১.শুক্রাশয় :প্রায় ২ ইঞ্চি লম্বা ১ জোড়া ডিম্বাকার শুক্রাশয় স্ক্রোটাম (Scrotum) নামক থলির ভেতর আবদ্ধ এবং শুক্ররজ্জু দিয়ে লাগানো অবস্থায় দু'পায়ের উরুসন্ধিতে উপাঙ্গের মতো ঝুলতে থাকে।স্ক্রোটামের ভেতর শুক্রাশয় দুটি পাশাপাশি অবস্থান করে।বামদিকের স্ক্রোটাম বড় এবং কিছুটা নিচের দিকে ঝোলা।শুক্রাশয়ের ওজন ১০-১২ গ্রাম।
এটি শুক্রাণু উৎপন্ন করে এবং টেস্টোস্টেরন হরমোন ক্ষরণ করে।
২.এপিডিডাইমিস:এটি শুক্রাণুর ভেতর থেকে তরল ও কঠিন অসার পদার্থ আলাদা করে ওদের নিষেক ক্ষমতা বাড়ায় এবং পুষ্টি পদার্থ ক্ষরণ করে শুক্রাণু সতেজ রাখে।
৩.Vas deferens বা শুক্রনালি:এটি সঙ্গমের সময় দ্রুত শুক্রাণু পরিবহন করে।কিছ সময় শুক্রাণু জমিয়ে রাখাও এর কাজ।
৪.সেমিনাল ভিসিকল:এটি বীর্য বা (Semen) উৎপন্নের জন্য বিপুল পরিমাণ পিচ্ছল থকথকে পদার্থ ক্ষরণ করে।ক্ষরণের ফ্রুকটোজ সচল শুক্রাণুর শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।
৫.ক্ষেপন নালি:ক্ষেপন নালি সেমিনাল থলিকার ক্ষরণসহ শুক্রাণুকে ইউরেথ্রায় পৌঁছে দেয়।
৬.ইউরেথ্রা:এ নালির মাধ্যমে বীর্য বাইরে স্থলিত হয় এবং মূত্র নিষ্কাশিত হয়।
৭.স্ক্রোটাম:স্ক্রোটাম শুক্রাণু উৎপন্নের অনুকূল তাপমাত্রা রক্ষা করে।এছাড়া শুক্রাশয়কে চাপ জনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।চাপের মুখে শুক্রাশয় থলির ভেতরে সহজেই পিছলে যেতে পারে।
৮.পুরুষাঙ্গ বা Penis: পুুরুষাঙ্গ বা শিশ্ন হচ্ছে পুরুষের এমন একটি বহিরাঙ্গ যার ভেতর দিয়ে ইউরেথ্রা অতিক্রম করে বাইরে উন্মুক্ত হয়।এর ত্বকের নিচে চর্বি নেই কিন্তু পাতলা টিস্যু আছে।তাই শিশ্নের ত্বক এত আলগা।যে অংশ থেকে শিশ্ন উঠেছে তাকে শিশ্নমূল বা Root বলে।সেখানে কয়েক গোছা চুল থাকে।শিশ্নের যে অংশ ঝুলে থাকে, সেটি শিশ্নদেহ।এর ডগায় ব্যাঙের ছাতা আকৃতির লাল মুন্ডিকে Glans Penis বলে।এতে সবচেয়ে বেশি স্নায়ু প্রান্তদেশ উন্মুক্ত।এ মুন্ডিকে যে চামড়া ঢেকে থাকে।তাকে Prepuce বা Forskin বলে।মুসলমান ছেলেদের এ চামড়াটি খাৎনা করার মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়।পেনিসে ২ ধরনের ইরেক্টাইল টিস্যুতে গঠিত।এ টিস্যু দৃঢ় হলে শিশ্ন প্রসারিত হয়।প্রজনন ক্রিয়ায় দৃঢ় ও প্রসারিত হয়ে এটি মূত্রনালির মাধ্যমে বীর্য স্ত্রী জননতন্ত্রের অভ্যন্তরে প্রেরণ করে।
৯.প্রস্টেট গ্রন্থি :এটি গ্রন্থি থেকে একধরনের ক্ষারিয় তরল নিঃস্বৃত হয় যা বীর্য রসের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং শুক্রাণুর পুষ্টি যোগায়।তাছাড়া এ তরল যোনীর ভেতরের অম্লীয় অবস্থাকে প্রশমিত করে শুক্রাণুকে বেঁচে থাকতে সহায়তা করে।
১০.বাল্বোইউরেথ্রাল:এটি ইউরেথ্রার দু'পাশে অবস্থিত দুটি মটর দানার মতো গ্রন্থি যা থেকে নালিকা বেরিয়ে ইউরেথ্রায় মিলিত হয়।সঙ্গমের সময় এ গ্রন্থি মিউকাস (পিচ্ছিল পদার্থ) ক্ষরণ করে।