নিলু এই নিলু তুমি কোথায়?
এই তো এখানে।
কি হয়েছে তোমার ? অফিস থেকে এসে এমন চেঁচামেচি করছো কেনো?
আমি চেঁচামেচি করি কী সাধে!
কিছুক্ষণ থেমে তারপর বলল,
তোমার আদরের ছেলে দিনদিন যে নষ্ট হচ্ছে সে খবর রাখো?
নিলুঃ অযথা় আমার ছেলের পিছে পঁরছো কেনো তুমি?
নিলু তুমি ভুলে যাচ্ছ ,সে কিন্তু আমারও ছেলে ।
আর শুধু শুধু তাঁর পিছনে পঁর়তে যাবো কেনো?
((আসেন সবাই,
কাহিনী শুরু করার আগে পরিচয় গুলো দিয়ে দেয়।)
এতোক্ষণ যে নিলু নিলু করছে তাঁর নাম হলো।
ইমরান চোধুরী।
পিতাঃ মৃত ইমাম চোধুরী।ও আরেকটি কথা বেঁচারা মারা যাবার পর তাঁর নামে চোধুরী বসেছে।
তাঁর নাম আগে ইমাম মিয়া বলতো গ্রামের মানুষ।
মাতাঃ মৃত সুজাহান বেগম।
ইমরান চোধুরী পেশায়ঃ ব্যাবসায়ী ।,ঢাকায় ও চিটাগাং এ তার গার্মেন্ট শিল্প রয়েছে।
ওনি অফিসের CEO আর তাঁর বড়
ছেলে MD ।
তবে ইমরান সাহেবের থেকে তাঁর ছেলেই অফিসে কাজে দক্ষতা বেশি।
ইমরান চোধুরীর
বয়সঃ ৫৫+ উচ্চতাঃ ৫"৮'
ইমরান চোধুরী ছাড়া তাঁর আরও এক ভাই ও এক বোন আছে।
তাঁর ভাইয়ের নাম ইরফান চোধুরী ও তাঁর বোনের নাম লাবিবা চোধুরী।
ইরফান ও লাবিবা চোধুরী সম্পর্কে গল্পে পরবর্তিতে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ইমরান চোধুরীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
বড় ছেলের নামঃ ইমন চোধুরী শ্রাবণ।
লন্ডন থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট সাবজেক্ট নিয়ে MBAকরেছে।
আর ইনি এই গল্পের হিরো তবে স্বভাব ভিলেনের মত।
চার বছর হলো বাবার সাথে বিজনেস এর হাল ধরেছে।
শ্রাবণ দেখতে অত্যন্ত ফর্সা,নাক ও কান খাড়া , হালকা লাল ঠোঁট। চোঁখ যেনো মায়ায় ঘেরা।
হালকা কালো স্পাইক করা চুল।
উচ্চতাঃ৬"১"।
ওজনঃ ৭৫+ আকর্ষন হওয়ার মতো জিম করা ফিট বডি।
বয়সঃ৩১।
যেকোনো মেয়ের হৃদয় হননের ক্ষমতা রাখে ইমন চোধুরী শ্রাবণ।
স্বভাবঃ মায়ের কাছে বিনয়ী ও ভদ্র ছেলে।
বাবার কাছে বুদ্ধিমান তবে কিছুটা উৎসৃঙ্খল ।
আর আমার মতে, মানে লেখিকার মতে,জেদি, বেয়াদব, চরিত্র ঢিলা,উৎসৃঙ্খল।
যাদের সে পছন্দ করে তাদের কাছে দয়ার সাগর।
আর যাদের দেখতে পারে না তাদের জন্য দয়াহীন , নিষ্ঠুর,অত্যাচারী একজন যবুক।
গল্পে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ইমরান চোধুরীর ছোট ছেলের নাম ইফাত চোধুরী নীল।
লন্ডন থেকে আর্কিটেকচার এর ডিগ্রি অর্জন করেছে।
আলাদা ভাবে নিজের পরিচয় তৈরি করতে চায়।
এ লক্ষ্যে নিজের নতুন কম্পানি শুরু করেছে।
আর ইমরান চোধুরীর ছোট মেয়ের নাম কেয়া চৌধুরী।
প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে ইংলিশে অনার্স করছে।
ছেলে, মেয়ে ,ভাই ,বোন ও তাদের
ফ্যামেলির সবাই কে নিয়ে ইমরান চোধুরীর
একসাথে উত্তরায় নিজের বাড়িতে থাকে।
(বাড়ির নিয়ে লেখা গুলো কাল্পনিক)
দুই বিঘা জমির পুরোটাই বাউন্ডারি দিয়েছে ইরফান চোধুরী ।
বাওন্ডারি মধ্যে রয়েছে ৪২০০শ স্কায়ার ফিট এর ডুপ্লেস বাড়ি ।
বাড়ির ডান পাশে রয়েছে সুইমিং পুল।
