টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের মতামতে হাওড়া হাট খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ৷ আগামী ১৯ তারিখ হাওড়া খুলে দেওয়া হবে, তবে বেশকিছু বিধিনিষেধ লাঘু করা হয়েছে ৷
হাওড়া: প্রায় ছয়মাস পর খুলতে চলছে হাওড়ার মঙ্গলা হাট ৷ করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা ও লক ডাউনের জেরে মার্চ মাসের ২২ তারিখ থেকে বন্ধ হয়েছিল এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তর এই হাট ৷ আনলক পর্ব থেকেই এই হাট খোলার আবেদন থেকে আন্দোলন সবই শুরু করেছিলেন হাটের ছোটবড় সব ব্যবসায়ীরা ৷ সেই আবেদনকে প্রাধান্য দিয়ে হাওড়া জেলাস্বাসকের তরফে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে এই হাট খোলার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করা হয় ৷
টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের মতামতে হাওড়া হাট খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ৷ আগামী ১৯ তারিখ হাওড়া খুলে দেওয়া হবে, তবে বেশকিছু বিধিনিষেধ লাঘু করা হয়েছে ৷ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে হাট সানিটাইজেশন করতে হবে, ক্রেতা ও বিক্রেতাকে মাস্ক পরে থাকতে হবে ৷ জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, হাট চালু হলেও আগের মতো তিনদিনের বদলে মাত্রা এক দিন হাট খোলা থাকবে ৷ শুধু মাত্রা শনিবার সারারাত হবে বেচাকেনা ৷
প্রতি শনিবার রাত নয় টা থেকে পরেরদিন অর্থাৎ রবিবার সকাল ছটা পর্যন্ত খোলা থাকবে হাট ৷ রাস্তায় কোন ব্যবসায়ী কে বসতে দেওয়া হবে না, শুধু মাত্র স্থায়ী দোকানীরাই ব্যবসা করতে পারবেন ৷ পুজোর আগেই হাট খোলায় খুশি ব্যবসায়ীরা, তবে হাট খোলার দিন ও সময়সীমা নিয়ে অখুশি ব্যবসায়ীরা ৷ অন্যদিকে কয়েকহাজার অস্থায়ী হাট ব্যবসায়ীদের তরফে আন্দোলনে নামার হুমকি দেওয়া হয়েছে ৷
জেলা প্রয়াসনের তরফে জানানো হয়েছে , হাওড়া জেলা শাষক দফতর, হাওড়া হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় কোন রকম জমায়েত করতে দেওয়া যাবে না, যারা মূলত এই এলাকায় রাস্তায় বসে অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের জন্য অন্যত্র জায়গার খোঁজ চালানো হচ্ছে ৷ পুজোর আগেই তাদেরও ব্যবস্থা করা হবে ৷ তবে ব্যবসায়ীদের তরফে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, সারারাত ধরে হাট খোলা থাকলে তারা বিক্রি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে৷ যেখানে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন চলবে সেখানে রাতের অন্ধকারে কি করে সম্ভব |৷অন্য দিকে ক্রেতারাই বা যাতায়াত করবে কিভাবে ৷ এই সমস্যা গুলির মধ্যেই হাট খোলার বিষয়ে অনড় প্রশাসন ৷ ছোট ও অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের সংগঠন আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়ে রেখেছে ৷
great news for people. Thanks for share this