সকালে চাকর চা দিতে গিয়ে দেখল অনিক বাবুর লাশ সোফায় পড়ে আছে। সে চিৎকার করল চিৎকার শুনে সবাই দৌড়ে এসে দেখল অনিক বাবুর লাশ। একজন সিআইডি কে ফোন করল।
সিআইডি ভিউরোতে দেরী করে ফ্রেডরিক গিয়ে দেখল এসিপি স্যার আসে নাই। অভিজিৎ কে জিজ্ঞেস করল-
ফ্রেডি: অভিজিৎ স্যার,এসিপি স্যার কে তো দেখতেছিনা আজ!
অভিজিৎ: কেনো তুমি জানো না! এসিপি স্যার জরুরি কাজে রাজধানীতে গেছে। কেনো কিছু হয়েছে কী?
ফ্রেডি: না স্যার,কি আবার হবে। এমনি জিজ্ঞেস করলাম।
অভিজিৎ: এমনি জিজ্ঞেস করলে!
ফ্রেডি: না মানে আজকে আমাকে বিকাশ প্রতারক ফোন করেছিল।
অভিজিৎ: ওহ, তা কি বলল তোমাকে।
ফ্রেডি: বলল, আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অ্যাকাউন্ট চালু করতে ভেরিফিকেশন কোড এবং পিন নম্বর দিতে।
অভিজিৎ: আর তুমি দিয়ে দিলে?
ফ্রেডি: না স্যার, আমাকে কি আপনার বোকা মনে হয় নাকি। আমি আরও তাকে ধমক দিয়ে দিছি।
অভিজিৎ: ভালো করেছ....
এর মধ্যে একটি কল আসল । কলটা অভিজিৎ রিসিভ করল।
অভিজিৎ: হ্যালো, সিআইডি ভিউরো থেকে সিনিয়র অফিসার অভিজিৎ বলছি।
....
অভিজিৎ: কি? খুন হয়েছে!
...
অভিজিৎ: কোথায়?
...
অভিজিৎ: আচ্ছা , আমরা এখনি আসছি।
সিআইডি টিম তৎক্ষণাৎ চলে গেল অনিক বাবুর বাসায়। গিয়ে দেখল অনিক বাবুর লাশ সোফায় পড়ে আছে।
অভিজিৎ: আপনারা কেউ তো লাশের বডিতে হাত দেন নাই?
অনিকের ভাই: না স্যার, আমরা লাশ দেখেই আপনাদের ফোন করেছি।
দয়া: আচ্ছা আপনারা সরে দাঁড়ান, আমাদের তদন্ত করতে দেন।
দয়া লাশটিকে ভালো করে চেক করে দেখল।দয়া বলল-
দয়া:অভিজিৎ,আমার মনে হয় লোকটাকে বিষ দিয়ে খুন করা হয়েছে।
অভিজিৎ: আমারো তাই মনে হয়, দেখছো না মুখটা কেমন নীল হয়ে গেছে।
অভিজিৎ:বিবেক,ফ্রেডি ভালো করে দেখতো লাশের আশে পাশে কোনো চিহ্ন পাও কিনা?
বিবেক: ওকে স্যার।
অভিজিৎ: আচ্ছা, আপনারা বলুন তো এখানে ঠিক কি ঘটেছিল?
অনিকের ভাই: স্যার, আমার ভাতিজির আগামীকাল বিয়ে । তো গতকাল বিকেলে অনিক তার এক বন্ধুর কাছ থেকে বিকাশে দুই লক্ষ টাকা আনে। সন্ধ্যা বেলা একটি লোক ফোন করে বলছিলেন অনিকের বিকাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অ্যাকাউন্ট খুলতে ভেরিফিকেশন কোড এবং পিন নম্বর লাগবে।
দয়া: আর অনিক বাবু ভেরিফিকেশন কোড এবং পিন দিয়ে দেয়, তাইতো?
অনিকের ভাই: হ্যাঁ, আর তার পরেই অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখে ব্যালেন্স ফাঁকা। আর তখন থেকেই ওর মন খারাপ। রাত্রে কিছু খেলো না । অনেক দুচিন্তা করছিল। রাত প্রায় ১২টার দিকে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। আর সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর দেখি মনুকাকা চিৎকার করছে এসে দেখি(কেঁদে কেঁদে) অনিকের লাশ সোফায় পড়ে আছে।
অভিজিৎ: কিছু যদি না খায় তবে বিষটা পেটের ভিতরে গেলো কি করে? ফ্রেডি, লাশটা ডাক্তার সালুকের কাছে নিয়ে যাও।(ফ্রেডি লাশটা ডাক্তার সালুকের কাছে নিয়ে গেলো)
আর বিবেক তুমি অনিক বাবুর ফোনটা চেক করে দেখো কোন নাম্বার থেকে কল এসেছিল এবং কোন নাম্বারে বিকাশ থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
বিবেক:ওকে স্যার, (ফোন চেক করে) স্যার, এইযে এই নাম্বার থেকে কল এসেছিল কাল সন্ধ্যানাগাত আর এই নাম্বারে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে (ফোন দেখিয়ে বলল)।
অভিজিৎ: কল সেন্টার থেকে খোঁজ নাও নাম্বার দুটি কার নামে রেজিষ্ট্রেশন করা আছে এবং কোন লোকেশনে আছে।
বিবেক: ওকে, স্যার।(কল সেন্টারে কল করে জেনে নিল) ।
বিবেক:স্যার, নাম্বার দুটি মনিষ নামে একজনের নাম রেজিস্ট্রেশন করা আছে। আর লোকেশন পাবনাতে দেখাচ্ছে ।
অভিজিৎ: বিবেক, তুমি আর ফ্রেডি এখনি পাবনাতে ঐ লোকেশনে গিয়ে এই মনিষকে ধরে নিয়ে আসো।(তখনি বিবেক আর ফ্রেডি বেরিয়ে পড়ল পাবনার উদ্দেশ্য)
গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন । আর পরবর্তী পর্ব পেতে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।
পরবর্তী গল্পটি পড়তে চাই। আপডেট দিবেন