মাঝে আছে বাড়ির কেঁচিগেট থেকে ২০ ফিট প্রশস্ত রাস্তা মিশেছে বাউন্ডারির বিশাল গেট পর্যন্ত।
রাস্তার দুই পাশে সারি বেঁধে গাছ লাগানো। এতে বাড়ির ভিতরের সুন্দর্য আরো বেড়ে গেছে।
বাড়ির বাম পাশে ফুল ও ফলের বাগান।
বাগানের এক পাশে বেতের সোফা সেট এবং টি -টেবিল আছে ।
এখানে বসে মাঝে মাঝে চোধুরী তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অবসরে বসে চা পান করেন।
আর বাগানের অন্য পাশে দোঁলনা বসানো হয়েছে ।
বাড়ির পিছনে নারিকেল গাছ , কাঁঠাল গাছ ও সুপাড়ি গাছ রয়েছে।
সুইমিং পুল ,ফুল ও ফলের বাগান যেনো বাড়ির সুন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে।
আসুন চোধুরী সাহেব যে এলাকায় থাকে তার সম্পর্কে জেনে নিই।
উত্তরা নিঃসন্দেহে ঢাকার সবচাইতে পরিকল্পিত কয়েকটি এলাকার একটি। ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত এলাকার নাম নিতে গেলে নিঃসন্দেহে সেখানে উত্তরার নাম থাকবে।
নামের ভেতরেই আছে “উত্তরা মডেল টাউন”, তাই শহরের এক প্রান্তে অবস্থিত হলেও সবসময় এটি থাকে মানুষের কোলাহলে মুখরিত।
এছাড়া আকাশপথে উড়াল দিত হলেও উত্তরা ছাড়া গতি নেই, দেশের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যে এখানেই। তবে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা মিলে উত্তরা একটি আধুনিক স্বয়ংসম্পূর্ণ আবাসিক এলাকা।
সবকিছু মিলিয়ে উত্তরা নিঃসন্দেহে ঢাকার সবচেয়ে বাসযোগ্য এলাকার একটি। উত্তরা পূর্ব এলাকা হিসাবে ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ের পূর্বে থাকা সেক্টরগুলোর কথা (২ ,৪, ৬, ৮) এখানে উঠে এসেছে।
বেশ অনেকগুলি ব্যাংক রয়েছে উত্তরার পূর্ব পাশে। এর বেশিরভাগই একদম ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ের গা ঘেঁষে বিভিন্ন বিল্ডিং এ গড়ে উঠেছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সাজানো গোছানো উত্তরাতে থাকতে চান অনেকেই।
তার একটি বিশেষ কারণ এই এলাকায় বেশ কিছু উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি।
বাংলা মিডিয়াম কিংবা ইংলিশ, স্কুল কিংবা কলেজ, সবই আছে পূর্ব-উত্তরাতে।
বিখ্যাত অনেকগুলি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল যেমন দ্যি আগা খান স্কুল, ডিপিএস-এসটিএস স্কুল, ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারন্যাশলান টার্কিশ হোপ স্কুল অ্যান্ড কলেজ উত্তরা-পূর্বের ৪ ও ৬ নাম্বার সেক্টরে। দেশসেরা রাজউক স্কুল ও কলেজও এই এলাকার ৬ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত। আচেহ নওয়াব হাবিবুল্লহা স্কুল ও কলেজ, উত্তরা গার্লস হাই স্কুল, আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন স্কুল ও কলেজের মত বিভিন্ন বাংলা মিডিয়াম স্কুলও। তাই এই এলাকায় মেলে আদর্শ শিক্ষার নিশ্চয়তা।
হাসপাতাল ও অন্যান্য চিকিৎসাকেন্দ্র
এই এলাকা কিন্তু চিকিৎসা সুবিধার দিক দিয়েও পিছিয়ে নেই!
