সৌন্দর্য কখনোই নিরপেক্ষ নয়। স্থান কাল পাত্রের ওপর সৌন্দর্যের পূর্ণতা নির্ভর করে। যে জিনিস যেখানে থাকা প্রয়োজন সেখানে থাকলেই তার সৌন্দর্য পাওয়া যায়। যথার্থ জায়গায় বস্তু নিজের মত বিকাশ লাভ করে। অন্য স্থানে তাকে যতই পরিচর্যা করুন না কেনো তা বিকাশ ও বৃদ্ধি ঘটবে না। পাখিকে যতই সোনার খাঁচায় রেখে পরিচর্যা করুন না কেনো, তা পাখির জন্য কারাগার। মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়ালে পাখির বিকাশ ও বৃদ্ধি ঘটবে। আবার মায়ের কোলে শিশু যেমন স্বাভাবিক অন্য কারো কোলে না।ফুল যতক্ষণ গাছের ডালে থাকে ততক্ষণ তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য থাকে। বোটা থেকে ছিঁড়ে ফেললে তার আর স্বাভাবিক সৌন্দর্য থাকে না। এজন্য যার যে কাজ তাকে সেই কাজ করতে দিতে হবে। যার যে স্থান তাকে সেই স্থানে রাখতে হবে। স্থানান্তরিত করলেই তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। যে যেকাজ করতে পারদর্শী তাকে সেই কাজ করতে দাও। কেনো অন্যের ইচ্ছা তার মধ্যে চাপিয়ে দিবে। তাকে নিজের ইচ্ছা মত চলতে দাও । কেউ ঘুরতে ভালোবাসে তাকে ঘুরতে দাও । কেউ একা থাকতে ভালবাসে তাকে থাকতে দেও ওভাবেই । তাঁর পরিবর্তন সে মানিয়ে নিতে নাও পারতে পারে। স্থানান্তর ঘটালে স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও বৃদ্ধি বিঘ্ন ঘটে। তাই যথার্থ স্থানে তাকে থাকতে দিতে হবে এতে তার স্বাভাবিক বিকাশ ও বৃদ্ধি ঘটবে।
5
35
অনেক সুন্দর একটা আর্টিকেল। আর অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন। স্থান, কাল, পাত্র ভেদেই সৌন্দর্য নির্ভর করে।