বৃহত্তর বাংলার সভ্যতা চার হাজার বছর আগে শুরু হয়েছে, যখন এই অঞ্চলটিতে দ্রাবিড়, তিব্বতি-বর্মণ এবং অস্ট্রো-এশিয়াটিক লোকেরা বসতি স্থাপন করেছিল। 'বাংলা' বা 'বঙ্গ' শব্দের সঠিক উত্পত্তি অজানা, যদিও এটি দ্রাবিড়-ভাষী উপজাতি বঙ্গ, যারা খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ সালের দিকে এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল, তাদের থেকে উদ্ভূত বলে ধারণা করা হয়।
গঙ্গারিদাই রাজত্ব খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতকের প্রথম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা পরে মগধ, নন্দ, মৌর্য এবং সুঙ্গ সাম্রাজ্যের অধীনে বিহারের সাথে মিশে যায়। বাংলা পরবর্তীকালে খ্রিস্টীয় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দী পর্যন্ত গুপ্ত সাম্রাজ্যের এবং হর্ষ সাম্রাজ্যের অংশ ছিল।
এরপরে, শশাঙ্ক নামে এক বাঙালি একটি স্বল্প-কালীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শশাঙ্ককে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম স্বাধীন রাজা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
কিছুকাল অরাজকতার পরে, বৌদ্ধ পাল রাজবংশ চারশো বছর ধরে এই অঞ্চল শাসন করে যা সাধারণত "বাংলার স্বর্ণযুগ" হিসাবে পরিচিত। এর পরে হিন্দু সেন রাজবংশের সংক্ষিপ্ত রাজত্ব।
দ্বাদশ শতাব্দীতে আরব মুসলিম বণিক এবং সুফি মিশনারিরা বাংলাকে ইসলামের সাথে ব্যাপকভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীকালে মুসলিমদের বিজয় পুরো অঞ্চল জুড়ে ইসলাম প্রচারে সহায়তা করেছিল। বাংলাদেশে ৬৯০ সালে স্থাপিত মসজিদ আছে লালমনিরহাটে।
তুর্কি সেনাপতি বখতিয়ার খিলজি সেন রাজবংশের লক্ষ্মণসেনকে পরাজিত করেছিলেন এবং ১২০৪ সালে বাংলার বিশাল অঞ্চল জয় করেছিলেন।
এই অঞ্চলটি পরবর্তী কয়েকশ বছর সুলতান ও ভূইয়া রাজবংশ দ্বারা শাসিত ছিল। ষোড়শ শতাব্দীতে, মোগল সাম্রাজ্য বাংলার নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং ঢাকা মুঘল প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাদেশিক কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষ দিকে ইউরোপীয় ব্যবসায়ীরা এসে পৌঁছে এবং ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের পরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার নিয়ন্ত্রণ নেয়। ১৮৫৭ সালের রক্তক্ষয়ী বিদ্রোহের ফলে, যা সিপাহী বিদ্রোহ নামে পরিচিত, ব্রিটিশরাজ বাংলার কর্তৃত্ব নেয়।
১৯০৫ থেকে ১৯১১ সালের মধ্যে বাংলা প্রদেশকে দুটি জোনে বিভক্ত করার একটি চেষ্টা করা হয়েছিল।
১৯৪৭ সালে যখন ভারত বিভক্ত হয়, তখন বাংলার পশ্চিম অংশ ভারত এবং পূর্ব অংশ পাকিস্তানের সাথে পূর্ব পাকিস্তান নামে যুক্ত হয়। ধর্মীয় ধারায় আবার বঙ্গভঙ্গ হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালিদের রাজনৈতিক কণ্ঠ হিসাবে আওয়ামী লীগ আত্মপ্রকাশ করে।
একই ধর্ম ইসলামে বিশ্বাসী হলেও, বাঙালি হওয়ার কারণে উপেক্ষিত ও নিপীড়িত হয়ে পূর্ব পাকিস্তান পৃথক হয়ে পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমানে পাকিস্তান) থেকে স্বাধীন হয়ে যায়। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী যখন সারা বাংলাদেশে গণহত্যা চালায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করলে যুদ্ধটি শেষ হয়।
Thanks for taking so long to read this article.
If you like it Upvote Can give.