন্দ করে,লাইন ধরে
আমড়া কিনতেছে।তাই,
-তাই কি?
-তাই ভাবলাম তুমিও হয়ত পছন্দ করবা। আর খুশি
হয়ে ব্রেকাপ ক্যান্সেল করবা।
.
এটুকু শুনেই স্বর্ণা হেসে ফেলল।
ওর দেখা দেখি আতিকও হেসে ফেলল।বলল,
-মাফ করছ তো?
স্বর্ণা তোমাকে ছাড়া আমার সত্যি চলবেনা।
আমি তোমার মনের মতই হতে চাই,তবে পারিনা
কেন জানি।এমনিতেই ভুল হয়ে যায়। এর পর
থেকে আর হবেনা।
.
স্বর্ণা কোন জবাব দিল না।আমড়া গুলোর
দিকে তাকিয়ে রইল।হয়ত এগুলোতেই ভালবাসা
আছে।
কজনই বা ভালবেসে এত টা করে। ভালবাসার
জন্য কজন পাগলামী করে, ভালবাসার মানে
টা সবার কাছে একেক রকম।তবে যাদের কাছে
ভালবাসার মানেটা এমন, "তোমাকে ছাড়া
আমার চলবে না কোন ভাবেই চলবেনা""
সে সব ভালবাসা হারাতে নেই, কোন ভাবেই
না।#Married_To_The_Dark_King
#Mafia_Boss_Season3
writer:Tabassum Riana
part:58
|
|
|
|
রুপন্তী না পারতেই রেহানকে জোরে ধাক্কা দিলো।রেহান অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।রুপন্তী ঢোক গিলে রেহানের পিছন দিকে ইশারা করলো।রেহান রুপন্তীর ইশারা বুঝতে পেরে পিছে তাকায়।আজিজ রায়হান নিজের চশমা পরছেন।সেই সুযোগে রেহান জানালা লাগিয়ে দিলো।রুপন্তীর দিকে শয়তানি হাসি দিলো রেহান।
,
,
,
,
ক ক কি হলো?একটু ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করলো রুপন্তী।রেহান এবার রুপন্তীর বাহু চেপে নিজের কাছে এনে ওর গালে ঠোঁটে চুমু দিয়ে ভরিয়ে দিতে লাগলো।
রুপন্তী রেহানের এমন আচরনে ভয় পেয়ে যতোই সরতো চাইছে রেহান নিজের সাথে চেপে ধরছে।রুপন্তী এক সময় রুপন্তী বাচ্চাটির মতো রেহানের বুকের মাঝে মিশে যায়।
,
,
,
,
রুহী নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে উঠে দাঁড়ায়।দৌড়ে দরজার কাছে এসে দাঁড়ালো।রোয়েন চলে গেছে কিনা দেখার চেষ্টা করলো।রোয়েন আর নজরে পড়লো না রুহীর।কোনমতে ফুঁপাতে ফুঁপাতে দরজা লাগিয়ে দিলো রুহী।সেখানে আর দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে দৌড়ে রুমে চলে আসে রুহী।ফ্লোরে পা ভেঙ্গে বসে পাগলের মতো কাঁদতে থাকে রুহী।ফোনের রিংটোনের শব্দ ও রুহীর কান পর্যন্ত পৌছাচ্ছেনা।
,
,
,
,
ওর কান্নায় আজ যেন পুরো পরিবেশটা কেমন নীরব হয়ে গেলো।ভালবাসার মানুষটাকে এভাবে তাড়িয়ে দেয়ার কষ্ট রুহীর থেকে ভালো কেউ বুঝতে পারবেনা।
