আত্মস্বার্থে বিভোর না হয়ে পরের কল্যাণে জীবন জীবন উৎসর্গ করার মধ্যেই রয়েছে মানবজীবনের সার্থকতা। ফুল যখন ফোটে তখন তার সৌন্দর্যে মানুষ মুগ্ধ হয়। মধুলোভী মৌমাছিকে তখন করে আকর্ষণ।মেয়েরা ফুলগুলো খোঁপায় গোঁজে আবার কেউ কেউ ফুলদানিতে সাজিয়ে রেখে দেয়। মৌমাছিরা পান করে ফুলের মধু আর সঞ্চয়ে গড়ে তোলে মৌচাক। অপরের কল্যাণে কাজ করে একসময় ফুল শুকিয়ে যায় ঝরে পড়ে তার পাপড়িগুলো। অপরের কল্যাণে ফুল নিজের জীবন উৎসর্গ করে তার জীবন সার্থক করে তোলে। পৃথিবীতে অনেক মহৎ ব্যক্তি আছে যারা ফুলের মতোই অন্যের জন্য নিজের মেধা, জ্ঞান, শ্রম এমনকি নিজের মূল্যবান জীবনকে উৎসর্গ করে গেছেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদগণ তাদের নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে আমাদের স্বাধীনতা উপহার দিয়ে গেছেন । তাই ইতিহাসের পাতায় তারা স্মরণীয় বরণীয় হয়ে আছেন। শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা মানুষের গুণ নয় অপরের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। সমাজে বসবাস করতে হলে একে অপরের সাহায্য সহযোগিতা করে চলতে হবে, তবেই মনুষ্যত্বের মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকবে। ফুলের অপরের কল্যাণ করার শিক্ষা আমাদের গ্রহণ করতে হবে। ফুল যেমন অন্যের জীবন সাজাতে, সুন্দর সুন্দর করতে, সৌরভময় করতে নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেয় তেমনি পদার্থে জীবন উৎসর্গ করতে পারলে আমাদের জীবনও ফুলের মতো সুন্দর ও সৌরভময় হয়ে উঠবে। সবসময় আমার পোস্টে লাইক কমেন্ট করবেন এবং আপভোট দিবেন। বস্তুত মানবজীবন ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক নয়, একে অপরের কল্যাণে ব্রতী হওয়াই মনুষ্যত্বের বৈশিষ্ট্য।
অন্যের উপকারে আসার মাধ্যমেই জীবনের উদ্দেশ্য সফল হয়।ভোগে সন্তুষ্টি নেই।