বাগদাদ শহরের এক ধার্মিক মেয়ে ছিল,
ছোট থেকে নামাজ, রোজা, কোরআন
তেলওয়াতে নিয়মিত ছিল।
অতঃপর মেয়েটি বড় হয়ে গেল।
মা-বাবা তার কাছে বিয়ের
সম্মতি চাইল,
সে রাজি হয়ে গেল।
তার মা-বাবা একজন ধার্মিক পাত্র ঠিক করল।
বিয়ে দিন ঠিক করা হল।
যথারিতি বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন।
মেয়েটিকে কনের
সাজে সাজানো হল।
এদিকে যোহরের আজান দিল, মেয়ে
বিয়ের আসর থেকে উঠে নামাজ পরতে চলে
গেল।
আত্মীয় স্বজন সবাই বলতে লাগলো,
আরে কি করছ?
এক্ষনি বর যাত্রি
এসে পড়বে,
তোমার সাজ নষ্ট হয়ে যাবে, বর যাত্রি এই
অবস্থায় দেখলে কি
বলবে? মেয়ের
জবাব, আমি
আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় পাই না,
আল্লাহ যায় করবেন আমার
মঙ্গলের জন্য
করবেন।
কে
কি বলবে তার জন্য আমি আল্লাহর
বিধান অমান্য করতে
পারবো না।
অতঃপর মেয়েটি নামাজ পড়তে চলে
গেল। বেশ কিছুক্ষন
হয়ে গেল মেয়ে
আসছেনা। অতঃপর
মেয়ের মা নামাজের ঘরে মেয়েকে
দেখতে
গেল। মা দেখল মেয়ে
এখনও সেজদায়।
সেজদা থেকে উঠার
বিলম্ব দেখে মা মেয়ের শরীরে হাত
দিয়ে দেখল। মা
হাত দিতে মেয়ে পরে
গেল।
বুঝতে বাকী নেই মেয়ে মৃত্যূ
বরণ করেছে।
ইন্না লিল্লাহি ও ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
কি সুন্দর
মৃত্যূ।
আল্লাহর দরবার সেজদা অবস্থা মৃত্যূর
চেয়ে
উত্তম মৃত্যূ আর কি হতে পারে?
নামাজ অবস্থায় মৃত্য বরণ করলে
জান্নাতি মর্যাদা।
আল্লাহ সবাইকে নামাজ পড়ার
তৌফিক দান করুক।