রুপন্তীকে বেশকিছুক্ষন পর ছাড়লো রেহান।রুপন্তী চোখ বুজে রেহানের বুকের মাঝে পড়ে আছে।গাল ঠোঁট একবারে লাল হয়ে আছে।
ঘরে এভাবে গেলে ইজ্জতের বারোটা বাজবে।
,
,
,
,
রুপন্তীকে ডেকে উঠালো রেহান।রুপন্তী চোখ খুলেই ধড়ফড়িয়ে রেহান থেকে সরে এলো।রেহান ওর দিকে পানির বোতল ধরলো।মুখ ধুয়ে নাও।বাসায় গেলে ভালো দেখা যাবেনা বিষয়টা।রুপন্তী রেহানের হাত থেকে বোতল টা নিয়ে মুখ ধুয়ে নিলো।রেহান আর রুপন্তী গাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘরে চলে এলো।
,
,
,
,
রায়না রহমান রুপন্তী আর রেহান কে দেখেই দৌড়ে এসে পড়লো।এসে গেছিস তোরা?শপিং হলো সব?জিজ্ঞেস করলেন রায়না রহমান।
,
,
,
,
জি মামী হয়ে গেছে মোটামুটি।বলে উঠলো রুপন্তী।রায়না রহমান মুচকি হেসে রুপন্তীর কপালে চুমু খেলেন।যা মা ফ্রেশ হয়ে নে।রেহান বাবা আমার সাথে আয় একটু কথা আছে।বলে উঠলেন মামী।
রেহান মায়ের সাথে ওনার রুমে চলে গেলো।রুপন্তী ফ্রেশ হতে চলে যায়।
,
,
,
,
সেদিন রাত টা নির্ঘুম কেঁটে যায় দুজনের।রুহী আর রোয়েন কেউই ঘুমোতে পারেনি একফোঁটা।পরদিন সকালে ভার্সিটি চলে যায় রুহী।রোয়েন ঠিকই পিছু নিয়েছে ওর।এখন ওকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে রুহীর ব্যাপারে।কারন স্করপিয়ন এর লোকেরা এখানে আছে।
,
,
,
,
রেহান কাল মায়ের রুম থেকে এসে ভালো বোধ করছেনা।মায়ের কথা গুলো অস্বাভাবিক লাগছে।বুঝতে পারছেনা রেহান মার কি হচ্ছে।স্বপ্নকে কি মা সত্যি ভাবছেন নাকি সত্যি কিছু হচ্ছে।রেহান মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো।মার ব্যাপারটায় বেশ চিন্তা হচ্ছে ওর।আবার না আগের মতো হয়ে যায়?নাহ নাহ হতে পারেনা।মাকে আগের মতো অসুস্থ হতে দিবেনা ও।ভাবতে থাকে রেহান।
,
,
,
,
রুহী ঘরে ফিরে খুব পরিচিত নেশা ছড়ানো একটা ঘ্রান পেলো।এই ঘ্রানটায় রাতের পর রাত দিনের পর দিন মাতাল হয়ে থাকতো রুহী।কতো রাত এ নেশা ধরানো গন্ধে ঘুম ভেঙ্গেছে আবার কখনো নেশায় মোহিত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলো।এই ঘ্রান যেকোন দামী পারফিউম কে হারমানায়।যেকোন পানীয়র নেশাকে ও হার মানায় এই ঘ্রান।
,
,
,
,
ঘ্রানে মাতাল রুহী হঠাৎ চমকে উঠে।এই ঘ্রানটা ওর ঘরে।যতোই এগুচ্ছে ততো যেন তীব্র আকার ধারন করছে।রুমে আসতেই রোয়েন রুহীকে চমকে দিয়ে বলল সারপ্রাইজ!!!!!
