চারিদিকে শুধু হাহাকার
করোনা আর করোনা,
উপদেশ শুধু বাসায় থেকো
বাহিরে বেরিয়ো না।
বয়স আমার ১৮ আজ
রক্ত টকবগে,
এই বয়সে এমন বারণ
কেহ বা আর মানে?
করোনা নাকি ক্ষুদ্র অতি
কিসের এত ভয়?
এই ভেবে ভেবে মন বলে আজ
একে করব জয়।
ভেবে চিন্তে যেইনা আমি
বাহিরে দিয়েছি পা,
মা বলল যাসনে খোকা
পুলিশ দিবে ঘা।
১৮ বছর বয়স কী আর
এসব কথা শুনে?
বুক ফুলিয়ে বের হলাম না-হয়
পুলিশী ঘা খেতে।
না আছে গ্লাভস,না আছে মাস্ক
করি না কিছু ভয়,
বাহিরে এবার ঘুরছি দিব্যি
ভয়েরে করিয়া ক্ষয়।
হাঁটতে হাঁটতে চললাম এবার
বাজারের ঐ দিকে,
অবস্থা দেখে মন আমার কেমন
হয়ে গেল ফিকে।
ভেবেছিলাম আমার মত
সাহসী কেহ নাই,
বাজার ভর্তি মানুষ ছিল
দাঁড়ানোর নেই ঠাঁই।
মানুষের ভীড়ে করোনার আজ
জায়গা হবে কী?
এমন চিন্তা করতে করতে
শহর ঘুরছি আমি।
হঠাৎ করে দেখি এক লোক
দৌড়ে পালাচ্ছে,
পুলিশ নাকি ঘা দিচ্ছে
সামনে যাকে পাচ্ছে।
এবার আমি উল্টো ফিরে
দিলাম ভোঁ-দৌড়,
পশ্চাতে এবার এক ঘা খেয়ে
বুঝলাম ঘা-এর তোড়।
হঠাৎ এবার হোঁচট খেয়ে
করলাম গড়াগড়ি,
পুলিশ বলল এবার জমবে
আমার ডান্ডার বাড়ি।
ভয়ে আমি কাচুমাচু
বললাম ছেড়ে দিন,
পুলিশ বলল ব্যাটা তোর
পশ্চাতে ঘুঁচবো ডিম।
কোনো মতে টেনে হিঁচড়ে
বাড়ি ফিরলাম আমি,
সৃষ্টিকর্তা সহায় ছিল
তিনি অন্তর্যামী।
মাক্স পড়ব,গ্লাভস পড়ব
ঘরে থাকব আমি,
আর কোনো দিন খেতে চাইনা
পুলিশী ডান্ডার বারী।
কবিতা দিয়ে সতর্ক করলাম
সর্বদা থাকেন ঘরে,
কবিতাটা শেয়ার করলাম
রিড.ক্যাশের তরে।
করোনায় একদিন কবিতাটি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আপনার অন্যান্য কবিতাগুলো ও ভীষণ ভালো লাগে আমার। তাই আমি আপনার সব কবিতাগুলোই পড়ার চেষ্টা করি।