পরশপাথরের ছোঁয়া পেলে লোহাও সোনা হয়ে যায়। ঠিক তেমনি মানুষের জীবনের কোনো কোনো দুঃখের ঘটনা ক্ষুদ্র মানুষ কে মহৎ মানুষ বানিয়ে দেয়। আগুনের মধ্যে সোনা পোড়ালে যেরূপ খাঁটি সোনার পরিচয় স্পষ্ট হয় ঠিক তেমনি দুঃখের দহন মানুষকে খাঁটি মানুষ বানিয়ে দেয়। আঘাত এবং বেদনায় মানুষের সত্যনিষ্ঠা , মনুষ্যত্ববোধ এবং বিবেকবোধ জাগিয়ে দেয়। দুঃখে নিপতিত না হলে মানুষ জীবনের আসল স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারে না। আর এই কারণেই দুঃখকে পরশপাথরের সাথে তুলনা করা হয়েছে। পরশপাথরের ছোঁয়ায় যেমন লোহা সোনা হয় তেমনি দুঃখের ছোঁয়ায় মানুষ মহৎ মানুষে পরিনত হয়। কষ্টের চোখের জলে যখন সমস্ত গ্লানি ভেসে যায় ঠিক তখনি তার মধ্যে তার হৃদয়ে পবিত্রবোধ জন্ম নেয়। আর সেই পবিত্রবোধ তাকে অন্য এক মহৎ মানুষে পরিণত করে। তাই দুঃখ আসলে তাকে বরণ করে নিতে হবে। ধৈর্য রাখতে হবে যা হবার ছিল তাই হয়েছে । আগামীকাল নতুন সূর্যের ন্যায় জীবনটাও বদলে যেতে পারে । দুঃখ সবসময় থাকবে না হয়ত একদিন বড় তা কেটে গিয়ে নতুন আলোর দিশারী হবে। কেউ আঘাত দিলে ভেঙে পড়া যাবেনা তার থেকে বড় হয়ে দেখাতে হবে। তখন যেনো সেই আফসোস করে। দুঃখ মানুষকে চরম সত্যি উপলব্ধি করাই তাই দুঃখের ছোঁয়ায় মানুষ নিজেকে অজান্তেই তৈরি করে নতুন একটি মানুষ। যেই মানুষ নিতান্তই নিজেকে তুচ্ছ ভাবত সেই হয়ে যায় অনুকরণীয় ব্যক্তি। দুঃখের অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে সাধারণ মানুষ উত্তম মানুষে পরিণত হয়।
অনেক সুন্দর লিখেছেন আশা করি আপনি আরে ভালো লিখবেন