রুহী ওর রুম দেখলো।রোয়েনের বাসায় ওর রুমটার মতো হুবুহু সাজানো।পুতুলে ভরা খাট।গোলাপী দেয়ালের মাঝে বিভিন্ন বার্বিকুইন্সদের পোর্ট্রেইট, আর ফুলের তোড়া।চকোলেট কয়েক বক্স।
,
,
,
,
রুহী পুরো রুমে চোখ বুলিয়ে নিয়ে রোয়েনের দিকে রাগী চোখে তাকালো।তারপর চুপচাপ গিয়ে পুতুল গুলো ছিড়তে শুরু করলো।তুলির রং দিয়ে পুরো দেয়াল নষ্ট করে দিলো।রোয়েন বড় বড় চোখে রুহীকে দেখছে।কেঁটে যাওয়া হাত পিছনে সরিয়ে নিলো রোয়েন।
,
,
,
,
রুহী এবার পিছনে ফিরলো সেদিনে বের করার পর ও লজ্জা হয়নি আপনার তাইনা?বেহায়ার মতো আবার ও চলে আসলেন।কেন?এখন এতো ভালোবাসা উতলায়ে পড়ছে কেন আপনার?৪মাস আগে এই ভালোবাসাটায় কই ছিলো?চিৎকার করে বলল রুহী।এবার রোয়েনের কাছে এসে বলল You are a lier.You can never love me.Get that?Get out.I said get outআরো জোরে চিৎকার করে বলল রুহী।
,
,
,
,
রোয়েন রুহীর দিকে একবার তাকিয়ে পিছনে ফিরে বেরিয়ে গেলো।এ এগ এগুলো ক ক কি বললাম?চোখজোড়া ভরে আসে রুহীর।যেগুলো বলা হয়েছে সেগুলো সত্যি না। তাহলে কেন বলতে গেলো এসব?কথা গুলো ভাবতেই কেঁদে ফেলে রুহী।
,
,
,
,
সেদিন কোনমতে সামলিয়ে নিলো রুহী।পরদিন সকাল ঘুম ভাঙ্গতেই নাকের সামনে ঘিয়ে ভাজা পরোটা আর হালুয়ার ঘ্রান পায় রুহী।এটা ওর ভীষন প্রিয় খাবার।চোখ খুলতেই রোয়েন কে ওর সামনে দেখতে পায় রুহী।রুহীর সামনে খাটে বসলো রোয়েন।ডান হাতের কবজি ব্যান্ডেজ করা রোয়েনের।যাও ফ্রেশ হয়ে আসো একসাথে নাস্তা করবো নে।বলে উঠলো রোয়েন।
রুহী এবার চুপচাপ নাস্তার প্লেট ছুড়ে ফেলে দিলো।কাঁচের টুকরো গুলো গড়াগড়ি খাচ্ছে।
,
,
,
রুপন্তী না পারতেই রেহানকে জোরে ধাক্কা দিলো।রেহান অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।রুপন্তী ঢোক গিলে রেহানের পিছন দিকে ইশারা করলো।রেহান রুপন্তীর ইশারা বুঝতে পেরে পিছে তাকায়।আজিজ রায়হান নিজের চশমা পরছেন।সেই সুযোগে রেহান জানালা লাগিয়ে দিলো।রুপন্তীর দিকে শয়তানি হাসি দিলো রেহান।
,
,
,
,
ক ক কি হলো?একটু ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করলো রুপন্তী।রেহান এবার রুপন্তীর বাহু চেপে নিজের কাছে এনে ওর গালে ঠোঁটে চুমু দিয়ে ভরিয়ে দিতে লাগলো।
রুপন্তী রেহানের এমন আচরনে ভয় পেয়ে যতোই সরতো চাইছে রেহান নিজের সাথে চেপে ধরছে।রুপন্তী এক সময় রুপন্তী বাচ্চাটির মতো রেহানের বুকের মাঝে মিশে যায়।
,
,
,
,
রুহী নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে উঠে দাঁড়ায়।দৌড়ে দরজার কাছে এসে দাঁড়ালো।রোয়েন চলে গেছে কিনা দেখার চেষ্টা করলো।রোয়েন আর নজরে পড়লো না রুহীর।কোনমতে ফুঁপাতে ফুঁপাতে দরজা লাগিয়ে দিলো রুহী।সেখানে আর দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে দৌড়ে রুমে চলে আসে রুহী।ফ্লোরে পা ভেঙ্গে বসে পাগলের মতো কাঁদতে থাকে রুহী।ফোনের রিংটোনের শব্দ ও রুহীর কান পর্যন্ত পৌছাচ্ছেনা।
