Punishment

0 27
Avatar for Nasrin.adrita
3 years ago

☞ একটা মেয়েকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করার দুইদিন পর আকাশের বিয়েটা মহাধুমধামে সাদিয়ার সাথে হয়ে গেল। বিপত্তি সেখানে নয়। বিপত্তি বাধল যখন বাসর ঘরে ঢুকে বউ এর ঘুমটা খুলে আকাশ দেখল এটা সেই মেয়ে যাকে সে ২ দিন আগে ধর্ষণ করে হত্যার পর মাটি চাপা দিয়েছে। বিয়ের আগে সাদিয়াকে দেখেনি আকাশ। সাদিয়া এতোই পর্দাশীল ছিলো যে সে কারো সামনে আসতে রাজি হয়নি। তার মা এর কাছে শুনেছে মেয়ে অনেক ফর্সা সুন্দরী শিক্ষিত আর পর্দাশীল। একটা ছেলে যতই নিম্নশ্রেণির কীট হোকনা কেন সে বিয়ে করার সময় পবিত্র কুমারী মেয়েই খুজে। যাই হোক আকাশ কিছুই বুঝতে পারতেছেনা হচ্ছেটাকি। সে ঋতিমত ভয় পেয়ে গেছে। টেবিলের কানিতে রাখা পানির গ্লাসটা এক চুমুকে শেষ করে ফেলে সে। সাদিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। এ সত্যি ই সেই দিনের মেয়েটা।

সেদিন পার্টি থেকে অতিরিক্ত ড্রিনক করে বাড়ি ফিরছিল আকাশ। রাস্তায় একটা মেয়ে তাকে দাড় করায়। সারা শরীর কালো বুরখা দিয়ে ঢাকা। হাতে হাতমুজা। এই গরমেও পায়ে মুজা। মুখে হিজাব দিয়ে মুখ বাধা। রাস্তার বাতাসে হিজাব সরে যায় মেয়েটার মুখ থেকে। মেয়েটা ততক্ষনাৎ ঠিক করে নেয়। কিন্তু কয়েক সেকেন্ড এর দেখাতেই মেয়েটার প্রতি কামনা জেগে উঠে আকাশের। সন্ধা হয়ে আসছিল। মেয়েটা বলল

-দেখুন আর ৫ কিলোমিটার পর আমার বাসা। আমার ফোন ছিনতাই হয়ে গেছে আপনি কি প্লিজ আমায় লিফট দিবেন? নয়ত আপনার ফোনটা দিলেও চলবে।

-এস লিফট দিচ্ছি।

মেয়েটা গাড়িতে উঠার পর উচ্চস্বরে গান ছেড়ে দেয় আকাশ। তারপর নীর্জন এলাকার দিকে ছুটতে থাকে। মেয়েটা চিল্লাতে থাকে

-কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমায়? প্লিজ গাড়ি থামান আমি নেমে যাব।

-তা বললে ত হয়না সুন্দরী।

-প্লিজ থামুন পরশুদিন আমার বিয়ে প্লিজ দয়া করুন

-What a co incident পরশুদিন আমার ও বিয়ে। আজ না হয় আমরা দুজনে রিহার্সাল করে নিলাম।

এরপর একটা নীর্জন যায়গায় গাড়ি থামিয়ে মেয়েটির উপর পাশবিক নির্যাতন চালায় আকাশ। তারপর গলা টিপে হত্যা করে জঙলে পুতে ফেলে।

সে এরকম আগেও করেছে। পুলিশ তার সম্পর্কে কখনো কোনো প্রমাণ ই পায়নি। এখন এটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

কিন্তু সাদিয়াকে দেখে তার প্রাণ পাখি উড়াল দিয়ে গেল। সাদিয়ে একদম স্বাভাবিক আচরণ করছে। সে খাট থেকে নেমে এসে আকাশকে সালাম পর্যন্ত করল। আকাশ ভয়ে দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়।

আকাশ ছাদে বসে একের পর এক সিগারেট টানছে। এটা কীভাবে হতে পারে? মেয়েটাকে সে নিজের হাতে খুন করে পুতে ফেলেছে। মেয়েটার বাঁচার কোনো চান্স ই নেই। আর এই কথাটা সে কার সাথে শেয়ার করবে? একটা রেপ ও মার্ডার করার কথা চাইলেই সবার সাথে শেয়ার করা যায়না।

এমনটাও ত হতে পারে অই মেয়েটা আর এই মেয়েটা দেখতে একই রকম। এই মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করতে হবে তার যমজ বোন আছে কিনা

ঘরির দিকে তাকালো আকাশ। রাত দুটো বাজে। সে ২ ঘন্টা হল বসে আছে এখানে। আকাশের দিকে তাকায় সে। দশমীর বাকা চাঁদটা হালকা আলো ছড়াচ্ছে। সে বুঝতে পারছে না সে কি বাসর ঘরে যাবে নাকি যাবেনা।

যেতে ত তাকে হবেই। নয়ত অন্য মানুষেরা না জানি কি মনে করবে!

আকাশ পা টিপে টিপে নিজের ঘরের কাছে আসে। ঘর পুরো অন্ধকার। আলো জালানোর জন্য সুইচ এ হাত রাখল। আলো জলল না। পুরো বাড়ি অন্ধকার। আকাশ ভাবল হয়ত লাইট চলে গেছে। সে পকেট থেকে নিজের ফোন বের করল। ফোন এর বেটারি ডেড অফ হয়ে গেছে। আকাশ সন্ধায় ই ফোন ফুল চার্জ করেছিল। বাপারটা কি হল?

ভূতে বিশ্বাস করেনা আকাশ। সে ফিজিক্স এ অনার্স করেছে ভূতে বিশ্বাস করার কোনো কারণ ই নেই। সে গলায় কাসি দিল। কিন্তু মেয়েটা কোনো শব্দ ই করল না। হয়ত ঘুমিয়ে গেছে। ভূতের টেনশন টা আকাশ বাদ দিল। এক চেহারা কি দুইজন মানুষের হয়না নাকি?

হতেই পারে। এই ভেবে আকাশ সমস্ত সন্দেহ উড়িয়ে দিল। রুম থেকে বের হল মোমবাতির খুজে।

0
$ 0.09
$ 0.09 from @TheRandomRewarder
Sponsors of Nasrin.adrita
empty
empty
empty
Avatar for Nasrin.adrita
3 years ago

Comments