এক মহিলার একটা ফুটফুটে মেয়ে বাচ্চা হয়েছে
নরমাল ডেলিভারিতে। এটা মহিলার ৪নম্বর বাচ্চা।
চারটা বাচ্চাই মেয়ে।
ডেলিভারির পর কমপ্লিকেশন দেখা দিলো।
ব্লিডিং বন্ধ হচ্ছে না। কোনোরকমে ম্যানেজ করে
রুগীর আত্মীয় স্বজন ডাকা হলো।
তাদেরকে বলা হলো, রুগীর ব্লিডিং বন্ধ হচ্ছে না।
আমরা আপাতত ম্যানেজ করেছি। এরপরেও যদি
ব্লিডিং বন্ধ না হয়, তবে অপারেশন করে ইউটেরাস
ফেলে দিতে হবে।
রুগীর শ্বাশুরি বলে, কি বলেন ডাক্তার সাহেব!!!!
চারটাই মেয়ে একটাও ছেলে বাচ্চা নাই। আর
বাচ্চা না হলে কি ভাবে হবে?
বুঝলাম, শ্বাশুরির সাথে কথা বলে লাভ হবে না। তাই
মহিলার হাসব্যান্ডকে বিস্তারিত বললাম।
মহিলার হাসব্যান্ড আমাকে অবাক করে বললো
বংশের প্রদীপ জ্বালানোর একটা ব্যাপার আছে না।
মেয়ে দিয়েতো আর বংশের প্রদীপ জ্বালানো যায়
না।
- কিন্তু এতে আপনার ওয়াইফ মারাও যেতে পারে।
- তারপরেও একটু দেখেন।
- আমি আবাক হয়ে উনার দিকে তাকিয়ে থাকলাম।
আরও অবাক হলাম ......
যখন শুনলাম, উনি একজন উর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তা।
•
•
একবার এক অফিসের পিয়ন তার বউকে নিয়ে আসলো
হাসপাতালে। মহিলাটি একটি মৃত বাচ্চা প্রসব
করেছে। এটিই মহিলার প্রথম বাচ্চা। মৃত বাচ্চা
প্রসবের পর মহিলার ব্লিডিং বন্ধ হচ্ছিল না।
মহিলার হাসব্যান্ডকে বললাম ব্লিডিং বন্ধ না হলে
অপারেশন করে ইউটেরাস ফেলে দেয়া লাগতে
পারে।
- যেইটা ভালো মনে করেন, সেইটাই করেন স্যার।
- ইউটেরাস ফেলে দিলে কিন্তু আপনারা আর কখনোই
সন্তান নিতে পারবেন না।
- স্যার, আমার ঘরের লক্ষী মইরা গেলে, আমি সন্তান
দিয়া কি করুম??
- আমি হেসে দিলাম।
- হাসেন ক্যান স্যার??
- হাসছি কারণ ...... কারোও কারোও কাছে ঘরের বউ
মানে ঘরের লক্ষী। আবার কারোও কারোও কাছে
ঘরের বউ শুধুই বংশের প্রদীপ জ্বলানোর মেশিন
.