,
,
,
,
ওর কান্নায় আজ যেন পুরো পরিবেশটা কেমন নীরব হয়ে গেলো।ভালবাসার মানুষটাকে এভাবে তাড়িয়ে দেয়ার কষ্ট রুহীর থেকে ভালো কেউ বুঝতে পারবেনা।
রুপন্তীকে বেশকিছুক্ষন পর ছাড়লো রেহান।রুপন্তী চোখ বুজে রেহানের বুকের মাঝে পড়ে আছে।গাল ঠোঁট একবারে লাল হয়ে আছে।
ঘরে এভাবে গেলে ইজ্জতের বারোটা বাজবে।
,
,
,
,
রুপন্তীকে ডেকে উঠালো রেহান।রুপন্তী চোখ খুলেই ধড়ফড়িয়ে রেহান থেকে সরে এলো।রেহান ওর দিকে পানির বোতল ধরলো।মুখ ধুয়ে নাও।বাসায় গেলে ভালো দেখা যাবেনা বিষয়টা।রুপন্তী রেহানের হাত থেকে বোতল টা নিয়ে মুখ ধুয়ে নিলো।রেহান আর রুপন্তী গাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘরে চলে এলো।
,
,
,
,
রায়না রহমান রুপন্তী আর রেহান কে দেখেই দৌড়ে এসে পড়লো।এসে গেছিস তোরা?শপিং হলো সব?জিজ্ঞেস করলেন রায়না রহমান।
,
,
,
,
জি মামী হয়ে গেছে মোটামুটি।বলে উঠলো রুপন্তী।রায়না রহমান মুচকি হেসে রুপন্তীর কপালে চুমু খেলেন।যা মা ফ্রেশ হয়ে নে।রেহান বাবা আমার সাথে আয় একটু কথা আছে।বলে উঠলেন মামী।
রেহান মায়ের সাথে ওনার রুমে চলে গেলো।রুপন্তী ফ্রেশ হতে চলে যায়।
,
,
,
,
সেদিন রাত টা নির্ঘুম কেঁটে যায় দুজনের।রুহী আর রোয়েন কেউই ঘুমোতে পারেনি একফোঁটা।পরদিন সকালে ভার্সিটি চলে যায় রুহী।রোয়েন ঠিকই পিছু নিয়েছে ওর।এখন ওকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে রুহীর ব্যাপারে।কারন স্করপিয়ন এর লোকেরা এখানে আছে।
,
,
,
,
রেহান কাল মায়ের রুম থেকে এসে ভালো বোধ করছেনা।মায়ের কথা গুলো অস্বাভাবিক লাগছে।বুঝতে পারছেনা রেহান মার কি হচ্ছে।স্বপ্নকে কি মা সত্যি ভাবছেন নাকি সত্যি কিছু হচ্ছে।রেহান মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো।মার ব্যাপারটায় বেশ চিন্তা হচ্ছে ওর।আবার না আগের মতো হয়ে যায়?নাহ নাহ হতে পারেনা।মাকে আগের মতো অসুস্থ হতে দিবেনা ও।ভাবতে থাকে রেহান।
,
,
,
,
রুহী ঘরে ফিরে খুব পরিচিত নেশা ছড়ানো একটা ঘ্রান পেলো।এই ঘ্রানটায় রাতের পর রাত দিনের পর দিন মাতাল হয়ে থাকতো রুহী।কতো রাত এ নেশা ধরানো গন্ধে ঘুম ভেঙ্গেছে আবার কখনো নেশায় মোহিত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলো।এই ঘ্রান যেকোন দামী পারফিউম কে হারমানায়।যেকোন পানীয়র নেশাকে ও হার মানায় এই ঘ্রান।
,
,
,
,
ঘ্রানে মাতাল রুহী হঠাৎ চমকে উঠে।এই ঘ্রানটা ওর ঘরে।যতোই এগুচ্ছে ততো যেন তীব্র আকার ধারন করছে।রুমে আসতেই রোয়েন রুহীকে চমকে দিয়ে বলল সারপ্রাইজ!!!!!
