বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাজউদ্দীন আহমেদ এর নেতৃত্বে বিশ্বে এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তিনি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাজউদ্দীন আহমেদ ১৯৪৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
তাজউদ্দীন আহমেদ ১৯৪৭-১৯৫২ সময়কালে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বদান করেন। ১৯৫১-১৯৫৩ সময়কালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানে যুবলীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তাজউদ্দীন আহমেদ ১৯৫৩ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন। তাজউদ্দীন আহমেদ যুক্তফ্রন্ট থেকে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন ১৯৫৫সালে। তিনি আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক ও সমাজসেবা সম্পাদক,১৯৬৪সালে পুর্নগঠিত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৬৬ সালে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
তাজউদ্দীন আহমেদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ৬দফার আন্দোলন পরিচালনা করায় ১৯৬৬-১৯৬৯ সময়কালে কারারুদ্ধ ছিলেন। অতঃপর তিনি ১৯৭১ সালে অসহযোগ আন্দোলন পরিচালনা করেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদান করেন এবং মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৫ এর ৩রা নভেম্বর জেলখানায় বন্দী থাকা অবস্থায় তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তিনি জাতীয় চার নেতার একজন।
আপনার এই প্রবন্ধ টি অনেক ভালো লাগলো আমাদের সম্পর্কে এত সুন্দর একটি তথ্য উপস্থাপন করার জন্য। তাজউদ্দিন আহমেদ এই দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিল একসময়। তার নাম আমাদের দেশে অমর হয়ে আছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই তথ্য সম্পর্কে আমাদের আরো কিছু ধারনা দেয়ার জন্য।