বিখ্যাত কুয়েত মৈত্রী সরকারী হাসপাতাল আছে ৬ নম্বর সেক্টরের আলাওল এভিনিউতে।
জসীমউদ্দিন এভিনিউ সংলগ্ন ৪ নাম্বার সেক্টরে আছে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্তার যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা ব্যক্তিগত চেম্বার করে রুগী দেখেন।
চিত্তবিনোদন
আবাসিক এলাকা হিসাবে উত্তরা শুরু থেকেই প্রসিদ্ধ।
সবুজে ঘেরা এ এলাকায় চাইলেই চমৎকার সময় কাটানো সম্ভব পরিবার পরিজন নিয়ে।
আর সেজন্য সবার প্রিয় গন্তব্য হল উত্তরার চমৎকার পার্কগুলো। প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই আছে বিশাল পার্ক এবং খেলার মাঠ। সমগ্র উত্তরা এলাকার মধ্যেই ৪ নং সেক্টরের মাঠটি প্রসিদ্ধ। বিশাল এই মাঠের সাথেই আছে ৪ নং সেক্টর পার্ক এবং পুকুর। ত্যি আগা খান স্কুলও এই মাঠের লাগোয়া। সেক্টরের ৩ কিংবা ৫ নাম্বার রোড দিয়ে সহজেই এই মাঠে প্রবেশ করা যায়।
নানা বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে থাকে এসব যায়গা ভোর থেকে সন্ধ্যা অব্দি।
মসজিদ
সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণের জন্য সব এলাকাতেই দরকার বিশেষ স্থাপনার। প্রতিটি সেক্টরের মত উত্তরা-পূর্বের সব সেক্টরেও আছে আলাদা মসজিদ। সেক্টর ৪ মাঠ সংলগ্ন স্থানেই আছে বিশাল উত্তরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। ৬নং সেক্টরের পাশেই আছে বায়তুন নূর জামে মসজিদ। চার নম্বর সেক্টরের ২বি রোডের শেষে আছে জামতলা ঈদগাহ।
খাবার এবং রেস্টুরেন্ট
উত্তরা পূর্বে খাবারের অপশনের কোন শেষ নেই। এই এলাকায় আছে বেশ অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট এবং ভ্রাম্যমাণ ফুডকোর্ট। ৪নম্বরে ক্যালিফোর্নিয়া ফ্রাইড চিকেন অ্যান্ড পেস্ট্রি শপ সিএফসি, সুমি’স হটকেক,রাজলক্ষী সেন্টারের উল্টো দিকে থাকা শী-সেল পার্টি সেন্টার, একুশে রেস্তোরা ইত্যাদি আছে। এছাড়াও আজমপুরের রাস্তায় এবং রাজলক্ষী বিপরীত পাশে আছে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ ফুডকোর্ট।
শপিংএর গন্তব্য
উত্তরা পূর্বে আছে চমৎকার কিছু শপিং ডেস্টিনেশন ছোটখাট দোকান থেকে শুরু করে বিশ্বখ্যাত নানান ব্র্যান্ড, আগোরার শপিং মল, সবই আছে এখানে।
পাইকারী মূল্যে খুচরা পণ্য ক্রয়ের জন্য উত্তরা ৬ নং সেক্টরে রাজউক কলেজের নিকট থাকা কাচাবাজারটি অনেকের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য, এটি বিজিবি মার্কেট নামেও পরিচিতি পেয়েছে। এর কাছেই আছে পৃথিবীবিখ্যাত আউটডোর ব্র্যান্ড ডেকাথলনের আউটলেট যেটি বাংলাদেশে ডেকাথলনের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র শোরুম। এছাড়া জসীমদ্দিন বাস স্টপের উল্টোপাশ থেকে শুরু করে রাজলক্ষীর উল্টোপাশ পর্যন্ত আছে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্র্যান্ডের জুতোর দোকান যার মধ্যে অ্যাপেক্স, বাটা, জেনিস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সবশেষে উল্লেখ করা যায় পলওয়েল করনেশন মার্কেটের কথা যেটি অবস্থিত আব্দুল্লাহপুরের ঠিক আগেই।
অনেকক্ষন বক বক করে বিরক্ত করলাম।
ইমরান চোধুরীঃ নিলু তুমি বুঝতে পারছ না তোমার ছেলে নাইট ক্লাবে আড্ডা দেই রাত পর্যন্ত। খারাপ হতে সময় লাগবে না কিন্তু।
নিলুঃ ছেলেরা এই বয়সে একটু আধটু এমন করবেই।
আর তুমি কি অস্বীকার করতে পারো যে শ্রাবণ আর যায় করুক না কেনো ব্যাবসায় তাঁর মনোযোগ ঠিকই রাখে।
ইমরান চোধুরীঃ শুনো নিলু ও ব্যাবসায় ভালো তা ঠিক এজন্য তাঁর এইসব কর্ম কান্ড কারখানা শয্য করবো না আমি,
ওরে বলে দিও।
এতোক্ষণ ইমরান চৌধুরী ড্রইং রুমে নিলুর সাথে কথা বলছে এর মধ্যে ড্রইং রুমে লাবিবা হাজির হলো...