রুহী ওর রুম দেখলো।রোয়েনের বাসায় ওর রুমটার মতো হুবুহু সাজানো।পুতুলে ভরা খাট।গোলাপী দেয়ালের মাঝে বিভিন্ন বার্বিকুইন্সদের পোর্ট্রেইট, আর ফুলের তোড়া।চকোলেট কয়েক বক্স।
,
,
,
,
রুহী পুরো রুমে চোখ বুলিয়ে নিয়ে রোয়েনের দিকে রাগী চোখে তাকালো।তারপর চুপচাপ গিয়ে পুতুল গুলো ছিড়তে শুরু করলো।তুলির রং দিয়ে পুরো দেয়াল নষ্ট করে দিলো।রোয়েন বড় বড় চোখে রুহীকে দেখছে।কেঁটে যাওয়া হাত পিছনে সরিয়ে নিলো রোয়েন।
,
,
,
,
রুহী এবার পিছনে ফিরলো সেদিনে বের করার পর ও লজ্জা হয়নি আপনার তাইনা?বেহায়ার মতো আবার ও চলে আসলেন।কেন?এখন এতো ভালোবাসা উতলায়ে পড়ছে কেন আপনার?৪মাস আগে এই ভালোবাসাটায় কই ছিলো?চিৎকার করে বলল রুহী।এবার রোয়েনের কাছে এসে বলল You are a lier.You can never love me.Get that?Get out.I said get outআরো জোরে চিৎকার করে বলল রুহী।
,
,
,
,
রোয়েন রুহীর দিকে একবার তাকিয়ে পিছনে ফিরে বেরিয়ে গেলো।এ এগ এগুলো ক ক কি বললাম?চোখজোড়া ভরে আসে রুহীর।যেগুলো বলা হয়েছে সেগুলো সত্যি না। তাহলে কেন বলতে গেলো এসব?কথা গুলো ভাবতেই কেঁদে ফেলে রুহী।
,
,
,
,
সেদিন কোনমতে সামলিয়ে নিলো রুহী।পরদিন সকাল ঘুম ভাঙ্গতেই নাকের সামনে ঘিয়ে ভাজা পরোটা আর হালুয়ার ঘ্রান পায় রুহী।এটা ওর ভীষন প্রিয় খাবার।চোখ খুলতেই রোয়েন কে ওর সামনে দেখতে পায় রুহী।রুহীর সামনে খাটে বসলো রোয়েন।ডান হাতের কবজি ব্যান্ডেজ করা রোয়েনের।যাও ফ্রেশ হয়ে আসো একসাথে নাস্তা করবো নে।বলে উঠলো রোয়েন।
রুহী এবার চুপচাপ নাস্তার প্লেট ছুড়ে ফেলে দিলো।কাঁচের টুকরো গুলো গড়াগড়ি খাচ্ছে।
,
,
,
,
না করেছিলাম আসবেননা।কেন বারবার আসেন?অপমানিত হতে কি খুব ভালো লাগে?যাই করেন যতো করেন কখনো পাবেননা আমাকে।আমার ভালোবাসার যোগ্য না আপনি।চিৎকার করে বলল রুহী।
,
,
,
,
আমার ওপর তুমি রাগ।অন্তত খাবারের অপমান করতে পারোনা।দাঁতে দাঁত চেপে কথা গুলো বলে রুহীর কপালে আর গালে জোর করে চুমু দিয়ে বেরিয়ে গেলো রোয়েন।
|
|
|
|
চলবে
(যারা গল্প পড়ে পড়ে কমেন্ট না করে চলে যান তাদের আজ আনফ্রেন্ড করে দিবো😊😊😊)
|
|
|
রুপন্তী না পারতেই রেহানকে জোরে ধাক্কা দিলো।রেহান অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।রুপন্তী ঢোক গিলে রেহানের পিছন দিকে ইশারা করলো।রেহান রুপন্তীর ইশারা বুঝতে পেরে পিছে তাকায়।আজিজ রায়হান নিজের চশমা পরছেন।সেই সুযোগে রেহান জানালা লাগিয়ে দিলো।রুপন্তীর দিকে শয়তানি হাসি দিলো রেহান।
,
,
,
,
ক ক কি হলো?একটু ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করলো রুপন্তী।রেহান এবার রুপন্তীর বাহু চেপে নিজের কাছে এনে ওর গালে ঠোঁটে চুমু দিয়ে ভরিয়ে দিতে লাগলো।
রুপন্তী রেহানের এমন আচরনে ভয় পেয়ে যতোই সরতো চাইছে রেহান নিজের সাথে চেপে ধরছে।রুপন্তী এক সময় রুপন্তী বাচ্চাটির মতো রেহানের বুকের মাঝে মিশে যায়।
,
,
,
,
রুহী নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে উঠে দাঁড়ায়।দৌড়ে দরজার কাছে এসে দাঁড়ালো।রোয়েন চলে গেছে কিনা দেখার চেষ্টা করলো।রোয়েন আর নজরে পড়লো না রুহীর।কোনমতে ফুঁপাতে ফুঁপাতে দরজা লাগিয়ে দিলো রুহী।সেখানে আর দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে দৌড়ে রুমে চলে আসে রুহী।ফ্লোরে পা ভেঙ্গে বসে পাগলের মতো কাঁদতে থাকে রুহী।ফোনের রিংটোনের শব্দ ও রুহীর কান পর্যন্ত পৌছাচ্ছেনা।
,
,
,
,
ওর কান্নায় আজ যেন পুরো পরিবেশটা কেমন নীরব হয়ে গেলো।ভালবাসার মানুষটাকে এভাবে তাড়িয়ে দেয়ার কষ্ট রুহীর থেকে ভালো কেউ বুঝতে পারবেনা।
রুপন্তীকে বেশকিছুক্ষন পর ছাড়লো রেহান।রুপন্তী চোখ বুজে রেহানের বুকের মাঝে পড়ে আছে।গাল ঠোঁট একবারে লাল হয়ে আছে।
ঘরে এভাবে গেলে ইজ্জতের বারোটা বাজবে।
,
,
,
,
রুপন্তীকে ডেকে উঠালো রেহান।রুপন্তী চোখ খুলেই ধড়ফড়িয়ে রেহান থেকে সরে এলো।রেহান ওর দিকে পানির বোতল ধরলো।মুখ ধুয়ে নাও।বাসায় গেলে ভালো দেখা যাবেনা বিষয়টা।রুপন্তী রেহানের হাত থেকে বোতল টা নিয়ে মুখ ধুয়ে নিলো।রেহান আর রুপন্তী গাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘরে চলে এলো।
,
,
,
,
রায়না রহমান রুপন্তী আর রেহান কে দেখেই দৌড়ে এসে পড়লো।এসে গেছিস তোরা?শপিং হলো সব?জিজ্ঞেস করলেন রায়না রহমান।
,
,
,
,
জি মামী হয়ে গেছে মোটামুটি।বলে উঠলো রুপন্তী।রায়না রহমান মুচকি হেসে রুপন্তীর কপালে চুমু খেলেন।যা মা ফ্রেশ হয়ে নে।রেহান বাবা আমার সাথে আয় একটু কথা আছে।বলে উঠলেন মামী।
রেহান মায়ের সাথে ওনার রুমে চলে গেলো।রুপন্তী ফ্রেশ হতে চলে যায়।
,
,
,
,
সেদিন রাত টা নির্ঘুম কেঁটে যায় দুজনের।রুহী আর রোয়েন কেউই ঘুমোতে পারেনি একফোঁটা।পরদিন সকালে ভার্সিটি চলে যায় রুহী।রোয়েন ঠিকই পিছু নিয়েছে ওর।এখন ওকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে রুহীর ব্যাপারে।কারন স্করপিয়ন এর লোকেরা এখানে আছে।
,
,
,
,
রেহান কাল মায়ের রুম থেকে এসে ভালো বোধ করছেনা।মায়ের কথা গুলো অস্বাভাবিক লাগছে।বুঝতে পারছেনা রেহান মার কি হচ্ছে।স্বপ্নকে কি মা সত্যি ভাবছেন নাকি সত্যি কিছু হচ্ছে।রেহান মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো।মার ব্যাপারটায় বেশ চিন্তা হচ্ছে ওর।আবার না আগের মতো হয়ে যায়?নাহ নাহ হতে পারেনা।মাকে আগের মতো অসুস্থ হতে দিবেনা ও।ভাবতে থাকে রেহান।
,
,
,
,
রুহী ঘরে ফিরে খুব পরিচিত নেশা ছড়ানো একটা ঘ্রান পেলো।এই ঘ্রানটায় রাতের পর রাত দিনের পর দিন মাতাল হয়ে থাকতো রুহী।কতো রাত এ নেশা ধরানো গন্ধে ঘুম ভেঙ্গেছে আবার কখনো নেশায় মোহিত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলো।এই ঘ্রান যেকোন দামী পারফিউম কে হারমানায়।যেকোন পানীয়র নেশাকে ও হার মানায় এই ঘ্রান।
,
,
,
,
ঘ্রানে মাতাল রুহী হঠাৎ চমকে উঠে।এই ঘ্রানটা ওর ঘরে।যতোই এগুচ্ছে ততো যেন তীব্র আকার ধারন করছে।রুমে আসতেই রোয়েন রুহীকে চমকে দিয়ে বলল সারপ্রাইজ!!!!!
রুহী ওর রুম দেখলো।রোয়েনের বাসায় ওর রুমটার মতো হুবুহু সাজানো।পুতুলে ভরা খাট।গোলাপী দেয়ালের মাঝে বিভিন্ন বার্বিকুইন্সদের পোর্ট্রেইট, আর ফুলের তোড়া।চকোলেট কয়েক বক্স।
,
,
,
,
রুহী পুরো রুমে চোখ বুলিয়ে নিয়ে রোয়েনের দিকে রাগী চোখে তাকালো।তারপর চুপচাপ গিয়ে পুতুল গুলো ছিড়তে শুরু করলো।তুলির রং দিয়ে পুরো দেয়াল নষ্ট করে দিলো।রোয়েন বড় বড় চোখে রুহীকে দেখছে।কেঁটে যাওয়া হাত পিছনে সরিয়ে নিলো রোয়েন।
,
,
,
,
রুহী এবার পিছনে ফিরলো সেদিনে বের করার পর ও লজ্জা হয়নি আপনার তাইনা?বেহায়ার মতো আবার ও চলে আসলেন।কেন?এখন এতো ভালোবাসা উতলায়ে পড়ছে কেন আপনার?৪মাস আগে এই ভালোবাসাটায় কই ছিলো?চিৎকার করে বলল রুহী।এবার রোয়েনের কাছে এসে বলল You are a lier.You can never love me.Get that?Get out.I said get outআরো জোরে চিৎকার করে বলল রুহী।
,
,
,
,
রোয়েন রুহীর দিকে একবার তাকিয়ে পিছনে ফিরে বেরিয়ে গেলো।এ এগ এগুলো ক ক কি বললাম?চোখজোড়া ভরে আসে রুহীর।যেগুলো বলা হয়েছে সেগুলো সত্যি না। তাহলে কেন বলতে গেলো এসব?কথা গুলো ভাবতেই কেঁদে ফেলে রুহী।
,
,
,
,
সেদিন কোনমতে সামলিয়ে নিলো রুহী।পরদিন সকাল ঘুম ভাঙ্গতেই নাকের সামনে ঘিয়ে ভাজা পরোটা আর হালুয়ার ঘ্রান পায় রুহী।এটা ওর ভীষন প্রিয় খাবার।চোখ খুলতেই রোয়েন কে ওর সামনে দেখতে পায় রুহী।রুহীর সামনে খাটে বসলো রোয়েন।ডান হাতের কবজি ব্যান্ডেজ করা রোয়েনের।যাও ফ্রেশ হয়ে আসো একসাথে নাস্তা করবো নে।বলে উঠলো রোয়েন।
রুহী এবার চুপচাপ নাস্তার প্লেট ছুড়ে ফেলে দিলো।কাঁচের টুকরো গুলো গড়াগড়ি খাচ্ছে।
,
,
,
,
না করেছিলাম আসবেননা।কেন বারবার আসেন?অপমানিত হতে কি খুব ভালো লাগে?যাই করেন যতো করেন কখনো পাবেননা আমাকে।আমার ভালোবাসার যোগ্য না আপনি।চিৎকার করে বলল রুহী।
,
,
,
,
আমার ওপর তুমি রাগ।অন্তত খাবারের অপমান করতে পারোনা।দাঁতে দাঁত চেপে কথা গুলো বলে রুহীর কপালে আর গালে জোর করে চুমু দিয়ে বেরিয়ে গেলো রোয়েন।
|
|
|
|